পানিতে বসে মোম বাতির আলোয় পরীক্ষা!
আবদুল্লাহ আল মারুফ।।
হাঁটু পানিতে বসে আছেন পরীক্ষার্থীরা। পানিতে হেঁটে শিক্ষকরা দিলেন পরীক্ষাপত্র ও প্রশ্নপত্র। এমন চিত্র কুমিল্লা নগরীর কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজের। এদিকে বিদ্যুত বিভ্রাটে সার্জার লাইট,মোবাইল ফোনের আলো ও মোমবাতিতে পরীক্ষা দিতে হয়।
শিক্ষার্থী, কলেজ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতায় টইটম্বুর কুমিল্লা নগরী। পুরো শহরেই জলাবদ্ধতায় হাঁটু পানি জমে যায়। নিচু এলাকা হওয়াতে সামান্য বৃষ্টিতেই ডুবে যায় মহিলা কলেজ। রবিবার দুপুরের বৃষ্টিতে টইটম্বুর অবস্থা হয়ে যায় কলেজ ক্যাম্পাসের। এসময় পরীক্ষা চলছিল স্নাতক চতুর্থ বর্ষের।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী নাহিদুল ইসলাম বলেন, গতকাল আমাদের চতুর্থ বর্ষ সমাপনী পরীক্ষা ছিল। ১টা ৩০ এ পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। বাসা থেকে বের হয়েছি শুকনো। হলে জেতে যেতে ভিজে গেছি। পরীক্ষা শুরুর আগের সামান্য বৃষ্টিতে পুরো কলেজ ক্যাম্পাস পানিতে ভরে যায়। আমরা হাঁটু পানির মধ্যেই পরীক্ষা দেই। হাঁটু সমান পানিতে শিক্ষকদের অবস্থাও খারাপ হয়ে যায়। অনেক শিক্ষার্থীর কাগজপত্রই পড়ে ভিজে গেছে। ইলেক্ট্রিসিটি চলে গেলে পুরো হলে সার্জার লাইট ও মোমবাতির ব্যবস্থা করা হয়। যেকারণে শেষ সময়ে অনেকে পরীক্ষা শেষ না করেই বেরিয়ে পড়েছেন।
কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর হাসনাত আনোয়ার উদ্দীন আহমেদ বলেন, সামান্য বৃষ্টিতে পুরো কুমিল্লাই ডুবে যায়। মহিলা কলেজতো একটি অংশ মাত্র। কলেজটি বেশ পুরোনো। ভবন গুলিও পুরোনো। শহরের সমতল ভূমি থেকে কালক্রমে কলেজ ক্যাম্পাস নিচু হয়ে পড়েছে। তাই পানি বেশি প্রবেশ করে এবং আমাদের ক্যাম্পাসের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়।
এসময় তিনি যুক্ত করেন, টমছম ব্রিজ থেকে যে খালটি পদুয়ার বাজার বিশ্বরোডের দিকে গেছে সে খালটি ভরাট করে রাস্তা করা হয়েছে। তাই এখন সেটি ড্রেনের মতো। পানি যেতে পারেনা। আর পানি গুলো আমাদের ক্যাম্পাসের দিকে চাপ দেয়। যার ফলে আমাদের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা নিরুপায় হয়ে ভিজে ভিজেই শিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নেয়। যদি নতুন ভবন করা হয় তবেই উঁচু করে তৈরি সম্ভব। আমরা পস্তাবনা রাখছি যেন আমাদের নতুন ভবন করে দেয়া হয়। এছাড়াও সিটি করপোরেশনকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তারা ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন।