প্রবাসীর পরিবারকে নির্যাতনের অভিযোগে হোমনার ওসির বিরুদ্ধে মামলা

২৫লক্ষ টাকা চাঁদা না দেয়ায় নির্যাতন ওমুচলেকা রাখার অভিযোগ
কুমিল্লা।।

inside post

কুমিল্লার হোমনা থানার ওসি, এএসআইসহ ৩জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন এক সৌদি প্রবাসী। ২৫ লাখ টাকা চাঁদা না দেয়ায় তিনি ও তার পরিবারের ৩জনকে থানায় আটকে রেখে নির্যাতন ও মুচলেকা রাখার অভিযোগ এনে তিনি এই মামলা দায়ের করেন। হোমনা থানার ওসি মো. সাইফুল ইসলাম, এএসআই মো. মাসুদ রানা ও থানার দালাল আনোয়ার নামে এই মামলা দায়ের করা হয়। কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৪নং আমলী আদালতে সোমবার সৌদী প্রবাসী অপু মিয়া বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, মামলার বাদী নিজ নামে সৌদি থেকে ক্রয়কৃত কয়েকভরি স্বর্ণ টেক্স ও শুল্ক পরিশোধের মাধ্যমে পরিবারের লোকজন ব্যবহারের দেশে নিয়ে আসেন। প্রবাসী অপু দেশে আসার পর থেকেই থানার কথিত দালাল আনোয়ারের মাধ্যমে থানা পুলিশ ২৫লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকার করলে গত ১৯মার্চ থানার এএসআই মাসুদ রানা দালাল আনোয়ারের সহযোগিতায় প্রবাসী ইউসুফ ও তার বড় ভাই ব্যবসায়ী ইউনুসকে হাত কড়া পরিয়ে থানায় নিয়ে যায়। ৩দিন থানা হাজতে আটকে রাখে ও দফায় দফায় নির্যাতন করেন। এসময় তাদের কাছ থেকে সাদা কাগজে মুচলেকাও রাখা হয় বলে মামলায় উল্লেখ করেন। ইউসুফের পাসপোর্ট ভিসা ও সাড়ে ৭লক্ষ টাকার মোটর সাইকেল আটকে রাখেন। তার বোন জামাই রুবেলকে আটক করেন। ২লাখ টাকা দিয়ে তিনি ছাড়া পান।
এ বিষয়ে হোমনা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সাইফুল ইসলাম জানান, এসব অভিযোগ সঠিক নয়। অপু অন্য প্রবাসীর স্বর্ণ আত্মসাত করেছে বলে একটি অভিযোগ পাই। তাই তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনি। সেই আক্রোশে এই মামলা দিয়ে থাকতে পারে।
হোমনা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর মহসিন বলেন, এক প্রবাসী কিছু স্বর্ণ পাঠিয়েছিলো বাড়িতে। অপু নামের একজন সেই স্বর্ণ ঠিকানা মোতাবেক দেননি। পরে ওই প্রবাসীর অভিযোগে অপুর ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সম্ভবত তাই অপু ক্ষিপ্ত হয়ে হোমনা থানার ওসির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেছেন। আমাকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে এর চেয়ে বেশি কিছু বলার নেই।

আরো পড়ুন