বাকীন রাব্বী’র  রঙিন ঘুড়ি — মতিন সৈকত

 

  • গ্রন্থের নামঃ রঙিন ঘুড়ি 
  • লেখকঃ বাকীন রাব্বী 
  • গ্রন্থের ধরণঃ আত্নকথন
  • প্রকাশকঃ মোহাম্মদ হাতেম-অর-রশীদ
  • প্রকাশকালঃ ৫ নভেম্বর ২০২০
  • প্রচ্ছদঃ আইনুল হক মুন্না
  • মুদ্রণঃ ইন্ডাস্ট্রিয়েল প্রেস, কুমিল্লা
  • মূল্যঃ তিনশত টাকা।  সাত মার্কিন ডলার।
  • উৎসর্গঃ (লেখকের পিতা-মাতা) মোহাম্মদ ফজলে রাব্বি, শামসুন নাহার রাব্বী।
  • পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ২১০।


বাকীন রাব্বী ১৯৬০সালে ২৮ জানুয়ারি জন্ম গ্রহন করেন কুমিল্লা শহরে। তিনি  জ্ঞানী, সুজন, সুহৃদ হিসাবে সবার কাছে বরণীয়।  অসাধারণ সম্মোহনী শক্তির অধিকারী। জীবনে কারো সাথে একবার  পরিচিত হলে বন্ধুত্ত ধরে রাখেন আজীবন। স্পষ্টভাষী, সাহসী,  উদারচিত্তের রসিকজন। তিনি স্বপরিবারে বর্তমানে আমেরিকা স্হায়ী। জন্ম, বেড়ে উঠা, পড়াশোনা, সাংবাদিকতা,  সৃজনশীলতা, মননশীলতা সব কুমিল্লা কেন্দ্রীক। কুমিল্লাকে ধারণ করেই তিনি বিশ্ব নাগরিক।  তাঁর বাবা ফজলে রাব্বী। ইতিহাস সৃষ্টিকারী এক বিশাল মহীরুহ। তাঁর অনবদ্য সৃষ্টি  সাপ্তাহিক আমোদ ৬৬ বছর ধরে বহাল তবিয়তে সন্মান এবং সমৃদ্ধির সাথে সংবাদপত্রের জগতে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
জাতিসংঘের ইউনেস্কো আঞ্চলিক পত্রিকার ইতিহাসে আমোদ-কে ঐতিহ্য স্বীকৃতি দিয়েছে।
সাপ্তাহিক আমোদ এবং ফজলে রাব্বী কুমিল্লার সাংবাদিকতার প্রাচীন প্রতিষ্ঠান। তাঁরা কিংবদন্তিতে পরিণত হওয়া পরিবার।  তাঁর স্ত্রী মহিয়ষী নারী শামসুন্নাহার  রাব্বী তাঁর অবর্তমানে তাঁর পত্রিকার সম্পাদক এবং কর্ণধার ছিলেন দীর্ঘ যুগ। এখনো পরম মমতায় স্বামীর গড়া প্রতিষ্ঠানের তিনি অভিভাবক। তিনি লেখক, সম্পাদক, সমাজসেবী। তাঁদের সব সন্তানরাই পিতা-মাতার মত আদর্শবান, যোগ্য এবং বিশ্বনাগরিক।
বাকীন রাব্বী পারিবারিক সূত্রে অল্প বয়সেই সাংবাদিকতায় যুক্ত হন। ফটোগ্রাফী ও সাংবাদিকতায় ফ্রান্স থেকে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন। অনলবর্ষী, বিতার্কিক, গবেষক, সংগঠক, সাংবাদিক  মুক্তচিন্তার ধারক বাকীন রাব্বী বিভিন্ন সময়ে  নিজের তোলা নির্বাচিত ছবি প্রদর্শনীর আয়োজন করে বোদ্ধা মহলে প্রশংসিত হয়েছেন।

কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, আমোদ সম্পাদক বাকীন রাব্বী ভ্রমণবিলাসী জ্ঞানপিপাসু, জীবন শিল্পী। যাঁদেরকে চিনলে কুমিল্লা চেনা যায় আমোদ  পরিবার তাদের অন্যতম। বাকীন রাব্বী সৌভাগ্যবান। তাঁর পিতা ফজলে রাব্বী আমোদের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক। তিনি কুমিল্লার গর্ব। হাজার হাজার সম্পাদকীয় লেখার পাশাপাশি তিনি  কতকিছু লেখেছেন তার ইয়াত্তা নাই। আটত্রিশ বছরের সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতার আলোকে লিখেছেন ‘কাগজের নৌকা’।

