বাইকারের হেলমেটের ক্যামেরায় ধরা পড়লো ছিনতাইয়ের ভিডিও, অতঃপর!

আবদুল্লাহ আল মারুফ।।

inside post

রাত ০৩টা ৪৫ মিনিট। স্ত্রীকে মোটরসাইকেলের পেছনে বসিয়ে ঢাকায় যাচ্ছিলেন জেড এম তৌকি ইয়াসির। ঢাকা- চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঢাকামুখী লেনে দাউদকান্দির গাজীপুর পাকা রাস্তার মাথায় আসলে যানজট লাগে। তাই মোটরসাইকেল নিয়ে কম গতিতে যাচ্ছিলেন। আচমকা দুইজন ব্যক্তি সুইচ গিয়ার ছুরি দিয়ে ভয় দেখিয়ে তাদের মোটরসাইকেলের পথরোধ করে। সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে নেয়া হয় মোটরসাইকেলের চাবি। পরে মহাসড়কেই সবার সামনে একে একে লুটে নেয়া হয় তাদের সঙ্গে থাকা সব মূল্যবান জিনিসপত্র। ঐসময় জেড এম তৌকি ইয়াসিরের মাথার হেলমেটের সাথে থাকা ক্যামেরায় রেকর্ড হচ্ছিল সব। আর সেই ভিডিও দেখেই দুই ছিনতাইকারীকে আটক করেছে পুলিশ। ইতোমধ্যে ওই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ মে) রাতের ঘটনার পরদিন বুধবার (৩১ মে) আসামিদের গ্রেফতার করে পুলিশ। এঘটনায় গ্রেফতারকৃতরা হলেন, দাউদকান্দির পশ্চিম মাইজপাড়ার মানিক মিয়ার ছেলে মোঃ রাকিব(২৩) ও উত্তর সাতানন্দি সওদাগর বাড়ির আবদুল রাজ্জাক বেপারির ছেলে মো. জয় (২৭)। এ ঘটনায় ছিনতাইয়ের মালামাল উদ্ধার করা হয়, উপজেলার শান্ত, সোহাগ(২৮), জাহিদ হাসানের কাছ থেকে। তারা সবাই পরিকল্পিতভাবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত।

পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতার রাকিবের নামে পূর্বে ১৩ টি মামলা, সোহাগের নামে পূর্বে ১১টি মামলা, জয়ের নামে পূর্বে সাতটি ও জাহিদের নামে পূর্বে তিনটি ছিনতাই, ডাকাতির প্রস্তুতি মামলা রয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তাদের কাছ থেকে ছিনতাইকারীরা মোটরসাইকেলের সামনে থাকা একটি স্মার্টফোন (Gogle pixel 3) মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ, নগদ টাকা, ভিসা কার্ড, মাষ্টার কার্ড ও স্ত্রী কামরুন নাহার তন্বীর কাছ থেকে নগদ এক হাজার ৩০০ টাকা ও একটি স্মার্টফোন এবং একটি ড্রোন ছিনিয়ে নেয়। পরে তারা বিভিন্ন জায়গায় তা বিক্রি করে দেয়। গ্রেফতারের পর আসামিদের তথ্যে সকল মালামাল উদ্ধার করা হয়।

এদিকে একইরাতে দুলাল মিয়া নামের এক ট্রাক চালককে দাউদকান্দির তুজারভাঙ্গা বাগানবাড়ি থেকে দুইজন সুইচ গিয়ার দেখিয়ে স্মার্ট ফোন ও নগদ চার হাজার টাকা ছিনতাই করে। এ ঘটনায় আশপাশের সিসি টিভি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে দুজনকে সনাক্ত করে গ্রেফতার করা হয়৷

এ ঘটনায় গ্রেফতার হন, দোনারচরের মাইজ উদ্দিনের ছেলে আলাউদ্দিন (৩৭)। তার বিরুদ্ধে পূর্বে একাধিক মামলা রয়েছে। পলাতক রয়েছেন, আপ্পি নামের স্থানীয় আরেকজন।আলাউদ্দিনের কাছ থেকে ছিনতাইয়ের মোবাইল ফোন ও সুইচ গিয়ার ছুরি উদ্ধার করা হয়।

কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) খন্দকার আশফাকুজ্জামান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, দুইটি ঘটনাই পুলিশ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছে। এবং আসামীদের ধরেছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। ডাকাতি, ছিনতাইসহ সকল অপরাধের বিরুদ্ধে পুলিশের সক্রিয় নজর রয়েছে।

আরো পড়ুন