মন্ত্রিত্ব হারানোর পর সম্পদ বেড়েছে মুজিবুল হকের

অফিস রিপোর্টার।।
মন্ত্রিত্ব হারানোর পর সম্পদ বেড়েছে সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক মুজিব ও তার স্ত্রী হনুফা আক্তার রিক্তার। মন্ত্রী থাকাকালীন ২০১৮ সালে বার্ষিক আয়সহ তার সম্পদ ছিল দুই কোটি ৮৮ লাখ ৮৫ হাজার ৭১৭ টাকার, স্ত্রীর ছিল দুই কোটি ৬৪ লাখ ৭৫ হাজার ৯৩৩ টাকার সম্পদ। মন্ত্রিত্ব হারানোর পর ২০২৩ সালে তার সম্পদ দাঁড়ায় চার কোটি ৬৬ লাখ ১৭ হাজার ৩৫৯ টাকায়। হলফনামায় স্ত্রীর সম্পদ উল্লেখ করা হয় চার কোটি ৬৬ লাখ ১৭ হাজার ৩৫৯ টাকা ( উভয়ক্ষেত্রে বিয়ের উপহারের ৮৭ ভরি স্বর্ণের দাম ৮০ লাখ টাকা ধরে)।
মুজিবুল হক কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। চারবারের এ সংসদ সদস্য ২০১৪ সাল থেকে ২০১৯ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন। আসন্ন নির্বাচনে কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন তিনি।
একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০১৮ সালে মুজিবুল হক ও তার স্ত্রীর কোনো অ্যাপার্টমেন্ট ছিল না। ২০২৩ সালে মুজিবুল হকের এক কোটি ৪৪ লাখ ৪৩ হাজার টাকা ও তার স্ত্রীর এক কোটি ৫০ লাখ টাকা অর্জনমূল্যের একটি করে দুটি অ্যাপার্টমেন্টের কথা হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে। ২০২৩ সালে তার স্ত্রীর ব্যবসায় মূলধন ২৮ লাখ ৩১ হাজার ২৫৮টাকা উল্লেখ করা হয়। ২০১৮ সালে এ খাতে কোনো মূলধন ছিল না তার। ২০১৮ সালে মন্ত্রী থাকাকালীন মুজিবুল হকের নগদ ছিল ২০৩২ টাকা, তার স্ত্রীর ছিল ২২৫৮ টাকা। ২০২৩ সালে তার নগদ টাকার পরিমাণ দাঁড়ায় চার লাখ ৩২ হাজার ৮১০ টাকায়। স্ত্রীর নগদ টাকার পরিমাণ প্রায় ৯১০গুণ বেড়ে দাঁড়ায় ২০ লাখ ৫৪ হাজার ৬৬৮টাকায়। ২০১৮ সালে মুজিবুল হকের ৭৭ লাখ এক হাজার ১৯৫ ও ৭২ লাখ ৩২ হাজার ৭৫৩ টাকা মূল্যের দুটি গাড়ি ছিল, এবার তার ৭২ লাখ ৩২ হাজার ৭৫৩ টাকা মূল্যের একটি গাড়ি আছে। এছাড়া মন্ত্রী থাকাকালীন ২০১৮ সালে তার ১৩৯ তোলা স্বর্ণ ছিল। এ বছর স্বর্ণ দেখানো হয়েছে চার তোলা। ২০১৮ সালে তার দেনা ছিল ২৯ লাখ ছয় হাজার ৯৩০টাকা। এবার কোনো দেনা নেই তার। ২০২৩ সালে সীমানা প্রাচীরসহ দুটি আবাসিক দোতলা দালান ও একটি ছয়তলা বাণিজ্যিক ভবনের অর্জনমূল্য দেখানো হয়েছে এক কোটি ৯৬ লাখ ৮৭ হাজার ৫৪২টাকা। এর আগের সংসদ নির্বাচনে সীমানা প্রাচীরসহ তার দুটি দোতলা ভবন ছিল। যার দাম উল্লেখ করা হয় এক কোটি চার লাখ ৩৮ হাজার ২৭৪ টাকা।