দাউদকান্দিতে ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু, ২ ওয়ার্ড ঝুঁকিপূর্ণ

প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। ইতিমধ্যে দুটি ওয়ার্ডকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। দাউদকান্দি পৌর প্রশাসক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেদওয়ান ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মারা যান- উপজেলার দোনারচর গ্রামের মান্নানের ছেলে ইউসূফ আলী, নাজির চৌধুরীর স্ত্রী মাকসুদা বেগম ও রাসেলের স্ত্রী শাহিনুর আক্তার।
পৌর স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানায়, উপজেলার দাউদকান্দি পৌর সদরে ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দোনারচর, সবজিকান্দি, দাউদকান্দি, সাহাপাড়া, বলদাখাল ও তুজারভাঙ্গা গ্রামগুলোতে দ্রুত বাড়ছে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা। বর্তমানে দুই ওয়ার্ডে আক্রান্তের সংখ্য কয়েক শতাধিক। এদের মধ্যে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, সাংবাদিক, রাজনৈতিক ব্যক্তি, ব্যবসায়ী, নারী-শিশু ও বৃদ্ধরা আক্রান্ত হয়েছেন।
মে মাস থেকে এই পর্যন্ত উপজেলার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৩ শতাধিক রোগী। রাজধানীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহত হয়েছেন ৩ জন।
পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর বিল্লাল হোসেন খন্দকার সুমন জানান, আমার ওয়ার্ডে ডেঙ্গু পরিস্থিতি অস্বাভাবিক পর্যায়ে পৌঁছেছে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য ঝোপঝাড় পরিষ্কার, জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করছি ও ফগার মেশিন দিয়ে ওষুধ ছিটানো হচ্ছে।
৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সালাহউদ্দিন সরকার বলেন, ‘আমার ওয়ার্ডে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৩ জন মারা গেছেন। এখনো শতাধিক আক্রান্ত আছেন।
দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, জুন মাস থেকে এই পর্যন্ত হাসপাতালে ১০২ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। তারমধ্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২৮ জনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়াও উপজেলার বেসরকারি হাসপাতাগুলোতে ২৫৮ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছে। ডেঙ্গু রোগীদের তাৎক্ষণিক সেবা দিতে প্রস্তুত রয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
দাউদকান্দি পৌর প্রশাসক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেদওয়ান ইসলাম বলেন, পৌরসভার পক্ষ থেকে দুটি ওয়ার্ডকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে। প্রতিদিন ডেঙ্গু মশার বিস্তার রোধে মশক নিধন কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। প্রতিদিন ফগার মেশিনের মাধ্যমে উচ্চমাত্রার ওষুধ প্রয়োগ করা হচ্ছে।
