নদী জলাশয় সংকটে বিপন্ন বাংলাদেশ

।। মতিন সৈকত ।।
মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে লাখো প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশ। হাজার বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্য সমৃদ্ধ নাতিশীতোষ্ণ এ অঞ্চলের জলবায়ু। আমাদের দেশ পৃথিবীর অন্যতম ভূস্বর্গ। নদী মাতৃক বাংলাদেশ।
হাওড়-বাওড়, জলাশয়- জলাভূমি, খাল-বিল, ডোবা-নালা, পুকুর-দিঘি পরিবেষ্টিত। প্রাকৃতিক মাছের অভয়াশ্রম। শ্যামল, সুজলা, সুফলা শস্যের ভান্ডার।বণ্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য। পাখি-প্রকৃতি, জীববৈচিত্র্যের নৈসর্গিক সৌন্দর্য ভরপুর এ দেশ। মাটির উর্বরতার জন্য পাখির বিষ্টা থেকেও এ দেশে গাছ জন্মায়। বাতাসে উড়িয়ে নেওয়া বীজ থেকে গাছ উঠে, ফল ধরে, বৃক্ষে পরিণত হয়। স্বল্প পরিশ্রমে ফসল উৎপাদন হয়। মৌসুমী বারিপাতের পাশাপাশি স্বাভাবিক বৃষ্টি জনজীবনে স্বস্তির নিশ্বাস। খাল-নদী জোয়ার ভাটার টলমল। বিস্তুৃত জলাশয় চারপাশে। নয়ন জুড়ানো বর্ষায় মন মাতানো দৃশ্য ছিল চিরায়ত।
গান,কবিতা,গল্প-উপন্যাসে, শিল্পীর কণ্ঠে মহিমান্বিত দেশ। বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ অধিক জনসংখ্যার বাংলাদেশ। এত সমৃদ্ধির পরেও আমরা আজ দেশি, বিদেশি ষড়যন্ত্রের কবলে শিকার। নিজেদের অজ্ঞতা, অদূরদর্শীতা, অ-সচেতনতা, খামখেয়ালিপনা, যাচ্ছেতাই ব্যবহারের ফলে আজকে আমাদের জন্মভূমি পরিবেশ দূষণে মারাত্মক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে। মাটি, পানি, বায়ু দূষণে বাংলাদেশ চরম ক্ষতিগ্রস্ত। আবহাওয়া প্রতিদিন চরমভাবাপন্ন হচ্ছে।
বাংলাদেশের উজানে ফারাক্কা বাঁধসহ ৫৪টি অভিন্ন নদীতে ভারত বাঁধ দিয়ে আমাদের স্বাভাবিক পানির ধারা বন্ধ করে ফেলছে। জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবে জনজীবন অতিষ্ঠ। ইতিমধ্যে মরুকরণ শুরু হয়ে গেছে। খাল-নদীতে স্বাভাবিক পানি না থাকায় সমুদ্রের লবণাক্ত পানি সারা দেশে ছড়িয়ে পরছে। পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। পানির অভাবে মাছ, জলজ-প্রাণি-জীববৈচিত্র ফসলের মাঠে হাহাকার লেগে আছে।
১৯৭৪ সালে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের উজানে আন্তর্জাতিক নদী আইনকে ভারত পায়ে পিষে গঙ্গা নদীতে ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণ করে। সে বছর থেকে পানি প্রত্যাহার শুরু করে। ফারাক্কা বাঁধের মাধ্যমে ভারত শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশের পানি কেড়ে নিচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে স্লুইসগেট খুলে দিয়ে ভয়াবহ বন্য পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। ফারাক্কা বাঁধের ফলে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে ভয়াবহ মরুকরণ সৃষ্টি হয়েছে। নদীর পানির প্রবাহ না থাকায় ফসলের আবাদ মারাত্মক বিপর্যয় সৃষ্টি করছে। সুন্দরবনের মত বিশ্বের সেরা ঐতিহ্য হুমকির মুখে। পানির প্রবাহ সচল না থাকায় সমুদ্রের