ঢাকা যেন একখণ্ড মুরাদনগর!
১৩ বছর পর দেশে ফিরলেন বিএনপি নেতা কায়কোবাদ
‘সংস্কার করবে গণতান্ত্রিক সরকার’
‘যেন শহীদদের রক্তের সাথে বেইমানি না করি’
প্রতিনিধি।।
১৩ বছর পর দেশে ফিরে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ বলেছেন, আল্লাহ একজন জালিম থেকে উদ্ধার করেছেন । বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং বর্তমান স্বাধীনতায় যারা শহীদ হয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও তাদের রুহের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। সংস্কার করবে গণতান্ত্রিক সরকার। যাদের ভোট দিয়ে জনগণ নির্বাচিত করবে সংস্কার তো তারাই করবে। ডক্টর ইউনুস সাহেব ভালো মানুষ। উনি মিথ্যা মামলার আসামি। তিনি বুঝবেন আমরা কত নির্যাতনের শিকার হয়েছি। উপদেষ্টা পরিষদের একজন বা দুই হতে পারে যারা জেল খেটেছেন। দোয়া করবেন আল্লাহ আমাদের তৌফিক দান করুক, যেন শহীদদের রক্তের সাথে বেইমানি না করি।
শুক্রবার (২৮ ডিসেম্বর) শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তিনি। পরে রাজধানীতে সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিস্থলে শ্রদ্ধা জানিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। এদিকে তাকে শুভেচ্ছা জানাতে কয়েক হাজার মানুষ বিমানবন্দর এলাকায় ভিড় জমান। বিমানবন্দর আশপাশের এলাকা পরিণত হয় একখণ্ড মুরাদনগরে।
তিনি বলেন, ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আমাদের ভুলের কারণে অনেককে শাহাদাত বরণ করতে হয়েছে। পরিষ্কারভাবে বলতে চাই ৯৬ সালে যদি আমরা ভুল না করতাম, ইসলামিক দল গুলো যদি ভুল না করতো আওয়ামী লীগ কখনো ক্ষমতায় আসতো না। বিগত সরকারের আমলের মত খুন গুম ও নির্যাতনের পুনরাবৃত্তি হলে আমাদের পূর্বের মতোই ভোগ করতে হবে।
এর আগে, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আলোচিত গ্রেনেড হামলার মামলায় শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইবুন্যাল-১ এই মামলার রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনের ফাঁসির দণ্ড এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১১ জনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়েছিল। মামলা দায়েরের পর দীর্ঘদিন ধরেই দেশের বাইরে অবস্থান করছিলেন শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ। তিনি কিছুদিন সৌদি আরব ও কিছুদিন আরব আমিরাতে বাস করেছেন বলে জানা গেছে। সম্প্রতি তিনি মামলা থেকে খালাস পান।