 বাকীন রাব্বীর মা শামসুন নাহার রাব্বী লিখেছেন “ভালোবাসার পাঁচ দশক”। তাদের একমাত্র পুত্র সন্তান-ই তো লিখবেন ‘রঙিন ঘুড়ি’। বাকীন রাব্বী রচিত আত্মজীবনী মূলক গ্রন্থ ‘রঙিন ঘুড়ি’  সূচীপত্র ছাড়া ১২৬টি শিরোনামে তিনি তার আত্মকথন উল্লেখ করেছেন।
 ‘রঙিন ঘুড়ি’র ভূমিকায় লেখক উল্লেখ করেন ‘আমার জীবন বড় বৈচিত্র্যময়। ঠিক যেন রঙিন ঘুড়ি। উচ্ছ্বাসময়, উচ্ছল ও প্রাণবন্ত। নানা মাত্রিকতায় ভরপুর জীবন কখনো আনন্দময় আবার কখনও বেদনাদায়ক হতে পারে। কার্যকারণে বলা হয় দুঃখকে জয় করতে পারলেই জীবনের মুক্তি মেলে। রঙিন ঘুড়ি দুঃখকে জয় করে উড়তে থাকে। আমার জীবনেও সুখের পাল্লাটা বেশ ভারীই বলতে হবে। ষড় ঋতুর দেশে আমার জন্ম। রঙিন ঘুড়ির মতো আমার এই সুখময় জীবনে বন্ধু-বান্ধবরা দীর্ঘ দিন যাবত অনুরোধ করে আসছেন, আমি যেন আত্মজীবনী লিখি। প্রথমে বলে রাখি জীবনীগ্রন্থ বলতে যা বুঝায় এটাকে ঠিক তেমনটা বলা যাবেনা। এ বই পুরোটাই আমার স্মৃতি থেকে লেখা। এখানে ধারাবাহিকভাবে আমার জীবনী উঠে আসেনি, আনাও সম্ভবনা। কিছু বিষয় হয়তো আগে পরে হয়ে গেছে, হোকনা। এটা আমার জীবনের স্বীকারোক্তি মাত্র। আমার জীবন তো ঐ সব কাহিনির সমষ্টি ছাড়া আর কিছুইনা। কাজেই তা লিখলে একটা স্মৃতির পান্ডুলিপি যে হবে সেটা নিশ্চিত। জীবনে যা অর্জন করেছি তা হল আত্মোপলব্ধি।  আমার জীবন ধারণ, চলাফেরা এবং অস্তিত্ব জুড়ে দশকের পর দশক রয়েছে কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনা।
‘ ভূমিকা থেকে বইটি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। ‘রঙিন ঘুড়ি’ সম্পর্কে চমৎকার একটি বিশ্লেষণ করেছেন লেখকের বন্ধু বাংলা একাডেমির গবেষণা কর্মকর্তা, বহুগ্রন্থ রচয়িতা, সাহিত্যক মামুন সিদ্দিকী। তিনি ‘রঙিন ঘুড়ি’ বিষয়ে বলেন ‘বাকীন রাব্বী নানা সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গেও যুক্ত। তিনি ভ্রমণ প্রিয়,জীবন সম্পর্কে কৌতুহলী ও জীবন রসিক। প্রতিনিয়ত তিনি জীবনকে উপভোগ করতে চেয়েছেন; জীবনের সৌন্দর্যকে পান করেছেন আকন্ঠ। প্রাণভরে গ্রহন করেছেন জীবনের রূপ-রস-গন্ধ। আবার ঝড়-ঝঞ্ঝা, বেদনা-বিসর্জন ও অপূর্ণ-অপ্রাপ্তিও কম নয়। এভাবে কত না প্রসঙ্গের অবতারণা ঘটেছে গ্রন্থের পরতে পরতে। জন্মের খবর দিয়ে যে আখ্যানের শুরু-অজস্র ঘটনা পরস্পরায় আজ তা উপনীত হয়েছে পড়ন্ত বেলায়। এ জীবনের গল্পই বর্তমান আত্মকথার উপজীব্য।’