লবনাক্ত পানি দেশের অভ্যান্তরে প্রবেশ করে ফসল উৎপাদন বিপন্ন করছে। ভারত বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে বহমান ৫৪টি আন্তর্জাতিক নদীর পানি প্রত্যাহারের জন্য আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প করছে। যা বাংলাদেশকে বিনাশ করছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ভারতের রাহুগ্রাহসে বিধ্বস্ত। বাংলাদেশের পরিবেশ পরিস্থিতি জলবায়ু ভারতের আগ্রাসী ষড়যন্ত্রের কবলে বন্দী।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য, আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটি বাংলাদেশ সমন্বয় কমিটির সভাপতি ড, জসিম উদ্দিন আহমদ সম্পাদিত বাংলাদেশের অস্তিত্ব বিপন্নকারী ভারতের আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প (প্রকাশকাল ২০০৫) গ্রন্থটি সম্পাদনা করেন। তিনি বলেন ‘ বাংলাদেশের হাতে বসে থাকার কোন সময় নেই। ভারত আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প বাস্তবায়নের বেশ কিছু পর্যায় অতিক্রম করেছে। বর্তমান ভারত সরকার প্রকল্পটি আরও পরীক্ষা নিরীক্ষা করবে এবং বাংলাদেশের স্বার্থ যাতে বিঘিœত না হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। এতে সন্তুষ্ট হয়ে বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের বসে থাকা কোনক্রমেই সমীচীন হবেনা। পুরো প্রকল্পটি বাংলাদেশের অস্তিত্বের প্রতি হুমকিস্বরূপ তাই বাংলাদেশের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য প্রকল্পটির বাতিলই একমাত্র সমাধান। একই প্রবন্ধে তিনি উল্লেখ করেন’ এজন্য বাংলাদেশ সরকারকে ভারত যাতে ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানি প্রত্যাহারের জন্য প্রকল্পটির সব ধরনের কাজ বন্ধ করে সে জন্য আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক ও দ্বিপাক্ষিক পর্যায়ে চাপ সমাধান হবে বলে আশা করেন। কিন্তু অতীত ইতিহাস পর্যালোচনা এবং প্রকল্পটির কোনো পার্যায়েই বাংলাদেশকে অবহিত না করায় এ ধরনের আশাবাদ ব্যাক্ত করার কোনো কারণ থাকতে পারেনি’।
আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান ইউসুফজাই সালু নদী বাঁচাও, দেশ বাঁচাও, বাঁচাও বাংলাদেশ শীর্ষক ২০০৫ প্রকাশিত রচনায় উল্লেখ করেন “ভারত এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তিস্তা, মহানন্দা, মনু, খোয়াই ও গোমতী নদীর গতিপথে বাঁধ নির্মাণ করে পানি প্রত্যাহার শুরু করেছে এবং ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ ভূখ-ে তিস্তা ও মহানন্দার বুকে জেগে উঠেছে ধূঁ ধূঁ বালুচর। ব্রক্ষপুত্র ও মেঘনার উজানেও বাঁধ নির্মাণের প্রস্তুতি চলছে। এমতাবস্থায় ভারতের নতুন চক্রান্ত অনুসারে ব্রক্ষপুত্র ও মেঘনাসহ অধিকাংশ অভিন্ন নদ-নদীর উপর যদি বাঁধ নির্মাণের কাজ বাস্তবায়িত হয়, তাহলে বাংলাদেশের মানুষ এক অমানবিক ও ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হবে। দেশ সম্পূর্ণরূপে মরুভূমিতে পরিণত হবে, কৃষি উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাবে