মুজিববর্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৫৪ হাজার মানুষকে আনা হবে স্বাক্ষরতার আওতায় 

এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
নিরক্ষরমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে অভূতপূর্ব কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে সরকার। বিশেষত বছরের প্রথম দিনেই শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে বই তুলে দেয়টি বিশ্ব দরবারের নজর কেড়েছে। সরকার এই মুজিববর্ষে সারাদেশে ২১ লাখ নিরক্ষর মানুষকে স্বাক্ষরতার আওতায় আনতে নিরলসভাবে কাজ করছে। এরই ধারবাহিকতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৫৪ হাজার মানুষকে স্বাক্ষরতার আওতায় আনা হবে।
আন্তর্জাতিক স্বাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান উপরোক্ত তথ্য উপস্থাপন করেন। বিগত ১৯৬৬ সাল থেকে ৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক স্বাক্ষরতা দিবস পালিত হয় আসছে। বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর ১৯৭২ সালে প্রথম দিবসটি পালিত হয়। এর পর থেকে দেশে প্রতি বছরই দিবসটি পালিত হয়ে থাকে।
বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খান। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. রুহুল আমীনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শাফি উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সভপাতি রিয়াজ উদ্দিন জামি প্রমূখ। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, বর্তমান সরকার নিরক্ষরমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাস্তবায়ণ করছেন অভূতপূর্ব কার্যক্রম। বিশেষ করে বছরের প্রথম দিনেই শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে বই তুলে দিচ্ছেন। যা ইতিমধ্যে বিশ্ব দরবারের নজর কেড়েছে। সরকার চলমান মুজিববর্ষে সারাদেশে ২১ লাখ নিরক্ষর মানুষকে স্বাক্ষরতার আওতায় আনতে নিরলসভাবে কাজ করছেন। এরই ধারবাহিকতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৫৪ হাজার মানুষকে আনা হবে স্বাক্ষরতার আওতায়। তিনি নিরক্ষরমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে সরকারের পাশাপাশি সকলকে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।