‘পরিবহন চাঁদাবাজিতে বেশ কিছু সিন্ডিকেট জড়িত’
মোহাম্মদ শরীফ।
পরিবহনে চাঁদা রোধে বিশেষ উদ্যোগের কথা জানালেন কুমিল্লার পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান। মাঠ পর্যায় থেকে শুরু করে মূল হোতাদের খোঁজে বের করে ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। তাছাড়া এসব কাজে পুলিশের কোনো সদস্য জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণের হুশিয়ারি দিয়েছেন কুমিল্লার পুলিশ সুপার।
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময়কালে যানজট ও পরিবহনের চাঁদাবাজ রুখতে এসব পদক্ষেপের কথা বলেন তিনি। এসময় তিনি কুমিল্লা নগরীর যানজট সমস্যা সমাধানে সিটি করপোরেশন,জেলা প্রশাসনের সাথে সম্মিলিত ভাবে ফুটপাথ স্থায়ী ভাবে দখল মুক্তের উদ্যোগ গ্রহণের কথা জনান।
আবদুল মান্নান বলেন, ‘কুমিল্লা নগরীর যানজট রোধ করতে আমার কার্যালয়ে জেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশন, বাস মালিক ও শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে বৈঠক করেছি। বুধবার থেকে আমরা অভিযান শুরু করবো। বাদুরতলা থেকে তেলিকোনা পর্যন্ত ফুটপাথের দোকানপাট উচ্ছেদ করা হবে। শহরে বাস, ট্রাক প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হবে। ইতিমধ্যে এই কার্যক্রম চলছে। যত্রতত্র যাত্রী উঠানামা বন্ধ করা ও অবৈধ স্ট্যান্ড সরানো হবে। ইতিমধ্যে শাসনগাছা বাস টার্মিনাল কর্তৃপক্ষের সাথে আমাদের কথা হয়েছে, তারা মূল সড়কে যাত্রী উঠা নামা করাবেন না।’
এছাড়া সড়কে চাঁদাবাজি ও টোকেন বাণিজ্যে পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছেন কুমিল্লার এই পুলিশ সুপার। সড়কে চাঁদাবাজদের তথ্য সংগ্রহ ও তাদের কর্মকা- পর্যালোচনায় রয়েছে বলে জানান তিনি। তাছাড়া পুলিশের কোনো সদস্য এসব চাঁদা আদায়ে জড়িত থাকলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেন আবদুল মান্নান।
তিনি বলেন, ‘সড়কে কোনো পুলিশ সদস্য চাঁদাবাজিতে জড়িত থাকলে সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রদানের আহবান করছি। প্রমাণ মিললে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’
একপ্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সড়কে চাঁদাবাজি অন্যায় কাজ। আমি নিজ হাতে একজনকে ধরে সদর দক্ষিণ থানায় দিয়েছি। পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি এখানে বেশ কিছু সিন্ডিকেট জড়িত আছে। শহরে আগের চেয়ে অনেকটা চাঁদাবাজি কমেছে বলে আমি বিশ^াস করি। এটা বন্ধ করতে একজন পুলিশ সুপার হিসেবে যা যা করণীয়, আমি তাই করবো।’
চাঁদাবাজি বা হয়রানির শিকার হলে ভুক্তভোগীকে সরাসরি পুলিশ সুপারের বরাবর অভিযোগ করারও আহবান জানান তিনি।