যানজটে আটকা জামায়াত আমির, ছাড়াতে গিয়ে প্রাণ গেল কর্মীর

প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার লালমাইতে যানজটের কবলে পড়া জামায়াতে আমির ডা. শফিকুর রহমানের গাড়ি বহরকে সাইড করে দিতে গিয়ে বাস চাপায় নিহত হয়েছেন জসিম উদ্দিন (৫৩) নামে একজন কর্মী।
শনিবার সকাল ১০টায় তার জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের উপজেলার সৈয়দপুর এলাকার এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত জসিম উদ্দিন উপজেলার বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের সৈয়দপুর পশ্চিম পাড়ার মৃত আলী আশ্রাফ মোল্লার ছেলে। তার স্ত্রী ও শিশুসহ তিন সন্তান রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,
লক্ষীপুরে জামায়াতের জনসভায় যোগদিতে যাওয়ার পথে শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে আমির শফিকুর রহমানে বহরের ৪টি গাড়ি বাগমারা উত্তর বাজারে যানজটে আটকা পড়ে। এ সময় জামায়াতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা সড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক করতে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছিলেন। ঢাকামুখী তিশা পরিবহনের একটি বাস তাকে ধাক্কা দিলে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালনকারী জসিম উদ্দীনের মাথা থেতলে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

বাগমারা বাজারের ব্যবসায়ী মফিজুল ইসলাম মুন্না জানান, কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত হলেও বাগমারা বাজার অংশে অধিগ্রহণ জটিলতার কারণে দুই লেন করা হয়েছে। যার কারণে ২৪ ঘণ্টাই সড়কের এই অংশে যানজট লেগে থাকে। যানজট নিরসনে পুলিশ দায়িত্ব পালন করলে আজ হয়তো এমন মৃত্যু হতো না।

এ বিষয়ে লালমাই উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা ইমাম হোসেন বলেন, আমিরে জামায়াত লক্ষীপুর যাওয়ার পথে বাগমারা উত্তর বাজারে তাঁর গাড়ি বহর যানজটে আটকা পড়ে। তখন আমিসহ সংগঠনের ১০ থেকে ১৫ জন নেতাকর্মী সড়কে যানচলাচল সাভাবিক করতে ট্রাফিকের সাময়িক দায়িত্ব পালন করি। এক পর্যায়ে আমাদের কর্মী জসিম উদ্দিন বাস চাপায় মারা যান।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, বাগমারা বাজারের অংশে প্রায় যানজট লেগে থাকে। বিষয়টি মাথায় রেখে বিকেলে লালমাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে সড়কে যানজট ও নিরাপত্তার বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। তাদের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নিলে আজ এমন দুর্ঘটনা ঘটতো না।

লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম বলেন, বাস চাপায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় তিশা পরিবহনের একটি বাস আটক করা হয়েছে। নিহতের লাশ স্বজনরা বাড়ি নিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় কোন অভিযোগ না থাকায় মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে ।