মসজিদ ঈদগাহ রক্ষার দাবিতে প্রতীকী গণঅনশন

আশুগঞ্জ—আখাউড়া ফোরলেন সড়ক নির্মাণ
উপজেলা রিপোর্টার,আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)।।
আশুগঞ্জ—আখাউড়া—আগরতলা ফোর লেন সড়ক নির্মাণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় একটি জামে মসজিদ ও ঈদগাহ ময়দান অক্ষুন্ন রাখার দাবিতে প্রতীকী গণঅনশন করেছে এলাকাবাসী। আখাউড়া স্থলবন্দর সংলগ্ন সড়কের ধলেশ্বর ঈদগাহ মাঠে সোমবার (২৩ অক্টোব) সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করা হয়। গণ—অনশনে মসজিদ ও ঈদগাহ কমিটির লোকজনসহ শতাধিক মানুষ অংশ নেয়। ফোরলেন সড়কের প্রস্তাবিত নকশা সামান্য পরিবর্তন করা হলেই ৭৫ বছরের পুরনো এ মসজিদ ও ৭ গ্রামের মানুষের ঈদগাহ ময়দানটি রক্ষা পাবে বলেন মনে করেন এলাকাবাসী। প্রায় ৪৪ শতক ভূমিতে এ ঈদগাহ মাঠ ও দৃষ্টি নন্দন মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে।
ধলেশ্বর ঈদগাহ কমিটির সভাপতি, সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী আকছির এম চৌধুরীর সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন ঈদগাহ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইলিয়াছ মিয়া, ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ও ইউপি সদস্য মোঃ ইদ্রিস মিয়া এবং মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাদেকুল ইসলাম প্রমুখ।
ধলেশ্বর ঈদগাহ কমিটির সভাপতি, সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী আকছির এম চৌধুরী বলেন, ১৯৪৬ সালে বঙ্গেরচর মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ঈদগাহ মাঠটি করা হয়১৯৭৭ সালে। এই এলাকার ৭টি গ্রামের প্রায় ৪ হাজার মানুষ এখানে ঈদের নামাজ আদায় করে। আশে—পাশের কয়েকটি গ্রামের মুসল্লিরা এই মসজিদে নামাজ পড়ে আসছে। এলাকার কেন্দ্রবিন্দুতে এ মসজিদ ও ঈদগাহ মাঠটি অবস্থিত।  এখানে নামাজ আদায় করতে সবার জন্যই সুবিধা। প্রস্তাবিত আখাউড়া—আগরতলা ফোর লেন সড়কের বর্তমান নকশা অনুযায়ী  সড়ক নির্মাণ করা হলে দৃষ্টি নন্দন এ মসজিদ এবং ঈদগাহ মাঠটির অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে।  আমরা হয়তো ক্ষতিপূরণ পাবো। কিন্তু এমন সুন্দর জায়গা পাবো না। তিনি আরও বলেন, আমরা উন্নয়ন কাজের বিরোধী নই। উন্নয়ন কাজে আমাদের কোন বাধা নাই। সরকার যদি বিবেক দিয়ে চিন্তা করে নকশাটি রিভাইস করে তাহলে আমাদের শত বছরের ঐতিহ্যবাহী মসজিদ ও ঈদগাহ মাঠটি রক্ষা পাবে। এতে ফোরলেন সড়ক নির্মাণেও কোন সমস্যা হবে না। বর্তমান নকশা থেকে ২০০গজ পূর্ব দিকে সরিয়ে নিলেই দুটি ধর্মীয় প্রতিষ্টান রক্ষা পাবে। তিনি শত বছরের ঐহিত্যবাহী মসজিদ ও ঈদগাহ রক্ষা করে ফোরলেন সড়ক নির্মাণের দাবি জানান।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আশুগঞ্জ—আখাউড়া—আগরতলা ফোর লেন প্রকল্প পরিচালক আব্দুল আউয়াল মোল্লা বলেন, ফোরলেন রাস্তার নকশাটি ইতোমধ্যে চূড়ান্ত করা হয়েছে। তবে এলাকাবাসীর এ দাবির বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলবো।