তাদের সেবা ও ত্যাগের গল্পে মুগ্ধতা ছড়ানো সন্ধ্যা

ডা.যোবায়দা হান্নান ও ডা. ওয়ালীউল্লাহকে মরণোত্তর সম্মাননা
প্রতিনিধি।।
দুইজন মানবিক চিকিৎসক ডা.যোবায়দা হান্নান ও ডা. ওয়ালী উল্লাহকে মরণোত্তর সম্মাননা দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ চক্ষু চিকিৎসক সমিতি ও চক্ষু চিকিৎসক সমিতি(অবস) কুমিল্লা শাখা এই সম্মাননার আয়োজন করে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশ্ব দৃষ্টি দিবস উপলক্ষে কুমিল্লা ডায়বেটিক হাসপাতাল মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বক্তারা তাদের সেবা ও ত্যাগের নানা গল্প তুলে ধরেন। এতে উপস্থিত শ্রোতারা তা শুনে মুগ্ধ হন।

বক্তারা বলেন, ডা.যোবায়দা হান্নান বাংলাদেশ জাতীয় অন্ধকল্যাণ সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ডা. ওয়ালীউল্লাহ চক্ষু সমিতির কুমিল্লা শাখার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। তাদের হাত ধরে কুমিল্লায় ডায়বেটিক হাসপাতাল ও অন্ধকল্যাণ সমিতির হাসপাতাল গড়ে উঠে। তাদের অবদান যুগ যুগ বেঁচে থাকবে। কুমিল্লাবাসী তাদের ঋণ কভু শোধ করতে পারবে না। বিশেষ করে মন্ত্রীর মেয়ে হয়েও যোবায়দা হান্নান এক অনাড়ম্বর জীবন যাপন করেছেন। কারো মা,কারো খালা বা আপায় রুপান্তরিত হয়েছেন। তিনি মানব সেবায় আনন্দ খুঁজে পেতেন। চিকিৎসার পাশাপাশি অসহায়কে খাবার যোগানো,দুঃস্থ নারীর পাশে দাঁড়ানোসহ নানা সামাজিক কাজে তিনি জড়িত ছিলেন। তিনি একুশে পদকসহ নানা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কুমিল্লা ডায়বেটিক এসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেরুন্নেসা বাহার। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএমএ কুমিল্লার সাধারণ সম্পাদক ডা. আতাউর রহমান জসীম, বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল প্র্যাকটিশনার এসোসিয়েশনের সভাপতি ডা.একেএম আবদুস সেলিম, বাংলাদেশ জাতীয় অন্ধকল্যাণ সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এ এইচ এম তাইফুর আলম।

স্মৃতিচারণ করেন,অবস কুমিল্লার সায়েন্টিফিক সেক্রেটারি ডা.মো. ওমর ফারুক ও কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মাসুক আলতাফ চৌধুরী প্রমুখ। ধন্যবাদ জানান,অবস কুমিল্লার উপদেষ্টা প্রফেসর জামাল নিজামউদ্দিন আহমেদ। সভাপতিত্ব করেন অবস কুমিল্লার সভাপতি ডা. এ এস এম জিয়াউদ্দিন সিকদার। উপস্থাপনা করেন অবস কুমিল্লার সাধারণ সম্পাদক ডা. এ এম আনিসুর রহমান। মরণোত্তর সংবর্ধনার আগে দৃষ্টি দিবস উপলক্ষে নগরীতে র‌্যালি ও সায়েন্টিফিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।