নতুন স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যাক ২০২৩

চাঁদনী আক্তার।।
পুরাতন বছরকে বিদায় দিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়া হয় নানা রকম উৎসবের মধ্য দিয়ে। উৎসবের কথা মনে আসলেই সর্বপ্রথম মাথায় আসে বাঙালি জাতির কথা। বাঙালি জাতি উৎসব প্রিয় জাতি। নিতান্তই তারা অবসর কাটায় বিভিন্ন উৎসব ও আমেজের মধ্য দিয়ে। তবে পূর্ণ চিত্র কিন্তু এমন নয়, অনেকেই জীবিকা নির্বাহের জন্য দিন রাত কঠোর পরিশ্রম করে, তাঁরা অবসরের সময় পায় না।
বাংলা নববর্ষের সাথে এখন ইংরেজি নববর্ষ ও ধুমধাম করে উদযাপন করা হয়। নতুন বছরকে কেন্দ্র করে বছরের প্রথম রাত অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বরকে বলা হয় থার্টিফার্স্ট নাইট। এ রাতকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য দেশের বিভিন্ন জায়গায় গান-বাজনা হইহুল্লোড়ের আয়োজন করা হয়। যেখানে আনন্দের প্রধান রসদ থাকে আতশবাজি, সাথে থাকে ডিজে ওয়ালা গান, ব্যান্ড পার্টি, সাউন্ড বক্সে সম্পূর্ণ ভলিউম দিয়ে সারারাত গান-বাজনা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়েও নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়া হয়, তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশে পাশের এলাকায় নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়ার নামে যে অশ্লীলতা পূর্ণ গান বাজনার আয়োজন করা হয় এবং এতই উচ্চস্বরে গান লাগানো হয়, এতে করে এলাকার বৃদ্ধ, নারী পুরুষ, শিশু সহ  মোটামুটি সবাই অসুস্থ হয়ে যায়, শিশুদের মানসিক ব্যাঘাত ঘটে। গত বছর শিশু তানজীমের হার্টফেল করে মৃত্যুর জন্য এই আতশবাজি ই দ্বায়ী। আতশবাজির উচ্চ শব্দে তানজীমের নরম হৃদয় চরমভাবে কেঁপে উঠে, কাঁদতে কাঁদতে তার গলা শুকিয়ে যায়, শ্বাসকষ্ট শুরু হয়, রাত শেষ হয়ে ভোরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
তাছাড়া বৃদ্ধ লোকদের অনেকেরই হার্টের সমস্যা আছে, আতশবাজি এবং উচ্চস্বরে গান বাজানোর জন্য অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ে। উচ্চস্বরে বাজনা যে শুধু মানুষের ক্ষতি করে,তা কিন্তু নয়, পাখিরা উচ্চ শব্দের কারণে ভীত হয়ে পড়ে। তাছাড়া বছরের শুরুর দিন ই অনেক বিভাগের পরীক্ষা থাকে, যার ফলে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় মন দিতে পারে না। ফলশ্রুতিতে শিক্ষার্থীদের জীবনে বিরূপ প্রভাব ফেলে।
আমাদের উচিত অসুস্থ ধারার বিনোদন ত্যাগ করে সুস্থ ধারার বিনোদন এর আয়োজন করা। নতুন বছর নতুন স্বপ্ন নিয়ে সবাই এগিয়ে যাক নিজ গন্তব্যে। মানুষ সার্থক হলেই তো তবেই তার বছর সার্থক হয়।

লেখক: শিক্ষার্থী , কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।

সদস্য: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (কুবিসাস)।