নির্লোভ রাজনৈতিক নেতা আমীর হোসেন

 

।। মোতাহার হোসেন মাহবুব।।

আমীর হোসেন একজন রাজনীতিবিদ ও বিজ্ঞ আইনজীবী ছিলেন, এর পাশাপাশি তাঁর রাজনৈতিক পরিচয়ের আগে নির্লোভ ও নিরহঙ্কার শব্দ দুটি সংযোগ করা সমীচীন। অবশ্যই সংযোজন করতে হবে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠন, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও সংস্কৃতিবান মানুষ। সারাজীবন রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন- মানুষের কল্যাণের জন্যে ব্যক্তিস্বার্থে নয়। সমাজ বিনির্মাণের জন্য তিনি আজীবন কাজ করেছেন- এমন উপমা আজকাল বিরল। তাই তাঁর সম্পর্কে জানা ও জানান দেয়ার তাগিদ অত্যাবশ্যক।

জন্ম:
১৯৩৩ সালের ১ আগস্ট আমীর হোসেন ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শিদলাই এলাকার নয়াপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। মাতা ইজ্জতুনেছা, পিতা জিয়া উদ্দিন সরকার- যিনি ফরায়েজী আন্দোলনের সাথে জড়িত ছিলেন। গ্রামের একজন স্বনামধন্য মাতব্বর ছিলেন। পিতা-মাতার চার সন্তানের মধ্যে আমীর হোসেন ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ। তাঁর বড় ভাই মক্তুল হোসেন গ্রামের মাতাব্বর ছিলেন। আরেক ভাই মকবুল হোসেন দীর্ঘ পঁচিশ বছর একাধারে ঢাকা ধানমন্ডি এলাকার কমিশনার ছিলেন। আমীর হোসেনের পারিবারিক বলয়ে সামাজিক নেতৃত্বের প্রয়াস ছিল দীর্ঘদিনের।

