বরুড়ার খটকপুরে চোখ জুড়ানো ফুল বাড়ি
মহিউদ্দিন মোল্লা,কুমিল্লা।।
খটকপুর। কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার একটি ছোট গ্রাম। এই গ্রামে চোখ জুড়ানো ফুল বাড়ি তৈরি করা হয়েছে। বাড়িতে ১২ রকমের ফুল,৭০ রকমের ফলের গাছ ও ১৫ রকমের সবজির চাষ করা হয়েছে। ফল গাছ সব গুলো বড় না হলেও ফুল তার সৌন্দর্য মেলে ধরেছে। গাঁদা,হাসনা হেনা,রজনীগন্ধা,গোলাপ ফুল সুঘ্রাণ ছড়িয়েছে। বেশি সৌন্দর্য ছড়িয়েছে চার ধরণের গাঁদা ফুল। বাড়ির সৌন্দর্য দেখতে আশপাশের গ্রামের লোকজন ভিড় করছে। তিন বিঘা পরিমাণ বাড়িটির মালিক প্রবাসী ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান। বাড়ির নাম খলিল হাউজ। তবে স্থানীয়রা বাড়িটিকে ‘ফুল বাড়ি’ নাম দিয়েছেন। এই বাড়ির ফুল, ফল ও সবজি চাষ দেখে পাশের গ্রামের অনেকে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।
বাড়িটিতে গিয়ে দেখা যায়,বাড়ির গেইট থেকে ফুলের পসরা বসেছে। ফুলের গায়ে ঘুরে ঘুরে বসছে মৌমাছি। ফলের বাগান থেকে ভেসে আসছে পাখির ডাক। ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ডুপ্লেক্স বাড়িটির সৌন্দর্য বাড়িয়েছে ফুলের বাগান। বাড়ির সামনের হেলিপ্যাড,পানির ফোয়ারা,সুইমিং পুল, বৈঠকখানার পাশে ফুলের মেলা বসেছে। বাড়ির পশ্চিম অংশে আম,জাম,মাল্টা, ডালিম,সফেদা,তেঁতুল,আমলকিসহ বিভিন্ন ফলের বাগান। সাথে রয়েছে বিষমুক্ত লাউ,কুমড়া,বাঁধাকপি,ফুলকপি,লাল শাক,ডাটা শাকসহ বিভিন্ন রকমের সবজির চাষ।
বাড়ির মালিক খলিলুর রহমান বলেন,বিদেশে ব্যবসা করলেও আমার মন গ্রামে পড়ে থাকে। তাই নিজ গ্রামে বাড়িটি করি। এখানে স্ত্রী,সন্তানসহ পরিবারের সদস্যরা থাকে। গ্রামে শহরের সুবিধা নিশ্চিতের চেষ্টা করেছি। কৃষি বিভাগের পরামর্শ নিয়ে বাড়িতে ফুল, ফল ও সবজির চাষ করেছি। দেশে থাকলে আমি কিংবা বাড়ির লোকজন এগুলোর পরিচর্যা করেন। নিজেরা বিষমুক্ত সবজি খেতে পারছি,সাথে আত্মীয়দের দিতে পারছি।
স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা গোলাম সারোয়ার ভুঁইয়া বলেন, বরুড়া উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের বাতাইছড়ি পুরাতন বাজার। বাজারের পাশের কয়েকটি গ্রাম পরে খটকপুর। গ্রামটির খলিল হাউজ কৃষিতে সমৃদ্ধের জন্য আলোচনায় এসেছে। এখানে দেড় বছর আগে যোগদান করি। মালিক বাড়িটি সাজাতে পরামর্শ চান। সে নিরিখে আমরা কাজ করি। তার বাড়ির ফুল, ফল গাছ ও সবজি চাষ দেখে অনেকে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।