বন্ধুর পরিবারকে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে সর্বস্ব লুট !

 

inside post

 প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে বেড়াতে এসে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে পরিবারের সকলকে অজ্ঞান করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুটে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার চান্দিশকরা গ্রামে। আহত তিনজনকে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যা তথ্যটি নিশ্চিত করেন ভুক্তভোগীর ছোট ভাই চা দোকানদার জাকির হোসেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুই মাস আগে নাঙ্গলকোট থেকে খড় দিয়ে আসার পথে চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার লাকসাম রোডে চান্দিশকরা পশ্চিম পাড়ার লোকমান মিয়ার চা দোকানের সামনে দাঁড়ায় হাকিম আলীর ট্রাক। ট্রাকটির ত্রুটি মেরামত শেষে অনেকক্ষণ খোশগল্প করে বিদায় নিয়ে চলে যান হাকিম আলী। ফরিদপুরে বাড়ি এতটুকুই জানেন চা দোকানি লোকমান হোসেন। এভাবে লোকমান মিয়ার সাথে হাকিম আলীর বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। প্রায় সময় ফরিদপুর থেকে মোবাইল ফোনে খোঁজখবর নিতেন লোকমান হোসেন ও তার পরিবারের।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যায় হাকিম আলী পৌর এলাকার কালির বাজারে ট্রাক থামিয়ে বন্ধু লোকমান হোসেনের জন্য ফরিদপুর থেকে দুইটি তরমুজ ও চার লিটার আখের রস নিয়ে চান্দিশকরায় লোকমান হোসেনের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। রাতে কৌশলে হাকিম আলী বন্ধু লোকমান ও পরিবারের সবাইকে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশানো আখের রস আর তরমুজ খাইয়ে দেন। সেহেরি খাওয়ার সময় লোকমানের ঘরে আলো না দেখে প্রতিবেশী সুরুজ মিয়া তার স্ত্রী ও ছেলের বউকে লোকমানের ঘরে পাঠান। তারা দেখতে পান-দরজা খোলা এবং লোকমানের স্ত্রী ফাতেমা বেগম বমি করছেন। ঘরের সবাইকে অজ্ঞান করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়ে গেছে। তিনজনকে উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। লোকমান হোসেন, তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম ও ছেলে আল আমিনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করা হয়েছে।

লোকমান হোসেনের ভাই চৌদ্দগ্রাম বাজারস্থ ওয়াপদা রোডের চা দোকানদার জাকির হোসেন বলেন, আমার ভাই লোকমান হোসেনের ক্ষণিকের বন্ধু হাকিম আলী নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে ঘরে থাকা নগদ এক লাখ টাকা ও চার ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুটে নিয়ে যায়। মালামাল লুট করতেই বন্ধুত্বের ফন্দি আঁটে চতুর হাকিম আলী।

চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাঃ জাবেদ হোসেন বলেন, নেশাদ্রব্য খাওয়ানো তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
চৌদ্দগ্রাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ গুলজার আলম বলেন, ‘সাংবাদিকদের মাধ্যমে তথ্য পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরো পড়ুন