এ গ্রন্থের আত্মকথনের  শিরোনাম কে মোরে শুনাল ঐ আজানের ধ্বনি, মুসাফির ফিরে চল আপনারে নিয়া, কাঠের বাড়ি, আব্বাকে যেমন দেখেছি, চড়ুইবাতি দিন আমার, রাইফেল শুটিংয়ে চ্যাম্পিয়ান পরিবার, পত্রিকা ভাঁজ থেকে নিউজ লেখা, আমাদের নিরাপদ আশ্রয়, ফতেহাবাদে আমরা, বাড়ি ফেরার পরের দিনগুলো, বিজয়ের সেই ক্ষণে, চড়ুইভাতির আমান ভাই  ও একটি প্রাসঙ্গিক প্রবন্ধ, জানি ওরা আমাকে মেরে ফেলবে, রাখে আল্লাহ মারে কে?, বঙ্গবন্ধুর মুক্তিতে আমোদ -এর টেলিগ্রাম সংখ্যা, স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্রে আমোদ, স্মৃতিতে বঙ্গবন্ধুর কুমিল্লা সফর, দেশীয় রীতিতে ফরাসি প্রতিনিধি দলকে আপ্যায়ন, সেই প্রথম দিনের টান, জাতীয় কবির প্রতি শ্রদ্ধা, টাউন টুইনিং ক্লাবের আমন্ত্রণ, ৭৪-এর দুর্ভিক্ষ, মামাদের জন্য দোয়া, ডানপিঠে বন্ধু সময়, খন্দকার মোশতাক আহমেদ, ব্রিক বা বারাক; আমার ইনস্টিটিউশন, ইউরোপে আমার দিনগুলো, মনে পড়ে, সাবিন উব্রেথ, আমার জন্মভূমি, আমার টান, আব্বার কটি বই ও বিবিধ, প্রেসিডেন্ট জিয়া, জিয়ার জানাজাতে, আম্মার দেয়া দোয়া, গোপন বিষয় ফাঁস করে দায়মুক্তি, এরশাদের সামরিক শাসন, ইউনেস্কোর স্বীকৃতি, ফুফা খলিলুর রহমান খান, সাংবাদিকের আসন থেকে, এরশাদের নির্বাচন, তুমি ছুঁয়ে দিলেই শান্তি আসে নেমে, আজিজ -উল হকের প্রতি শ্রদ্ধা, আমোদ-এর প্রতি অধক্ষ্য কালাম মজুমদারের আত্নবিশ্বাস,  ‘সে’ কেমন আছে? ইয়েস…., বোমা হামলা ও আমার ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়ের পরিকল্পনা, ১৯৮৮’র বন্য, আমাদের কেন্দ্রবিন্দু মুকুটদা, মধুময় দিনগুলো, প্রথম আলোকচিত্র প্রদর্শনী, কর্ণেল শফিককে ঘিরে স্মৃতি, চাঁদপুর-ব্রাম্মণবাড়িয়া, মিলন ভাই ও ক্যামেরার ফ্লাশগান, মন্জু ভাইয়ের দুঃখজনক প্রস্থান, চৌধুরী মার্কেটের আড্ডা, আব্বা -আম্মার আমেরিকা সফর, কাগজের নৌকা, আমার মা, বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদ, প্রথম বাবা হলাম, হুমায়ূন আহমেদ, ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় বলেছিল—, ক্রীড়া লেখক সমিতি, প্রশিক্ষণ কর্মশালা, আমোদ-প্রমোদ ছাড়া তো বাঁচা যায় না, আব্বার অসুস্থতা, আব্বা যখন সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে, মনছন, আমোদ -এর চল্লিশ বছর, একটা অনন্ত যাত্রার সান্ত্বনাসূচক প্রস্তুতি, এসতাক ভাইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা, এক সুতা পরিমাণ ঋণও ছিলো না, ‘মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী