ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চতুর্থ দফায় ঘর পেলেন ৮৩ পরিবার
এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
চতুর্থ পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৮৩ পরিবার পেলেন প্রধানমন্ত্রীর ঘর। বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সুবিধাভোগীদের মাঝে ভূমি ও গৃহ হস্তান্তর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বেসামরকি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে দলিল-চাবি হস্তান্তর করেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সেলিম শেখ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) জিয়াউল হক মীর, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মোশারফ হোসাইন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. লোকমান হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামিমা বেগম, প্রবীণ সাংবাদিক মোহাম্মদ আরজু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। আনু্ষ্ঠানিকভাবে ঘরের চাবি ও জমির দলিল হস্তান্তরের সময় উপস্থিত অতিথিরা সুবিধাভোগী প্রত্যেককে একটি করে গাছের চাড়া উপহার প্রদান করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে প্রকাশ, চতুর্থ পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় গৃহহীন ও ভূমিহীন ৮৩ টি পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত ঘর প্রদান করা হয়েছে। প্রদত্ত ঘরসমূহের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় ৫৮টি এবং নবীনগর উপজেলায় ২৫টি। সদর উপজেলার ৫৮টি ঘরের মধ্যে ‘ক’ শ্রেণির পরিবারের মধ্যে ২৫ পরিবারকে মজলিশপুর ইউনিয়নের আমিরপাড়ায় এবং ১২টি পরিবারকে মাছিহাতা ইউনিয়নের চিনাইর গ্রামে পুনর্বাসন করা হয়েছে। পাশাপাশি চিনাইর গ্রামে ১৯৯৭ সালে নির্মিত লাখুনিয়া দিঘী আশ্রয়ণ প্রকল্পের ব্যারাকের জীর্ণশীর্ণ ঘরের স্থলে ২১টি একক গৃহ নির্মাণ করে পূর্ব থেকে বসবাসকারী এই পরিবারগুলোকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। সমাজের মূলধারার মানুষের সঙ্গে ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষসহ তৃতীয় লিঙ্গ, ভিক্ষুক, বেদেসহ সমাজের পিছিয়ে পড়া বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের জন্যও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নয়টি উপজেলায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের এই ঘরগুলো নির্মিত হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেন।