ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জলাতঙ্ক নির্মূলে কুকুরকে টিকাদানের উদ্যোগ

এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
জলাতঙ্ক একটি মরণব্যাধি। বিশেষত কুকুরের প্রজনন মৌসুমে অথবা অন্য যেকোনো সময়েই কুকুরের লালা থেকে মানবদেহে জলাতঙ্কের বিস্তার ঘটে। কুকুরে কামড়ালেও ভয়াবহ এই রোগের প্রাদুর্ভাব ছড়ায়। এজন্য কুকুর থেকে সাবধানতা, সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। জলাতঙ্কমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে সরকারের গৃহিত পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কুকুরকে টিকাদানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মিলনায়তনে সাংবাদিক, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত অবহিতকরণ সভায় উপরোক্ত তথ্যাদি উপস্থাপন করা হয়।আগামী ২৮ জানুয়ারি থেকে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়ে স্বাস্থ্য বিভাগের ২৯টি অভিজ্ঞ টিম জেলা সদর তথা সদর উপজেলা এলাকায় জলাতঙ্ক বিস্তার রোধে কুকুরকে ব্যাপকহারে টিকা প্রয়োগ করবেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. শাখাওয়াত হোসেনের সভাপতিত্বে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রন শাখা আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ্। অবহিতকরণ সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা এ.বি.এম. সাইফুজ্জামান, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. খুরশেদ আলম, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. লোকমান হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা বেগম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন, মাছিহাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল আমিনুল হক পাভেল, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক এম. আব্দুল বাছেদ প্রমূখ।
অবহিতকরণ সভায় জলাতঙ্কের ভয়াবহতা ও করণীয় বিষয়ে সার্বিক আলোচনা করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার প্রোগ্রাম কো অর্ডিনেটর মো. কামরুজ্জামান ও সুপার ভাইজার মো. আমজাদ হোসেন। সভায় জানানো হয়, মরণব্যাধি জলাতঙ্ক নির্মূলে সকলকে সচেতন হতে হবে। সরকার জলাতঙ্কমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের যে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে তা বাস্তবায়নে ব্যাপকহারে কুকুরকে ব্যাপকহারে টিকাদান করা হচ্ছে। সেই লক্ষ্যে কুকুর নিধন ছাড়া ভ্যাকসিনেশনের মাধ্যমে জলাতঙ্কের বিস্তার রোধে আগামী ২৮ জানুয়ারি থেকে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা এলাকায় কুকুরকে ব্যাপকহারে কুকুরকে টিকা দেয়া হবে। এই কার্যক্রমে স্বাস্থ্য বিভাগের ২৯টি অভিজ্ঞ টিম কাজ করবে।