প্রতি ইঞ্চি জমি চাষের আওতায় আনতে হবে —কৃষি সচিব

 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কুমিল্লা অঞ্চল, কুমিল্লা এর আয়োজনে, জেলা প্রশাসন, কুমিল্লা এর সহযোগীতায়, গত ৫ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে, কৃষি পুনর্বাসন কার্যক্রম পর্যালোচনা, চলমান আউশ ও রোপা আমন আবাদ পরিস্থিতি এবং আগামী বোরো মৌসুমের প্রস্তুতি বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- মো: নাসিরুজ্জামান, সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়। তিনি বলেছেন- বর্তমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে এবং বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার জন্য খাদ্যশস্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশের কোথাও যেন এক ইঞ্চি জমি অনাবাদী না থাকে সে দিকে সকলকে দৃষ্টি রাখতে হবে। খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে স্থানীয়ভাবে কর্মপরিকল্পনা গ্রহন করে সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের সকল কর্মকর্তাকে তিনি নির্দেশনা দেন। তিনি কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার সোনাইছড়ি প্রকল্পের সমস্যা নিরসনে কেটিসিসিএ কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে কার্যক্রম গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আহবান জানান। তিনি স্থানীয় কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে চাষযোগ্য জমি চাষের আওতায় এনে অধিক খাদ্যশস্য উৎপাদনের জন্য উপস্থিত সকলকে আহবান করেন। প্রধান অতিথি একই দিনে- বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, কুমিল্লা এবং দাউদকন্দি উপজেলায় পারিবারিক সবজি বাগান পরিদর্শন করেন। দিনের শেষ বেলায় কৃষি সচিব দাউদকান্দি উপজেলার নির্বাহী অফিসারের সম্মেলন কক্ষে কৃষকদের মাঝে শাক-সবজির বীজ বিতরণ করেন।

মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন- ড. মো. শাহজাহান কবীর, মহাপরিচালক, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, গাজীপুর; কৃষিবিদ মনোজিত কুমার মল্লিক, অতিরিক্ত পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কুমিল্লা অঞ্চল, কুমিল্লা। সভাপতিত্ত¡ করেন- মো. আবুল ফজল মীর, জেলা প্রাশাসক, কুমিল্লা। এরপর কুমিল্লা অঞ্চলের কৃষি কার্যক্রম ও অগ্রগতি উপস্থান করেন- ডিএই, কৃমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চাঁদপুর জেলার উপপরিচালকগণ এবং কৃষি মন্ত্রণারয়ের আওতাধীন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ। মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন- প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন- কৃষিবিদ মো. রবিউল হক মজুমদার, উপপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।