স্মারকগ্রন্থ’ প্রকাশ, আরকু’তে যাত্রা হলো শুরু, ভারত ভ্রমণ, কোলকাতা গমন, আমানের ড্রাইবার, প্রশ্ন ছিল প্রেসিডেন্ট এরশাদের কাছে, উল্লোখযোগ্য বছর ১৯৮৭, হয়রানিমূলক মামলার শিকার, টয়োটা করোলা, প্রিয় শহর কোলকাতা, কোলকাতার আতিথিয়েতা, প্রথম আলোর জন্য ছবি তোলার অভিজ্ঞতা, প্রথম মোবাইলফোন, দ্বিতীয় ছেলে রাশিক, জাহিনের চিকিৎসা ও আমার অভিজ্ঞতা, কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক, ইউনিসেফের সাথে কর্মশালা, শফিকুল ইসলাম শিকদারের উদারতা, ফাহিমের জন্মদিন, মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী সংসদ, আম্মার হার্টের অপারেশন, অনুজ সহকর্মীসহ কোলকাতা, অনুজ সহকর্মীসহ, ২০০৩ সালে মৃত্যুর মিছিল, কবি শামসুর রাহমান ও সুরজিৎ ঘোষ, জেনারেল মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী,  ব্রাম্মবাড়িয়ায় চিত্র প্রদর্শনী, জেনারেল আজিজ, আপনার আবেদনের প্রেক্ষিতে, টিআইবি কুমিল্লায়, অঁলিয়ন্স ফ্রান্সেজে আলোকচিত্র প্রদর্শনী, আমোদ-এর সুবর্ণ জয়ন্তী, সুখ কুড়ানো, আমোদকে নিয়ে গবেষকদের আগ্রহ, আমিও ব্ল্যাক লিস্টেড, কোলকাতা মসজিদে সেলিম ভাই, নেপালঃ নেভার এ্যান্ড পিস এন্ড লাভ, দিল্লির গাড়ি, প্রিয় অদু মামা, ফাহাদের বাংলা শেখা, উৎপাত, ছিনতাইয়ের শিকার, সেই শ্বাসরুদ্ধকর ৪ ঘন্টা, ওমরা, চাকমা রাজা ও রাখাইন, আমার তোলা প্রথম ছবি, বন্ধুদের সাথে ভ্রমণ, ক্যামেরা ব্যবসা, বিদায় বেলার প্রস্তুতি, নাড়ি ছেঁড়া টান, গুড বাই বাংলাদেশ, আমেরিকা-জীবন, হৃৎপিণ্ডের সমস্যা, উৎকন্ঠার ২০ ঘন্টা, পরিবারের উদ্বিগ্নতা বেড়েই চলছে।
বাকীন রাব্বী লিখেছেন” আমার বন্ধুভাগ্য সব সময় ভাল, সেখানে উড়ে চলে এই জীবন ঘুড়ি। সাদা-কালো ইচ্ছেগুলো আকাশ রঙে-রঙিন-মুখর হয়ে স্বপ্ন-হাওয়ায় দুলতে থাকে। বলতে পারি, ঘুড়ি মানুষকে অন্তত উপরের দিকে চেয়ে দেখতে শেখায়।”
লেখক বাকীন রাব্বী তাঁর  জন্ম বৃত্তান্ত দিয়ে গ্রন্থটির শুভ সূচনা করেন।  ‘কে মোরে শুনাল ঐ আজানের ধ্বনি’ প্রথম চমৎকার শিরোনামে একটি অভিজ্ঞতা এবং ইচ্ছের কথা ব্যাক্ত করেছেন।
 ‘২০০৪-২০০৫ সাল। পাকিস্তানের সেই সময়ের প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফের জীবনী গ্রন্থ ইন দ্যা লাইন অব ফায়ার পড়ছিলাম। গ্রন্থটি পড়তে গিয়ে এক পর্যায়ে মনে হলো আমিও একটা আত্মাজীবনী লিখতে পারি। মনের মাঝে সুপ্ত ইচ্ছেগুলোকে প্রকাশ করতে উদগ্রীব হয়ে উঠছিলাম। বলা যায়, এক প্রকার আবেগ ও বাস্তবতাকে সামনে রেখে এ ব্যাপারে মামুন সিদ্দিকীর সাথে আমার অনুভূতির বিষয়ে আলোচনা হয়। মামুন সাহিত্যিক মানুষ।  আমার উচ্ছ্বাস ও আগ্রহের কথা মনযোগ দিয়ে শুনে সে উৎফুল্ল কন্ঠে বলছিল, ৪০-এর উর্ধ্বে সবারই তো জীবনীগ্রন্থ লেখা উচিত।’
