নগরীতে চার মাসে দুই খুনে অভিযুক্ত তিন কাউন্সিলর

আমোদ প্রতিনিধি।।

inside post

কুমিল্লায় গত চার মাসে যুবলীগ কর্মী ও ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত হয়েছেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের তিনজন কাউন্সিলর।

বুধবার সকালে নগরীর চৌয়ারা এলাকায় কুপিয়ে হত্যা করা হয় কুমিল্লা নগরীর ২৫ নং ওয়ার্ডের যুবলীগের কর্মী জিল্লুর রহমান চৌধুরী ওরফে গোলাম জিলানীকে। গোলাম জিলানী হত্যার ঘটনায় ৩৯ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের ভাই ইমরান হোসেন চৌধুরী বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার সদর দক্ষিণ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলার প্রধান আসামি নগরীর ২৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ আবুল হাসান ও ২নং আসামি ২৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুস সাত্তার।

বাদী ইমরান হোসেন চৌধুরী মামলায় উল্লেখ করেন,তার ভাই যুবলীগের রাজনীতি করতেন। আসামিরা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও কাউন্সিলর নির্বাচন নিয়ে তার উপর ক্ষিপ্ত হয়। বুধবার সকালে তিনি স্ত্রীসহ গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। ১৫টি মোটর সাইকেল নিয়ে আসামিরা তাকে ঘিরে ফেলে চোরা, চাপাতি,ডেগার,চেনি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। হাসপাতালে নেয়ার পর তার মৃত্যু হয়। তিনি আরো বলেন, তারা আতংকে দিন কাটাচ্ছেন। জনপ্রতিনিধিদের নিকট যদি মানুষ নিরাপদ না হয় তাহলে কোথায় যাবে। তিনি ভাইয়ের হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি জানান।

এদিকে ১০ জুলাই কুমিল্লা নগরীতে মসজিদ থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে শত মানুষের সামনে ব্যবসায়ী আক্তার হোসেনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনার প্রধান আসামি কাউন্সিলর আলমগীর হোসেন চার মাসেও গ্রেফতার হয়নি। জামিনে ছাড়া পেয়েছেন মামলার অধিকাংশ আসামি। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নিহত ব্যবসায়ীর স্বজনরা।

সূত্র জানায়, ওইদিন শুক্রবার জুমার নামাজের পর নগরীর ২৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে ব্যবসায়ী আক্তার হোসেনকে হত্যার অভিযোগ উঠে। এই ঘটনায় কাউন্সিলর আলমগীরসহ ১০ জনকে আসামি করে মামলা করেন নিহত আক্তারের স্ত্রী রেখা বেগম। হত্যাকাÐের দিনেই তিনজনকে গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ করে পুলিশ।
নিহত ব্যবসায়ী আক্তার হোসেনের ছোট ভাই স্থানীয় যুবলীগ নেতা শাহজালাল আলাল অভিযোগ করেন, চার মাস পার হয়ে গেলো, মামলার প্রধান আসামিকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। এ মামলার অধিকাংশ আসামি জামিন পেয়েছে। ফেরারি আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের কোন তৎপরতা নেই।

প্রসঙ্গত, ২৪ জুলাই কুমিল্লা মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্ববায়ক পদ থেকে কাউন্সিলর আলমগীর হোসেনকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় কমিটি।

 কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আজিম-উল-আহসান বলেন, আমরা দুইটি মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারে চেষ্টায় আছি। আশা করছি দ্রুত তাদের আইনের আওতায় আনতে পারবো।

আরো পড়ুন