শিক্ষাজীবন:
লতিফিয়া জুনিয়র মাদ্রাসায় আমীর হোসেনের বিদ্যারম্ভ। এরপর মুরাদনগর থানার (বর্তমান উপজেলা) বাঙ্গরা হাই স্কুলে ভর্তি হন এবং এখান থেকেই ১৯৪৮ সালে মেট্রিকুলেশন পাস করেন। ১৯৪৩ সালে যখন তিনি এ স্কুলে ভর্তি হন তখন হেঁটে বাড়ি থেকে স্কুলে যেতেন। ৭ম শ্রেণিতে অধ্যয়ন অবস্থায় তিনি কুড়ের পাড়ে জায়গির হিসেবে থাকতেন। ওখানে ৪ জন শিক্ষার্থীকে পড়াতেন। ৮ম শ্রেণিতে অধ্যয়ন কালে শিমলার পাড়ে জায়গির থাকতেন। ১০ম শ্রেণিতে অধ্যায়নকালে কুড়েরপাড় সাব বাড়িতে জায়গির থেকেছেন। ওই বাড়ির লোকজনের সাথে তাঁর আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিল। ওই বাড়ির ছেলে আবদুল আজিজ ব্রিটিশ আমলে ইনকাম ট্যাক্স কমিশনার ছিলেন। স্কুলে অধ্যয়ন কালে যাবতীয় খরচ দিতেন আমীর হোসেনের মেজো ভাই জাহিদুল হোসেন। মেট্রিকুলেশন পাসের পর তিনি চেয়েছিলেন আমীর হোসেন যেনো এলএমএফ ডাক্তারি পড়েন। এলএমএফ-এ ভর্তি হয়েছিলেন আমীর হোসেন, কিন্তু ভালো না লাগাতে ক্লাস করেন নি। এরপর তিনি ভৈরব হাজী হাজমত কলেজে ভর্তি হন একাদশ শ্রেণিতে। কলেজ হোস্টেল থেকে লেখাপড়া করেন। ৩-৪ মাস পর মেজো ভাই ঢাকায় চাকরিতে যোগদান করলে তিনিও ওখানে চলে যান। এ সময় তিনি একটি ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানিতে হিসাব রক্ষক পদে চাকরি করতেন। ঢাকায় হাতিরপুলে মতিন সাহেবের বাসায় থাকতেন। আমীর হোসেনের চাকরিস্থল ছিল সচিবালয়ের কাছে। এক বছর তিনি এ চাকরি করেছিলেন। কারণ এ চাকরি করে পড়াশুনা করা সম্ভব হয়ে উঠতো না। তিনি অত্যন্ত কষ্ট করে লেখাপড়া শিখেছেন। তাঁর এইচএসসি পরীক্ষার ফরম ফিলাপের টাকা দিয়েছিলেন মুরাদনগর এলাকার উপাধ্যক্ষ আবদুর রাজ্জাক। পরে আমীর হোসেনের ভাতিজা আউয়াল চেয়ারম্যানের নানা আজগর আলী সরকার ওই টাকা পরিশোধ করেন। এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিবর্তন করে ঢাকার জগন্নাথ কলেজ থেকে পরীক্ষা দেন। রোল নম্বর নিয়ে পরীক্ষার দিন সমস্যা দেখা দেয়। ওইদিনই প্রভাষক খালেকের সহযোগিতায় তা ঠিক করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। এভাবে অনেকটা প্রতিকূল পরিবেশের মধ্য দিয়ে আমীর হোসেন এইচএসসি পাস করেন। এরপর পিএমজি অফিসে কেরানি পদে চাকরিতে যোগদান করেন। বেতন পেতেন ১৩৪ টাকা। ওই সময়ে জগন্নাথ কলেজে নাইট শিফটে বিএ-তে ভর্তি হন। একই সময় তিনি তাঁর মেঝো ভাইসহ হাতিরপুলে মতিন সাহেবের চাচার বাসায় ভাড়াটে হিসেবে থাকতেন। বেতনের পুরো টাকাই মেজো ভাই জাহিদুল হোসেনকে দিতেন। ১৯৫৪ সালে আমীর হোসেন জগন্নাথ কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। এরপর ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে নাইট শিফটে ভর্তি হন। তিনি তখনও পিএমজিতে চাকরি করতেন। মেজো ভাই চেয়েছিলেন এমএ-তে ভর্তি করাতে। কিন্তু জীবনে চাকরি করবেন না বিধায় তিনি ল’তে ভর্তি হয়েছিলেন। ল’ পড়ার মাঝামাঝি সময়ে তিনি ধানমন্ডি ভূতের গলি বাসায় চলে যান। সকালে বাসা থেকে বের হয়ে পিএমজি অফিসে চাকরি করে কোনো প্রকার খাওয়া-দাওয়া ছাড়াই চলে যেতেন ল’ ক্লাস করতে। সলিমুল্লাহ হলে সিট পেয়েও টাকার অভাবে থাকতে পারেন নি। ল’ অধ্যয়ন কালে এটিএম শামসুল হক তাঁর সহপাঠী ছিলেন। ১৯৬২ সালে তিনি ল’ পাস করেন।

