ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জরিমানার টাকা চাওয়ায় সালিশকারককে খুন! 

এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে একই গ্রামের দুই গোষ্ঠির লোকদের মধ্যে হয় ঝগড়া। ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত সালিশে এক পক্ষকে করা হয় জরিমানা। ওই জরিমানার টাকা চাওয়ায় সালিশকারক হোসেন মিয়া (৫০) তারই দুই চাচাত ভাইয়ের হাতে খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ মিলেছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে।
রোববার(১৭ জানুয়ারি)বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের শোলাবাড়ি গ্রামে ঘটেছে এই ঘটনা। নিহত হোসেন মিয়া শোলাবাড়ি গ্রামের মৃত হাজী লাল মিয়ার পুত্র। তিনি এলাকায় সালিশকারক হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
নিহতের ছোটভাই আনোয়ার ও অন্যান্যদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গত বুধবার ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে শোলাবাড়ি গ্রামের কুলির বাড়ির ছেলেদের সাথে এজামতের বাড়ির ছেলেদের ঝগড়া হয়। পরদিন পানিশ্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. নুরুল হকের নেতৃত্বে অনু্ষ্ঠিত স্থানীয় সালিশে এজামতের বাড়ির লোকদেরকে এক লাখ টাকা জরিমানা হয়। এর মধ্যে একই বাড়ির হোসেনকে পাঁচ হাজার ও দুলালসহ মনিরকে একত্রে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ভাগ করে দেওয়া হয়। হোসেন মিয়া তার জরিমানার টাকা আদায় করলেও দুলাল এবং মনির জরিমানার টাকা দেয়নি। রোববার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে জরিমানার টাকা চাওয়ায় মৃত ফালু মিয়ার দুই ছেলে দুলাল ও মনির তার উঠানেই হোসেন মিয়ার বুকে কিল-ঘুষি শুরু করেন। পরে হোসেন উঠানে পড়ে গিয়ে স্ট্রোক করেন। সন্ধ্যের দিকে হোসেনকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে যাবার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ফাইজুর রহমান ফয়েজ জানান, ‘হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই হোসেনের মৃত্যু হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর কারণ বলা যাচ্ছে না।’
সরাইল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি একজন স্ট্রোক করে মারা গেছেন। তবে মারধরের কারনে স্ট্রোক করছে কি না ময়না তদন্তের রিপোর্ট ছাড়া বলা যাবে  না। লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।’