গাছ পালা, পশু পাখিরা মরে যাবে, মহিলা ও শিশুদের জীবন হবে আরো বিপন্ন, কারণ পানি সংগ্রহের কাজটি দুরূহ হয়ে পরবে, ওজু-গোসল, প্রার্থনা ও রান্না বান্না করার পানি থাকবেনা, পুকুর শুকিয়ে যাবে, এমনকি টিউবওয়েল দিয়েও পানি উঠবেনা। যার ফলে তৃষ্ণা মেটানোর জন্য বিশুদ্ধ পানিও মিলবেনা, যদিবা নদীতে কিছু পানি পাওয়া যায়, তাহবে লবণাক্ত, সমুদ্র থেকে আসা লোনা পানিতে সয়লাব।”
জাতিসংঘের পরিবেশ বিশেষজ্ঞ, আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি ড. সাইফুল ইসলাম খান (ড. এস,আই, খান) ভারতের আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্পের মাধ্যমে পানি প্রত্যাহারঃ বাংলাদেশের বিপর্যয় প্রবন্ধে লেখেন “গঙ্গা, ব্রক্ষপুত্র ও মেঘনা নদী এবং এগুলোর উপনদী থেকে পানি সরিয়ে নিয়ে ভারতের সুদূর হরিয়ানা, রাজস্থান, গুজরাট ও দাক্ষিণাত্য পানি সরবরাহের একটি বৃহৎ পরিকল্পনা ভারত সরকার একতরফাভাবে বাস্তবায়িত করছে। ভাটির দেশ বাংলাদেশকে কোন রকম অবহিত না করা এবং বাংলাদেশের পানি সরিয়ে আন্তর্জাতিক রীতি এবং ভারত-বাংলাদেশ যৌথ নদী কমিশনের কার্যক্রম পরিপন্থী।”
আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির বাংলাদেশ সমন্বয়কারী কাজী মোস্তফা কামাল ‘ফারাক্কা একটি অভিশাপের নাম’ কবিতায় লেখেন “ফারাক্কা একটি অভিশাপের নাম / একটি নয়, দুটি নয় প্রায় বিশখানা এটমের সমান। / তার প্রতিক্রিয়া খরা, আজন্ম আর মরুভূমি। / এটমের প্রতিক্রিয়া শেষ হয় একদিন / ফারাক্কার প্রতিক্রিয়া থাকবে চিরদিন /”

গ্রীণ হাউজ প্রতিক্রিয়ার কারণে বিশ্বের গড় উষ্ণতা বেড়ে যাওয়ার ফলে সাগরের উচ্চতা বৃদ্ধি পেলে সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর প্রথম কাতারেই বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্থ হবে। নগরায়নের অশুভ প্রতিযোগিতা, রাস্তা, আবাসন, কলকারখানা, কর্মসংস্থানের প্রয়োজনে জলাভূমি বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভাতে ও পানি পাচ্ছেনা। সেচের পানির অভাবে কৃষি জমি হুমকির মুখে।
এমতাবস্থায় দেশের খাল-নদী জলাশয় সংরক্ষণে সকলের সম্মিলিত ঐক্যবদ্ধ সহযোগিতা অনিবার্য।
দেশব্যাপী জনসচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করার জন্য জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন। সরকারের পাশাপাশি বিজ্ঞানী, গবেষক, সাংবাদিক, শিক্ষক, সুশীল সমাজ, রাজনীতিক, প্রশাসক, রাষ্ট্র এবং সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্ষদ, পরিবেশবাদীসহ সকল পেশার স্বেচ্ছাসেবী এবং জনগণের সহযোগিতা জরুরি। দেশের জন্য মেধা, শ্রম,অর্থ, সময় ব্যায় করে কাজ করতে হবে।
হাজারো নদীর পলির অববাহিকায় গড়া শ্যামল সুন্দর বাংলাদেশ। পদ্মা, মেঘনা, যমুনার মত বড় বড় নদীর পাশাপাশি অগণিত নদী আমাদের অস্তিত্বে মিশে আছে। খাল, বিল, জলাশয়, প্লাবনভূমি নদীর উপস্থিতি জানান দেয়। নদী ভিত্তিক বাংলাদেশ কৃষি নির্ভর জনজীবন।