রাজনৈতিক জীবন:
আমীর হোসেনের ছাত্র জীবনেই রাজনৈতিক জীবনের সূত্রপাত। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের সময় তিনি ভার্সিটি কমিটি অব এ্যাকশনের কনভেনার ছিলেন। কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক গাজী গোলাম মাহমুদ তাঁর সাথে সবসময় যোগাযোগ রাখতেন। একুশে ফেব্রুয়ারিতে যখন ঢাকায় হাইকোর্টের সামনে গুলিতে রফিক শহিদ হন তখন তিনি সচিবালয়ের পূর্বদিকে মিছিলে ছিলেন। তখন পিএমজি অফিস জগন্নাথ হলে থাকার কারণে এখান থেকেই সবাই মিলে মিছিল বের করতেন। আমীর হোসেন ছাত্রাবস্থায় পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। বঙ্গ শার্দুল মেজর গণির মৃত্যুতে ওই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ১৯৫৭ সালের নভেম্বরে তিনি প্রার্থী মনোনীত হন। ১৯৫৮ সালের জানুয়ারিতে এ উপ-নির্বাচন হয়। এ নির্বাচনে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রফেসর মফিজুল ইসলামকে বিশাল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে তিনি নির্বাচিত হয়েছিলেন। এ নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের প্রার্থী ছিলেন কসবার চারগাছ এলাকার নুরুল ইসলাম ভূইয়া। আমীর হোসেনের পক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৫-২০ দিন সভা-সমিতিতে বক্তব্য রেখেছিলেন। আমীর হোসেনের বয়স তখন মাত্র ২৬ বছর। ১৯৫৮ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আইউব খান ক্ষমতায় এসে প্রাদেশিক পরিষদ বিলুপ্ত করেন। এর ২ বছর পর তথা ১৯৬০ সালে পরোক্ষ রাজনৈতিক চর্চা আবারো শুরু হয়। ওই সময় রাজনীতি করা খুবই কঠিন ছিল। আমীর হোসেন ওই সময়েও রাজনীতি বন্ধ রাখেন নি। ১৯৬৮ সালে তখনকার আইউব সরকার শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে আগরতলা ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করেন। শেখ মুজিব ১৯৬৯ সালে কারামুক্তি পান। ‘৬৮-র আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন ও ‘৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানেও আমীর হোসেন অগ্রণী ভূমিকা রাখেন। ১৯৭০ সালে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে এমপিএ নির্বাচিত হন। ১৯৭৪ সালে বাকশাল গঠিত হলে আমীর হোসেন মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে বাকশাল থেকে বেরিয়ে আওয়ামী লীগ মিজান গ্রুপে যোগদান করেন। ১৯৭৮ সালে মিজান আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মই মার্কায় এমপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টি থেকে লাঙল মার্কায় এমপি নির্বাচনেও পরাজয় বরণ করেন। জনসমর্থনের দিক থেকে তিনি এ সময় খানিকটা পিছিয়ে পড়লেও জনসেবার দিক থেকে পিছপা হননি। ১৯৭২ সালে তাঁরই প্রতিষ্ঠিত শিদলাই আমীর হোসেন জোবেদা কলেজের মাধ্যমে তিনি সমাজের অবহেলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠীদের লিখিত ও দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করতে নিরলসভাকে আমরণ কাজ করেছেন। জনদরদী একজন নেতা হিসেবে এলাকার সার্বিক উন্নয়নে তিনি আজীবন কাজ করেছেন।

মুক্তিযুদ্ধের পাঠক:
এডভোকেট আমীর হোসেন শুধুমাত্র একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাই ছিলেন না, ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আক্রমণ চালালে কুমিল্লার স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে যোগাযোগ ও আলোচনার ভিত্তিতে এডভোকেট আমীর হোসেন ভারতের আগরতলায় যান। প্রথমে আগরতলায় কংগ্রেস ভবনে তিনি সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ আশ্রয় গ্রহণ করেন। পরে তিনি এমপি হোস্টেলে যান। এরপর তিনি আগরতলায় খড়ের পুরের দূর্গা চৌধুরী পাড়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য একটি প্রশিক্ষণ ক্যাম্প গড়ে তুলেন। এ ক্যাম্পটি গোমতি ক্যাম্প নামে পরিচিত ছিল। তিনি ক্যাম্পের ক্যাম্পচীফ ছিলেন। বৃহত্তর বুড়িচং এলাকার লোকজন এ ক্যাম্পেই যেতেন। এডভোকেট কিরণময় দত্ত এ ক্যাম্পের ডেপুটি কমান্ডার হিসেবে তাঁকে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করতেন। এ ক্যাম্পে বাছাই করে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অন্যান্য ক্যাম্পে বাছাইকৃত লোকজনদের পাঠানো হতো। এ ক্যাম্পে আবদুল মতিন খসরু, এডভোকেট সিদ্দিকুর রহমানসহ বুড়িচং এলাকার অনেকেই যেতেন।

