পাঁচ কিলোমিটার কাদাপানিতে থৈ- থৈ
মহিউদ্দিন মোল্লা।।
কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের বেহাল দশা দীর্ঘদিনের। বৃষ্টিতে দুর্ভোগে পড়েছেন এ সড়কে চলাচলকারী যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা। বেশি ভয়ংকর কুমিল্লার বাগমারা বাজারের এক কিলোমিটার,লাকসামের মিশ্রি ও জংশনের দুই কিলোমিটার। এছাড়া লাকসামের হাউজিং বাইপাসের দুই কিলোটার এলাকা। এখানে ভাঙ্গা সড়কে প্রতিনিয়ত যানবাহন আটকে যাচ্ছে। যানবাহন উল্টে যাচ্ছে। সড়কের একেক গর্তের গভীরতা তিন ফুটের বেশি। বৃষ্টির পানি জমে তা পুকুরে পরিণত হয়েছে। কাদা আর পানিতে থৈ- থৈ এই সড়কে পায়ে হাঁটার উপায় নেই। গর্তের কারণে গাড়ি চলছে ধীরগতিতে। সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। এছাড়া এই মহাসড়কের সোনাইমুড়ী চাষীর হাট, নাথেরপেটুয়া, সোনাইমুড়ি-চৌরাস্তায় পিচ ঢালাই সড়কের খোয়া উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
সূত্রমতে,এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, লক্ষীপুরের বিভিন্ন উপজেলার পণ্যবাহী গাড়ির চালক ও যাত্রীরা। অসংখ্য খানা-খন্দের পাশাপাশি বিজয়পুর, মনোহরগঞ্জের খিলাবাজার, বিপুলাসার ও নাথের পেটুয়া বাজার এলাকার রাস্তা সরু হওয়ায় প্রায়ই যানজট লেগে থাকে। সড়কটির দু’পাশে পানি নিষ্কাশনে কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই।
দৌলতগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন বলেন, দৌলতগঞ্জ বাজারের হাউজিং বাইপাসের বেহাল অবস্থা। রাস্তার বেহাল দশার কারণে এ বাজারের ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা ভোগান্তিতে পড়েছেন। এ সড়কটির দুরাবস্থার কারণে পণ্যবাহী যানবাহন চালকরা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রায় দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করেন।
বাস চালক কামাল হোসেন বলেন, নোয়াখালী-কুমিল্লা সড়ক থেকে প্রত্যন্ত গ্রামের রাস্তা আরো ভালো। এ সড়কের ওপর দিয়ে গাড়ি চালাতে গিয়ে গাড়ির যন্ত্রাংশ নষ্ট হচ্ছে। সড়কের গর্তে ঢেউ তুলে গাড়ি চালাই, সড়কে না পুকুরে গাড়ি চলে বুঝা যায় না!
সড়ক ও জনপথ বিভাগ কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী ড. মোঃ আহাদ উল্লাহ বলেন, বর্তমানে রাস্তার অবস্থা খারাপ হলেও করোনার কারণে সংস্কার কাজ ঠিকভাবে করা যায়নি। সংস্কারের চেষ্টা করছি।