মাছে ভাতে বাঙালি। প্রাকৃতিক মাছের উৎস নদী। ভাত আসে ধান থেকে। বেশির ভাগ বোরোধান উৎপাদন হয় নদীর পানি সেচের মাধ্যমে। নদীর ভালোবাসা বর্ষাকাল। অধিকাংশ অঞ্চল প্লাবিত হয়। নদী বাঁচলে পরিবেশ রক্ষা পাবে। জলবায়ু স্থিতিশীল হবে।
শরীরের শিরা-উপশিরায় রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে যেমন প্রাণী বেঁচে থাকে। তেমনি নদ-নদীর পানির সাহায্যে ফসলের মাঠ বেঁচে আছে। কবি নদীকে মাতৃস্তনের সাথে উপমা দিয়েছেন। স্থল ভাগের জীববৈচিত্র্যের চেয়ে পানির নিচের জীববৈচিত্র্যে আরো বেশি অদ্ভুত।
নদী মাতৃক বাংলাদেশে অসংখ্য নদ-নদী চারপাশ ঘিরে রেখেছে। বাংলাদেশের অধিকাংশ বড় নদীর উৎপত্তি পাশের দেশে। তাদের উপর বাংলাদেশের পানির ভাগ্য নির্ভর করে। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ যে পরিমাণ পানি পাওয়ার কথা সে ন্যায্যা হিস্যা থেকে বঞ্চিত। জাতীয় নদী কমিশন নদী রক্ষার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়সহ নদী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নদী রক্ষায় অতন্দ্র প্রহরী হতে হবে।
জেলা-উপজেলা প্রশাসনের সাথে স্থানীয় জণগণ নিজেদের অঞ্চলের নদী, খালবিল, জলাভূমি সংরক্ষণে সোচ্চার হতে হবে। সবার আগে নদী পাড়ের জনগণকে নদী রক্ষার ক্ষেত্রে জাগতে হবে। জলবায়ুর পরিবর্তন ও বিরূপ প্রভাবের কারণে দেশের নদ-নদীর করুণ পরিস্থিতি। কলকারখানার ক্যামিকেল, বর্জ্য- আবর্জনায় নদীর পানি বিষাক্ত। বর্ণহীন, বিষাদ। মাছ এবং জলজপ্রাণী ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। বুড়িগঙ্গার উদাহরণ এখন সর্বত্র। পানির রং পোড়া মবিল, আলকাতরার মত। নদীর পানি কখনো কেউ এমন বিশ্রী, দূষিত দেখেনি?
নদী জাতীয় সম্পদ। নদীর সাথে আমাদের রিজিকের সম্পর্ক। জীবনের ঘনিষ্ঠতা।
কোন অবস্থাতেই নদী হত্যা করা যাবেনা। নদী পূনঃখনন করে জলধারা সচল রাখতে হবে।
‘প্রবহমান নদী যে সাঁতার জানে না তাকেও ভাসিয়ে রাখে’। স্বচ্ছ সুন্দর প্রবহমান নদী চাই। প্রাসঙ্গিক হওয়ায় আমার ‘কেমন নদী চাই’ শীর্ষক কবিতাটি উল্লেখ করা হলো।
রূপবতী যুবতী লাস্যময়ী স্রোতস্বিনী রাজকন্যা নদী চাই/
সারা বছর নৌচলাচল, জোয়ার ভাটার টলমল যেন পাই।/
মাছের অভয়াশ্রম, ফসলে সেচ, প্রকৃতির অপরুপ দৃশ্য /
নদী মাতৃক বাংলাদেশের সুনীল জলধারায় মুগ্ধ বিশ্ব। /
পলিথিন প্লাস্টিক আবর্জনা দখল দূষণ মুক্ত নদী চাই /
ভূমিদস্যু, নদীদস্যু মুক্ত মনোমুগ্ধকর পরিবেশ যেন পাই।/
বাংলাদেশ নদী মাতৃক দেশ, অসংখ্য নদ-নদী ঘেরা এ বদ্বীপ /
সবুজ সজীব শ্যামল বাংলায় হাতিয়া সন্দীপ নিঝুম দ্বীপ /
দাউদকান্দি ছুঁয়েছে মেঘনা গোমতী তিতাস কাঁঠালিয়া/ ধনাগোদা খিরাই কালাডুমুর দিয়ে রেখেছে বাধিঁয়া/
দিনের আলোয় ঝিকিমিকি, রাতে জোৎস্নার ঢেউ/
মন জুড়ানো গানে হারানো বন্ধু খুঁজে পাবে কেউ।/
মাঝ নদীতে হঠাৎ করে ভেসে উঠবে জলজপ্রাণী/
পাড়ে ঘুরে বেড়াবে পাখি, কচ্ছপ, নানা বন্য প্রাণী। /

লেখক, জাতীয় পরিবেশ পদকসহ দুইবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদক প্রাপ্ত সংগঠক। আহবায়ক, খাল-নদী জলাভূমি সংরক্ষণ জাতীয় কমিটি।