শেষ জীবন ও মৃত্যু:
স্বাধীনতা-উত্তর কালে এডভোকেট আমীর হোসেনের রাজনৈতিক জীবনে দলীয় প্রভাব কাটতে শুরু করে। তবে বাকশাল গঠনের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন- এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। যদিও তিনি নৌকার বদলে মই মার্কা নিয়ে ১৯৭৮ সালে নির্বাচন করেছিলেন। তবে তা আওয়ামী লীগের ব্যানারেই। এমনকি ১৯৮৬-তে লাঙল মার্কা নিয়ে নির্বাচন করলেও আওয়ামী লীগের প্রতি তাঁর আন্তরিকতার কমতি ছিল না। সর্বোপরি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি ছিল তাঁর অকৃত্রিম শ্রদ্ধাবোধ। এ দলের যে কোনো কর্মীকে সহযোগিতা করতে তিনি কখনো পিছ পা হতেন না। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। এলাকার লোকদের শিক্ষিত করে তোলার লক্ষ্যে কলেজ স্থাপন করেছেন। আত্মীয়-স্বজনদের প্রতি ছিল তাঁর গভীর মমত্ববোধ। ২০০৫ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তিনি মৃত্যুবরণ করেন। জাতি হারালো একজন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, নিঃস্বার্থ রাজনৈতিক নেতা ও সমাজসেবাককে।

মৃত্যু উত্তর মূল্যায়ণ:
গবেষক মামুন সিদ্দিকীর সম্পাদনায় আমীর হোসেন স্মরণে ‘মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আমীর হোসেন’ শীর্ষক একটি স্মারকগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। এ স্মারক গ্রন্থের প্রাথমিক পর্যায়ের বেশ কিছু কাজ তথা গুণীজনদের কাছ থেকে লেখা সংগ্রহ, কম্পোজ করা, প্রুফ দেখা ইত্যাদি করার সুযোগ হয়েছিল। পরবর্তী পর্যায়ে এটি স্বয়ংসম্পূর্ণ করেন মামুন সিদ্দিকী। তাঁকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছেন আমীর হোসেনের ছেলে ক্যাপ্টেন (মেরিন) জিয়াউল হাসান মাহমুদ। এ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসবের আয়োজন করে বিনয় সাহিত্য সংসদ। ২০১০ সালে ২৭ ফেব্রুয়ারি এ প্রকাশনা উৎসব বীরচন্দ্র গণপাঠাগার ও নগর মিলনায়তনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কুমিল্লা জেলার তৎকালীন জেলা প্রশাসক মোঃ হাসানুজ্জামান কল্লোল। বিশেষ অতিথি ছিলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর আমীর আলী চৌধুরী। বিনয় সাহিত্য সংসদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোসলেহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন মাহবুবের সম্পাদনায় এ গ্রন্থ প্রকাশনা উৎসবে বক্তব্য রাখেন গ্রন্থের সম্পাদক মামুন সিদ্দিকী। আলোচক ছিলেন কুমিল্লা বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, সোনার বাংলা কলেজের অধ্যক্ষ আবু ছালেক মোঃ সেলিম রেজা সৌরভ, শশীদল আলহাজ¦ আবু তাহের কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আবদুল কাইয়ুম, সনাকের সাবেক সভাপতি বদরুল হুদা জেনু। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজুর রহমান বাবলু (বর্তমানে কুমিল্লা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান)। বক্তারা বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক আমীর হোসেনের ভূয়সী প্রশংসা করেন। এছাড়াও আমীর হোসেনের মৃত্যু উত্তর কালে শিদলাই এলাকায় একাধিক শোকসভা/স্মরণ সভা, দোয়া ও মিলাদের আয়োজন করা হয়।

লেখক: কবি, সাংবাদিক ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক।