ডা. ফেরদৌসের জন্মদিনে ৫ হাজার মানুষের মুখে হাসি

 

যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী চিকিৎসক ফেরদৌস খন্দকারের জন্মদিন ছিলো মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি)। এ উপলক্ষে ডা. ফেরদৌস খন্দকারের নিজ উপজেলা কুমিল্লার দেবিদ্বারে ৫ হাজারের বেশি সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের মধ্যে দুপুরের খাবার বিতরণ করা হয়েছে। যাঁদের মধ্যে এতিমখানার শিক্ষার্থী, পথশিশুসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষজন ছিলেন। শেখ রাসেল ফাউন্ডেশন, ইউএসএ শাখার সভাপতি ডা. ফেরদৌস খন্দকার এরই মধ্যে নিজের উপজেলা দেবিদ্বারের প্রতিটি এলাকায় বিভিন্ন সামাজিক ও মানবিক কল্যাণমূলক কর্মকা-ের মাধ্যমে বেশ সাড়া ফেলেছেন। এবার ফেরদৌস খন্দকারের জন্মদিনে উন্নতমানের খাবার পেয়ে হাসি ফুটেছে এতিম, পথশিশু আর সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের মুখে। শেখ রাসেল ফাউন্ডেশন, দেবিদ্বার উপজেলা শাখার স্বেচ্ছাসেবকরা মঙ্গলবার দুপুরের মধ্যে ফেরদৌস খন্দকারের জন্মদিন উপলক্ষে উপহার হিসেবে উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নের মধ্যে থাকা বিভিন্ন এতিমখানা, পথশিশু ও সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের কাছে খাবার পৌঁছে দেন। এদিনে বিকেলে  ডা. ফেরদৌসের নিজ গ্রাম উপজেলার বাকসারে আয়োজন করা হয় কেককাটা ও খাবার বিতরণের। সেখানেও এলাকার প্রায় সকল বয়সের সুবিধা বঞ্চিত মানুষজন অংশ নেন। দিনভর এসব কর্মকা-ে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা নারী সংগঠক শামীমা আক্তার রিমা বলেন, সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ সব সময় ভালোভাবে খেতে পারেন না। বিশেষ করে সুবিধা বঞ্চিতরাতো আরো কষ্ট করেন। ডা. ফেরদৌস খন্দকার যুক্তরাষ্ট্রে থাকলেও মানুষের দুঃখ-কষ্ট সব সময় বোঝেন। এজন্যই যখনই সময় পান, তখনই ছুটে আসেন দেবিদ্বারের মানুষের কাছে। তিনি এরই মধ্যে উপজেলার প্রতিটি এলাকায় কল্যাণমূলক কর্মকা-ের মাধ্যমে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। যা প্রতিনিয়ত চলমান রয়েছে। ১৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) ছিলো ডা. ফেরদৌস খন্দকারের ৫৩তম জন্মদিন। এই দিনেও তিনি দেবিদ্বারের মানুষকে ভুলেননি। উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নের প্রতিটি এলাকায় সুবিধা বঞ্চিত মানুষের মুখে একবেলা ভালো মানের খাবার তুলে দিয়ে হাসি ফুটিয়েছেন। সব মিলিয়ে জন্মদিনকে দেবিদ্বারের মানুষের জন্যই রাঙিয়েছেন তিনি।

আবদুুল্লাহ নামে একটি এতিমখানার এক শিক্ষার্থী বলেন, অনেকে আমাদের খবরও নেয় না। কিন্তু শুনেছি ডা. ফেরদৌস খন্দকার এখন আমেরিকা। কয়েকদিন আগে দেশ থেকে ঘুরে গেছেন। কিন্তু তিনি সেখানে থেকেও আমাদের সঙ্গে নিজের জন্মদিনের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। আমরা তাঁর জন্য দোয়া করি। তিনি অনেক বড় মনের মানুষ। মাসুম বিল্লাহ নামের এক শিশু বলেন, ডা. ফেরদৌস খন্দকারেরর জন্মদিনে আমরা অনেক আনন্দ করেছি। দুপুরে ভালো খাবার খেয়েছি। বিকেলে কেক আর নাস্তা খেয়েছি। সবাই মিলে অনেক মজা করেছি। আলী আহমেদ নামে এক কৃষক বলেন, ফেরদৌস খন্দকারের জন্মদিন উপলক্ষে আজকে অনেক অসহায় মানুষ একবেলা ভালো খেতে পেরেছে। তিনি উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন দীর্ঘদিন ধরে। আমরা চাই তিনি সব সময় আমাদের পাশে থাকেন। আমরা তাঁর জন্য দোয়া করি।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শেখ রাসেল ফাউন্ডেশন, ইউএসএ শাখার সভাপতি ডা. ফেরদৌস খন্দকার বলেন, দেবিদ্বার আমার জন্মভূমি। যেখানেই থাকি সব সময় মাথায় রাখি জন্মভূমির জন্য কিছু করতে হবে। এজন্য দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করছি মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাওয়ার। আমাদের প্রতিটি কাজই সেবামূলক। সামনে এই কার্যক্রমকে আরো ব্যাপকহারে প্রসারিত করতে চাই। আর একবেলা খাবার বিতরণ খুব বড় বিষয় না, সেটা আমি জানি। এটা ছিলো আমার জন্মদিনের আনন্দ সকলের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেওয়ার ক্ষুদ্র চেষ্টা মাত্র। কারণ জন্মদিনে আমার জন্মভূমি দেবিদ্বারের মানুষদের ভুলে থাকি কীভাবে?  -প্রেস বিজ্ঞপ্তি।