মামুন সিদ্দিকী এবং বাকীন রাব্বী’র সাথে আমিও একমত। যদিও কাজটি অসম্ভবও বটে। প্রত্যেক সৃজনশীল মানুষের একটি করে সৃজনশীলতার সাক্ষী স্বারক রাখা উচিত।  আমরা ও বাকীন রাব্বীর ‘রঙিন ঘুড়ি’র উপরের দিকে দেখতে শিখব এবং সেই সাথে দশ দিগন্তে চোখ প্রসারিত করব। অন্তর দৃষ্টি ও ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় দিয়ে অনুভব করব।
 ‘রঙিন ঘুড়ি’ চমৎকার সুন্দর সুখপাঠ্য বই। ভাষা ঝর্ণার মত গতিশীল। পড়তে মন চায়। কোন ক্লান্তি বিষাদ লাগেনা। আজকাল না পড়ার সময়েও বইটি বারবার টানে। সূচিপত্র না দেয়ায় আলাদা-আলাদা  চ্যাপ্টার করায়  পাঠক স্বাধীনভাবে বইটি পড়ে মজা পাচ্ছে। যখন মন চায় পাঠক পড়ে নিতে পারে। লেখককে অভিনন্দন কৌশলটি উপহার দেয়ায়। আমরা পারিবারিকভাবে বইটি পড়ে আনন্দ পেয়েছি। আর্ট পেপারে ছাপা ‘রঙিন ঘুড়ি’ স্কুল-কলেজ, অফিস-পাঠাগার সমৃদ্ধ করবে। বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় চমৎকার মানানসই পুরস্কার। আকর্ষণীয় প্রছন্দ এবং লেখক পরিচিতি নান্দনিক।
বইটি কোন মূদ্রণ ত্রুটি নজরে পড়েনা।   উপস্থাপনা পূর্ণিমা রাতে উঠানে বসে গ্রামীন গল্পের আসরের মত তারপর কি? তারপর!  সময় পেরিয়ে যায় গল্প শোনার আগ্রহ আরো বেড়ে যায়। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী গ্রন্থটি শুধু একজন ব্যাক্তির জীবনী নয়। ব্যাক্তির সাথে সাথে সমাজ-সময়, দেশ-বিদেশ, জাতিসত্তার দলিল। আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাস। সে সঙ্গে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য, কিংবদন্তি-সংস্কৃতি, সংগ্রাম-আন্দোলন, স্বাধীনতা এবং সফলতার প্রামাণ্যচিত্র। বেশি করে বই পড়তে হবে।
 বিখ্যাত কিংবা প্রখ্যাত-অখ্যাত  সকল লেখকদের। বই সময়ের উপস্থাপন। বাকীন রাব্বী’র ‘রঙিন ঘুড়ি’ তাঁর ব্যাক্তি, পরিবার, বন্ধু-বান্ধব, সমাজ, সময়, দেশ-বিদেশ-কালের চিত্র প্রস্ফুটিত হয়েছে। অভিনন্দন বাকীন রাব্বী প্রাণবন্ত গ্রন্থটি উপহার দেয়ার জন্য। আপনার লেখায় অনেক কিছুর সাথে নতুন করে পরিচিত হলাম। অনেক অজানাকে জানলাম।  আপনার চোখে এবং অভিজ্ঞতায় শাণিত হলাম।  গ্রন্থটির বহুল প্রচার কামনা করি সেই সাথে রঙিন ঘুড়ি’র দ্বিতীয় পর্বের অপেক্ষায়।
মতিন সৈকত।
মহামান্য রাষ্ট্রপতির অভিনন্দন এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক দুইবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদক প্রাপ্ত পরিবেশ যোদ্ধা।