নিয়ম মানছে না কুমিল্লার কাজীরা

 

আবু সুফিয়ান রাসেল।।

বিবাহ নিবন্ধন ফি, তালাক নিবন্ধন ফি ও নকল প্রাপ্তির ফি আদায়ে নিয়ম মানছেন না কাজীরা। ফি আদায়ের ক্ষেত্রে লেনদেনেও দেওয়া হয় না রশিদ।কাউন্সিলর, কমিশনার ও চেয়ারম্যান কার্যালয়ের সামনে নেই এ সংক্রান্ত ফি তালিকা।

মুসলিম বিবাহ ও তালাক নিবন্ধন বিধিমালা ২০০৯ এর ২১ নম্বরে বলা হয়েছে বিবাহ নিবন্ধনে প্রতি হাজারে ১০ টাকা আদায় করা যাবে। যা সর্বোচ্চ ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত রশিদের মাধ্যমে বিবাহ নিবন্ধক নিতে পারবেন। তালাকনামা ফি দুই শত টাকা। নিকাহ রেজিষ্ট্রার নকল প্রাপ্তির জন্য ১০ টাকা ফি প্রদান করতে হবে। তবে এ বিষয়ে গেজেটে প্রকাশিত ফি আদায়ের রশিদ ফটোকপি করে ব্যবহারের নির্দেশনা রয়েছে।


আরও পড়ুন>>

কাজী নেই নগরীর দুই ওয়ার্ডে

নাঙ্গলকোট উপজেলার মৌকারা গ্রামের হাফেজ মো. রুহুল আমিন জানান, বিবাহ নিবন্ধনে ফি আদায়ের পর কাজী কোন রশিদ প্রদান করেননি। নকল উঠানোর জন্য দিতে হয়েছে হাজার টাকা। এ টাকার রশিদ নিয়েও কাজীর সাথে তর্ক বিতর্ক হয়।

বাংলাদেশ নিকাহ রেজিষ্ট্রার সমিতি কুমিল্লা মহানগর সাধারণ সম্পাদক কাজী মাওলানা মো. ওলিউল্লাহ বলেন, আর্থিক লেনদেনে রশিদ দেওয়ার নির্দেশনা আছে। যদি কোন কাজী না দেয়, তিনি নিয়ম ভঙ্গ করেছেন। ফি তালিকা ইন্টারনেটে দেওয়া আছে, এ জন্য তালিকা আমরা ঝুলিয়ে রাখি না। আর এ ফি ১৫ শতাংশে উন্নীত করার জন্য মাননীয় আইনমন্ত্রীর সাথে আমাদের আলোচনা চলমান আছে।

কুমিল্লা জেলা রেজিষ্ট্রার মো. আনোয়ারুল হক চৌধুরী বলেন, কাজী সাহেবদের কাজের জবাবদিহিতা আমাদের কাছে নেই। বাল্য বিবাহ হয়, সে কমিটিতে জেলা রেজিষ্ট্রারগণ নেই। তারা কত টাকা মানুষ থেকে নেন, তাও আমরা জানি না। কুমিল্লার একাধিক কাজী বাল্য বিবাহ নিবন্ধনের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন। সে বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর আমরা জেনেছি।