রাস্তা কেটে চাষাবাদ, চলাচলে দুর্ভোগ

সানোয়ার হোসেন,চৌদ্দগ্রাম।।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মালিকানা দাবি করে রাস্তা কেটে আমন রোপন করা হয়েছে। সংকুচিত রাস্তায় শিক্ষার্থী ও সাধারণদের চলাচলে পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ। বন্ধ হওয়ার উপক্রম তিন চাকার যান। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয়রা।

inside post

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের বাঘারপুষ্করনী মাদ্রাসায়ে দারুল উলুম ও এতিমখানা ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং বাঘারপুষ্করনী ও সাতবাড়িয়া গ্রামের সাধারণ লোকজনের চলাচলের একমাত্র চলাচলের রাস্তা। একই গ্রামের আনু মিয়ার ছেলে বিল্লাল হোসেন রাস্তাটি তার জমির উপরে দাবি করে আংশিক কেটে ফেলেন। যার ফলে সংকুচিত হয়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীর চলাচলে ব্যাঘাত ঘটছে। যান চলাচল হয়ে পড়েছে প্রায় অসম্ভব। এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মহিউদ্দিনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের স্বাক্ষরিত একটি দরখাস্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর দেয়া হয়।

সরজমিন মঙ্গলবার দুপুরে অভিযুক্ত বিল্লাল হোসেনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি উচ্চস্বরে বলতে থাকেন- ‘কারো বাপ দাদার সম্পত্তির উপরে নয়, আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তির উপরে রাস্তা। তাই আমি ৫ ফুট জায়গা রেখে বাকিটুকু কেটে ফেলেছি। উপজেলায় অভিযোগ করে কী হবে, কেউ আমার কিছু করতে পারবেনা।’

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শাহিন বলেন, ‘আমাদের পূর্বপুরুষরা এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করেছে। গতবছর আমাদের অর্থায়নে রাস্তাটি মেরামত করা হয়। স্থানীয় বিল্লাল হোসেন তার জায়গা দাবি করে রাস্তাটি কেটে ফেলে। এই রাস্তা দিয়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা চলাচল করে।’

ভুক্তভোগীদের মধ্যে মাহবুবুল হক বলেন, ‘ আমার বয়স ৭০ বছর, ছোটবেলা থেকে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করি। এখন বিল্লাল নিজের জমির উপরে দাবি করে রাস্তা কেটেছে, গ্রামের লোকজন জিজ্ঞাসা করলে জবাবে বলে আপনাদের বাপের রাস্তা নাকি। পারলে জায়গা কিনে রাস্তা করেন। আমার জায়গার উপর দিয়ে রাস্তা দিব না। তারা(বিল্লালরা) আমাদের যানবাহন চলাচলে বাঁধা দেয়। প্রতিবাদ করলে সংঘবদ্ধভাবে মারতে আসে।’

বাঘারপুষ্করনী মাদ্রাসায়ে দারুল উলুম ও এতিমখানার শিক্ষক মাওলানা জাহিদ হোসেন বলেন, বর্ষাকালে ওই রাস্তায় হাঁটু সমান পানি থাকে, যাতে শিশু শিক্ষার্থীদের চলাচল অসম্ভব হয়ে পড়ে। বেশিরভাগ শিক্ষার্থী ওই রাস্তায় চলাচল করে। গত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হলে এলাকাবাসী শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে রাস্তাটি মেরামত করে। মেরামত করা রাস্তাটি কেটে সংকুচিত করেছেন বিল্লাল।

৭নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মহিউদ্দিন বলেন, ‘অভিযুক্ত বিল্লালের নিকট এ বিষয়ে জানতে চাইলে সে আমাকে উল্টো বলে কে কী করবে করুক, কেস মামলা করে কী হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, ‘রাস্তা কাটার একটি অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যব্স্থা নেয়া হবে।’

আরো পড়ুন