পেশি শক্তি ব্যবহার করে ভোটে  জেতার কোন সুযোগ নেই 

কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে যদি কোন প্রার্থী পেশি শক্তি ব্যবহার করে বিজয়ী হওয়ার চেষ্টা করবেন সেটা হবে চরম ভুল। আমরা প্রয়োজনে নির্বাচন বন্ধ করে দেবো। আমাদের পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য থাকবেন। আমরা আনন্দমূখর নির্বাচন করতে প্রস্তুত আছি। আমরা যুদ্ধ চাই না। প্রতিযোগিতা চাই।
রোববার জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময়কালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরো বলেন, যদি কেউ নির্বাচনে কূটকৌশলের আশ্রয় নিয়ে বিজয়ী হন এবং তা যদি নির্বাচনের পরে তদন্ত করে বের করা যায় সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন যে কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণসহ ফৌজদারি আইনে মামলা দায়ের করা হবে।
এছাড়াও কোন কারণে যদি কোন কেন্দ্রে ইভিএম নষ্ট হয়, কেউ নষ্ট করে ফেলে সেক্ষেত্রে কোন ভোটার যদি বিকেল ৪ টার আগে কেন্দ্রে উপস্থিত হন তাদের জন্য রাত ১ টায় হলেও ভোট গ্রহণ করা হবে।  সুষ্ঠু ভাবে গ্রহণ করার সব প্রস্তুতি আছে আমাদের, সেক্ষেত্রে কেউ যদি সুন্দর পরিবেশকে নষ্ট করার পাঁয়তারা করেন সেক্ষেত্রে ওইসব ব্যক্তিরা নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনবেন।
তাই কাউন্সিলর, সংরক্ষিত কাউন্সিলর ও মেয়র প্রার্থীদের অনুরোধ করবো তারা যেন সৌহার্দ্য বজায় রেখে নির্বাচন শেষ করেন।
এসময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ দুলাল তালুকদার, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন  নির্বাচন কমিশনার মোঃ আলমগীর হোসেন, নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম কমিশনার ফারুক আহম্মদ খান, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের রিটার্নিং অফিসার মোঃ শাহেদুন্নাবী চৌধুরী,  পুলিশ সুপার মোঃ ফারুক আহমেদ।
সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান।
মতবিনিময় সভায় মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নৌকা প্রতীকের পক্ষে মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতিক উল্লাহ খোকন, টেবিলঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু,  ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার, হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী রাশেদুল ইসলাম,  হরিণ প্রতীকের প্রার্থী কামরুল আহসান বাবুল।
এছাড়াও বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন,১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী কাজী গোলাম কিবরিয়া, আবুল হোসেন ছোটন,  ৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী জমির উদ্দিন খান জম্পি, ২ নং ওয়ার্ড মাসুদুর রহমান মাসুদ,  নাহিদা আক্তার,  ৩ নং ওয়ার্ডের সরকার মাহমুদ জাবেদ, কাউন্সিলর প্রার্থী  আবদুল্লাহ মোমেন, ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী  আবদুল জলিল,  , ১.২.৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী  কাউছারা  বেগম সুমি, সংরক্ষিত কাউন্সিলর
নেহার বেগমসহ আরো কয়েকজন কাউন্সিলর প্রার্থী।
মতবিনিময় সভায় আরো জানানো হয় ১৬৪ প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দেন। যাচাই বাছাই শেষে ১৪৭ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ হয়।