বরুড়ায় কেন্দ্রে আসতে ভোটারকে বাধা, দফায় দফায় সংঘর্ষ

 

আমোদ রিপোর্টার।।

কুমিল্লার বরুড়ার উপজেলার আদ্রা ইউনিয়নের উপ-নির্বাচন নিয়ে নানা অভিযোগ উঠেছে। ভোট শুরুর আগে কাকৈরতলা কেন্দ্রের পাশে আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মাহফুজুর রহমান সেলিমের ১০জন কর্মী আহত হয়েছে বলে তাদের দাবি।

 

এদিকে পেরপেটিতে আনারস প্রতীকের প্রার্থীর গাড়ি ভাংচুর করা হয়। আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী ও বিএনপির প্রার্থী মো. পারভেজ হোসেন ভোটরদের বাধা ও এজেন্ট বের করে দেয়ার অভিযোগে নির্বাচন বর্জন করেন। একবাড়িয়া কেন্দ্রের বাইরে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও অস্ত্রের মহড়া দেখা গেছে। ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। কেন্দ্রের প্রবেশ পথে ভোটারদের বাধা দেয়া হয়।

আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মী মো. সজিব অভিযোগ করেন, সকাল সাড়ে ৭টায় কাকৈরতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি দিয়ে হামলা করে। এতে সুমন নামের একজন রক্তাক্ত আহত হয়। আরও কয়েকজন আহত হয়েছে। আমাদের কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছে নৌকার প্রার্থীর তাফাজ্জল তপু।

কাকৈরতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইজিং অফিসার জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, স্কুলের সীমানার মধ্যে কোন ঝামেলা হয়নি। নৌকা ছাড়া অন্য প্রতীকের এজেন্ট কেন্দ্রে আসেনি।

বিএনপির প্রার্থী মো. পারভেজ হোসেন বলেন, নৌকার লোকেরা নয়টি কেন্দ্রের মধ্যে নলুয়া, পেরপেটি, আদ্রা, পেরপেটি, নরীন্দ্রপুরসহ ৬টি কেন্দ্র দখল করেছে। বহিরাগত লোক দিয়ে আমার কর্মী মনিরকে আহত করেছে, সে হাসপাতাল ভর্তি। আমি ভোট বর্জন করলাম। এ নির্বাচন আবার হোক।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুল করিম বলেন, সব কেন্দ্রে ঠিক ঠাক ভোট হচ্ছে। কোথাও কোন সমস্যার কথা শুনিনি।

বরুড়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম জানান, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। আমার নিকট কোন অভিযোগ আসেনি।

এদিকে দাউদকান্দিতে উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী সাইফুল আলম ভুইয়া জাল ভোট ও কেন্দ্র দখলের অভিযোগে ভোট বর্জন করেছেন। এখানে দুইটি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।

উল্লেখ্য- মঙ্গলবার কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া কুমিল্লার বরুড়া, মুরাদনগর, চৌদ্দগ্রাম, দেবিদ্বার, ব্রাহ্মণপাড়া, নাঙ্গলকোট ও চান্দিনা উপজেলার নয়টি ইউনিয়নে ইউনিয়ন পরিষদের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।