বার্ধক্যে ধুঁকছে ভিক্টোরিয়ার কলা ভবন

 

ব্যবহার অনুপযোগী ছয় হাজার শিক্ষার্থীর তিনটি শৌচাগার

 

আবু সুফিয়ান রাসেল।।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ। শতবর্ষী এ কলেজের কলা ভবনও ছয় দশক অতিক্রম করেছে। নানা সমস্যা, সংকটে কলা ভবন এখন বার্ধক্যে উপনীত। দুর্ভোগে এ ভবনের সাতটি বিভাগের ছয় হাজারেরও বেশী শিক্ষার্থী। ছয় হাজার শিক্ষার্র্থীর জন্য তিনটি শৌচাগারের সবগুলোরই নানা সমস্যায় রয়েছে। কোনটির ছিটকানি নেই। কোনটির ট্যাপ ভাঙা। কোনটির দরজা নেই। কর্তৃপক্ষ বলছেন জরাজীর্ণ ভবন ভেঙ্গে বহুতল ভবন তৈরি করা হবে।

সরেজমিনে দেখা যায়, তিনতলা বিশিষ্ট কলা ভবনের নিচতলায় সাতটি শ্রেণি কক্ষ ছাড়াও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন বাঁধন, ক্যাম্পাস বার্তা ও সাংবাদিক সমিতির কার্যালয় রয়েছে। ছাত্রদের দুইটি শৌচাগারের মধ্যে একটি স্টোর রুম, অন্যটি ব্যবহারের অনুপযোগী। দ্বিতীয় তলায় বাংলা, ইংরেজি, আরবি ও ইসলাম শিক্ষা, সমাজ বিজ্ঞান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগীয় কার্যালয়, সেমিনার ও চারটি শ্রেণি কক্ষ রয়েছে। ছাত্রীদের কমন রুম ও নামাজ ঘরও একই তলাতে। তৃতীয় তলায় সমাজকর্ম, ইতিহাস বিভাগের কার্যালয় সেমিনার কক্ষ ও আটটি শ্রেণি কক্ষ রয়েছে। এ তলায় ছাত্রদের জন্য একমাত্র শৌচাগারটিও রয়েছে নানা সংকটে।

স্বেচ্ছায় রক্তদাতা সংগঠন বাঁধন ভিক্টোরিয়া কলেজ শাখার সভাপতি জোবাইদা ইয়াসমিন মুমু বলেন, নিচতলায় তিনটি সংগঠন রয়েছে। এখানে বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অতিথি হিসাবে আসেন। তবে কোন শৌচাগার ব্যবহারের উপযোগী না থাকায় তাদের যেমন কষ্ট হয়, সংগঠকদেরও বিব্রত হতে হয়। আমরা চাই দ্রুত শৌচাগার সংস্কার করা হোক।

আরবি ও ইসলাম শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী, সাহিত্য সংগঠন ক্যাম্পাস বার্তার নির্বাহী সম্পাদক মহিউদ্দিন আকাশ বলেন, কলা ভবনে ছয় থেকে সাত হাজার ছাত্র-ছাত্রী আছে। এখানে ক্লাস রুম সংকট, খাবার পানি নেই, শৌচাগার সমস্যা, ভবনের দেয়ালের অধিকাংশ স্থান নষ্ট হয়ে গেছে, নিচতলায় কলেজের ম্যাপ ছিলো, তা এখন নেই। নোটিশ বোর্ডে বহিরাগতদের বিজ্ঞাপনে সয়লাব। রয়েছে আরও নানা সমস্যা সংকট ।

এ বিষয়ে কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. রুহুল আমিন ভূঁইয়া বলেন, ইট, বালির তৈরি এ ভবনের বয়স কম বেশী ষাট বছর। ভবনের মেয়াদও প্রায় শেষ। নতুন ভবনের বরাদ্দের জন্য মন্ত্রণালয়ে চাহিদাপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। দশ তলা বিশিষ্ট আধুনিক ভবন তৈরি করা হবে। সে প্রকল্প বাস্তবায়ন হতে কয়েক বছর সময় চলে যাবে, শৌচাগার সংস্কারের জন্য গণপূর্ত অধিদপ্তরের সাথে আলোচনা চলছে।