তাপদাহ ও আতংকে দাউদকান্দির ৩স্কুলের ২৬ শিক্ষার্থী অসুস্থ


প্রতিনিধি।
তাপদাহ ও আতংকে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার তিন স্কুলে ২৬ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের মধ্যে ২১ জনকে চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে। বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. তৌহিদ আল হাসান। তিনি বলেন, সুবল-আফতাব উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষা চলছিলো। এ সময় অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষাথী চন্দ্রিমা, ফাতেমা ও সুমাইয়া অসুস্থ হয়ে পড়েন। তারপরেই অন্যরা অসুস্থ হয়ে যায়। এছাড়া গৌরীপুর বিলকিস মোশাররফ বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও চিনামুড়া এল এন উচ্চ বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম ও সিভিল সার্জন ডা. নাছিমা আক্তার হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন।


অসুস্থ হয়ে পড়া অন্য শিক্ষার্থীরা হলেন গৌরীপুর সুবল আফতাব উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির তাবাচ্ছুম আক্তার, সামিয়া আক্তার, তানিয়া আক্তার, মারিয়া আফরিন, সাইফুল ইসলাম, জাহিদ হাসান, তাওহিদ হাসান, অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী মায়মুনা আক্তার, তন্নীমা আক্তার, ফাহিয়া তাছিন, কারিমা আক্তার, কবিতা আক্তার, আমেনা আক্তার, ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী জাকিয়া আক্তার, মালিহা আক্তার। গৌরীপুর বিলকিস মোশাররফ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী তনিমা আক্তার। চিনামুড়া এল এন উচ্চবিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইকরা আক্তার, খাদিজা আক্তার, নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ওহি ভূঁইয়া, নারান্দিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী জায়েদা আক্তার।
দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মহিনুল ইসলাম বলেন, বুধবার সুবল-আফতাব উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষা চলছিলো। এ সময় বিভিন্ন পরীক্ষা কক্ষের শিক্ষার্থীরা হঠাৎ অসুস্থ হওয়া শুরু করে। পরে অন্য শিক্ষার্থীদের সহায়তায় অসুস্থ শিক্ষার্থীদের আমরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই।
সিভিল সার্জন ডা. নাছিমা আক্তার বলেন, এটা আসলে গণমনস্তাত্বিক রোগ। শিশুদের মধ্যে এই রোগের প্রবণতা বেশি। তবে অসুস্থ শিক্ষার্থীরা সবাই শংকামুক্ত। আমরা অভিভাবকসহ জেলার সাধারণ মানুষজনের প্রতি আহবান জানাবো যেহেতু এখন তাপদাহ প্রবাহমান। সবাই যেন সতর্ক থাকে। রোদে কাজ করা থেকে বিরত থাকে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম বলেন, শিক্ষার্থীরা ঝুঁকিমুক্ত। যেহেতু তাপদাহ চলছে তাই আমার আহবান থাকবে সবাই যথেষ্ট পরিমাণ পানি পান করবেন। রৌদ্রে দীর্ঘক্ষণ কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার কুমিল্লা দাউদকান্দি সুবল- আফতাব স্কুলের হাবিবা নামে ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী ক্লাশ চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েন। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পথে সে মারা যায়। এরপরে ওই এলাকার স্কুলগুলোতে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।