মোবাইল ফোনে একত্রিত হয়ে পাবেলকে খুন করে কিশোর গ্যাং

 

অফিস রিপোর্টার।।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মোবাইল ফোনে যোগযোগ করে একত্রিত হয় কিশোর গ্যাং সদস্যরা। পরে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় পাবেল নামের এক কলেজ শিক্ষার্থীকে। নিহত কিশোরের মা লিপি ইসলাম বাদী হয়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় এজাহারনামীয় নয়জন এবং অজ্ঞাতনামা আরো ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় ৪ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় ঘটনায় ব্যবহৃত সুইস গিয়ার (চাকু) উদ্ধার করা হয়। রবিবার এসব বিষয় জানান কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান। । নিহত পাবেল চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুণবতী এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে।

গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন, ফেনী জেলার গজারিয়া কান্দি (শর্শদি) এলাকার ফারুক আহাম্মেদের ছেলে আবু হুরাইরা অনিক (১৯), আলকরা ইউনিয়নের কুলাসার এলাকার আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে মোঃ সালমান হোসেন (২২), কুলাসার বড় বাড়ির রবিউল হক ওরফে জানু মিয়ার ছেলে নাঈমুল হক রাকিব (১৯), ধোপাখিলা গ্রামের শামছুল হকের ছেলে নাজিমুল হক জয় (১৯)।
পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান জানান, আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় গ্রেফতারকৃত আসামি নাঈমুল হক রাকিবের সাথে গত একমাস আগে নিহত পাবেলের সাথে ফেনী শহরে কথা কাটাকাটি হয়। উক্ত ঘটনাটি আসামি নাঈমুল হক রাকিব তার বাড়ি আলকরা এলাকায় এসে স্থানীয় বন্ধুদের জানায়। তখন থেকেই নাঈমুল হক রাকিব ও তার সহযোগী আসামিরা পাবেলকে মারধর করার জন্য সুযোগ খুঁজতে থাকে। তাছাড়া কয়েকদিন আগে আসামিরা পাবেলের নানার বাড়িতে গিয়েও তাকে খুঁজে আসে। বৃহস্পতিবার রাতে কলেজ শিক্ষার্থী পাবেল নানার বাড়ি চৌদ্দগ্রাম থানার আলকরা ইউনিয়নের ধোপাখিলা মনু ভূঁইয়ার বাড়ির সামনে ব্যাডমিন্টন খেলছিল। এসময় নাঈমুল হকসহ আসামিরা পাবেলকে হত্যার জন্য মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করে একত্রিত হয়। পরিকল্পিতভাবে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে কিশোরদের ছুরিকাঘাতে পাবেল মারা যায়। এসময় পাবেলের চারজন বন্ধু আহত হন। নিহত কিশোর পাবেল মহিপাল সরকারি কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্র।
পুলিশ সুপার জানান, মামলার প্রকৃত রহস্য জানা গেছে। পলাতক অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রেখেছি।