ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হত্যা মামলার রায়ে পাঁচজনের যাবজ্জীবন

এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সংগঠিত হত্যা মামলার রায়ে পাঁচজনকে যাবজ্জীবন ও তিনজনের এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড হয়েছে। বুধবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ সফিউল আজম এ রায় প্রদান করেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, জেলার সরাইল উপজেলার সৈয়দটুলা গ্রামের ফকিরপাড়ার মো. শফিকুর রহমান খন্দকার (শাফি), মো. মোর্শেদ খন্দকার, মো. সাহেদ আলম খন্দকার, আবদুল  হাই ও মোবারক মিয়া। এর মধ্যে মো. মোর্শেদ খন্দকার ও মোবারক পলাতক রয়েছেন। রায়ে এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন, হেলিম মিয়া, আবুল বাদশা ও মামুন মিয়া। এর মধ্য আবুল বাদশা পলাতক রয়েছেন।
আদালত এবং মামলা সূত্রে জানা যায়, বিগত ২০১৪ সালের ১৩ আগস্ট রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার সৈয়দটুলা গ্রামের জাহাঙ্গীরপাড়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বাড়ির পাশেই প্রতিপক্ষীয়দের হাতে খুন হয় সৈয়দটুলা গ্রামের জাহাঙ্গীরপাড়ার শওকত আলী। পরে এই ঘটনায় নিহতের ভাই আবদুল বাতেন বাদী হয়ে নয়জনকে আসামী করে সরাইল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে নয়জনকেই অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। গত তিন বছর আগে আবুল কাশেম নামের এক আসামী মারা যায়। অবশেষে দীর্ঘ ছয় বছরের মাথায় আদালত প্রদত্ত রায়ে পাঁচজনের যাবজ্জীবন এবং অপর তিনজনের প্রত্যেককে এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করেছে।
রায় ঘোষণার পর মামলার বাদী ও নিহতের ভাই আবদুল বাতেন বলেন, ‘এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট নই। আমরা উচ্চ আদালতে আপীল করব।’ মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট বশির আহমেদ বলেন, ‘এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। আমরা আশা করেছিলাম সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হবে। এই রায়ে আমরা হতাশ। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব।’