ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রলারডুবিতে ১৭ জনের মরদেহ উদ্ধার
এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
যাত্রী ও বালুবোঝাই ট্রলার। বিপরীতমুখী দুই ট্রলারের সংঘর্ষে যাত্রীবাহী ট্রলারডুবিতে ঘটেছে হতাহতের ঘটনা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের অনতিদূরে লইসকা বিলে এই ট্রলারডুবিতে অন্তত ১৭ জনের মরদেহ উদ্ধারের বিষয় সদর মডেল থানার ওসি এমরানুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন। তবে ১৭ জনের মধ্যে ১০ জনই মহিলা ও শিশু রয়েছেন বলেও পুলিশ নিশ্চিত করেন। নিহতদের পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
শুক্রবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে বিজয়নগর উপজেলার লইসকা বিলে ঘটে ভয়াবহ এই ঘটনা। ট্রলার ডুবির ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আলী আক্তার রিজভী বলেন, শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটায় জেলার বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর ঘাট থেকে শতাধিক যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলার জেলা শহরের আনন্দবাজার ঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা করে। সোয়া পাঁচটার দিকে যাত্রীবোঝাই ট্রলারটি তিতাস নদী সংলগ্ন লইসকা বিল এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিকে থেকে আসা বালুবোঝাই একটি ট্রলারের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে যাত্রীবোঝাই ট্রলারটি ডুবে যায়। রাত সাড়ে আটটা নাগাদ ১৭ জনের মরদেহ উদ্ধার হবার বিষয় নিশ্চিত করেছেন পুলিশ। নিহত ১৭ জনের মধ্যে ১০ জনই মহিলা ও শিশু। তাছাড়া আহত হওয়াদেরকে আড়াইশ’ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শুক্রবার রাত নয়টায় এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘এ পর্যন্ত ১৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত নিহতদের মধ্য মহিলা ও শিশু রয়েছেন ১০ জন। উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত আছে। তাছাড়া আহতদেরকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উদ্ধার তৎপরতায় নির্দেশনা প্রদান করেন।জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খান জানান, জেলা প্রশানের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে সহায়তা প্রদান করা হবে।’