ফাঁসির আসামির শেষ ইচ্ছা নান রুটি ও গরু মাংস খাওয়া
অফিস রিপোর্ট
চট্টগ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা সফিউদ্দিন হত্যা মামলার দুই আসামির মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টায় কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসি কার্যকর করা হবে। এ জন্য জেল খানা কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের একাধিক সূত্র সোমবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এদিকে আসামিদের শেষ ইচ্ছা নান রুটি ও গরু মাংস খাওয়া। সে মোতাবেক তাদের তা খাওয়ানো হচ্ছে।
কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্র জানায়, ২০০৩ সালে চট্টগ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা সফিউদ্দিনকে হত্যা করা হয়। এই হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে শরিয়তপুরের শিপন (৩৫) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাঈমকে (৪৩) গ্রেফতার করা হয়। পরে দ্রুত বিচার আইনে ২০০৪ সালে মামলাটির রায় প্রদান করে নিম্ন আদালত। রায়ে শরিয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার নন্দনসার এলাকার মৃত ইউনুস হাওলাদারের ছেলে মো. শিপন হাওলাদার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানার রতনপুর পূর্ব পাড়া এলাকার মৃত ঈদুন মিয়া সরকারের ছেলে নাইমুল ইসলামকে ফাঁসির রায় দেওয়া হয়। নিম্ন আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা উচ্চ আদালতে আপিল করলে উচ্চ আদালতেও নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখে। সর্বশেষ আসামিরা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষা চাইলে সেখানেও তাদের আবেদন খারিজ হয়। কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ ৮ মার্চ মঙ্গলবার দিবাগত রাতে তাদের ফাঁসি কার্যকরের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ইতিমধ্যে কারাগার কর্তৃপক্ষের চিঠি পেয়ে সোমবার দুই আসামির স্বজনরা এসে তাদের সাথে দেখা করে গেছে। আসামিরা কিছুটা উচ্ছৃংখল আচরণ করলেও ফাঁসি কার্যকরের কথা শুনে গত কয়েক দিন ধরে নিরব হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. শাহজাহান বলেন, ফাঁসির রায় কার্যকর এটি জেলখানার একটি চলমান প্রক্রিয়া। দুইজন আসামির ফাঁসির রায় কার্যকর করা হতে পারে।