শত বছরের ঐতিহ্যের কুমিল্লা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ
আবু সুফিয়ান রাসেল।।
কুমিল্লা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ। জেলার সবচেয়ে বড় এ ঈদগাহের ইতিহাস সংগ্রহে নেই কারো। তবে ধারণা করা হয়, মোগল শাসিত এ অঞ্চলের বৃহৎ ঈদগাহের বয়স শতবছর। তবে লিখিত ইতিহাস নেই বলে জানিয়েছেন প্রবীণ নাগরিকরা।
ক্রীড়া সংগঠক বদরুল হুদা জেনু বলেন, ১৯৬৪ সালে ঈদগাহের পাশে আমরা একটি বাসায় বসবাস করতাম। তখন ছয়টি কাতার পাকা ছিলো। পেছনের অংশে ঘাস ছিলো। দেয়াল ছিলো ঢেউ ঢেউ। যার উচ্চতা তিন থেকে সাড়ে তিন ফুট হবে। তখন ঈদগাহ জিলা কাউন্সিল (বর্তমান জেলা পরিষদ) সার্বিক বিষয়ে দেখাশোনা করতেন। পরবর্তী সময়ে ঈদগাহ কুমিল্লা পৌরসভার ব্যবস্থাপনায় যায়। সব মিলিয়ে বলা যায়, মোগল শাসিত এ অঞ্চলের বৃহৎ ঈদ গাহের বয়স কমপক্ষে শতবছর।
কুমিল্লার প্রবীণ নাগরিক, ছড়াকার জহিরুল হক দুলাল বলেন, কোন পুস্তকে আমাদের ঈদগাহের ইতিহাস নেই। এটির কারণ হলো এখানে কোন স্থাপত্য নেই। তবে এখানে যেহেতু শাহসুজা মসজিদ। এ অঞ্চলে মুসলিম-অমুসলিমদের বহু বছরের বসবাস। হয়তো একশ’ বছর বা কমবেশি হতে পারে। পাকিস্তান আমল থেকে দৃষ্টিনন্দন হিসাবে দেখছি। তার মানে এটার বয়স অনেক। তবে কোন রেফারেন্স নেই।
ঈদগাহের ইমাম ও খতিব মুফতি কাজী ইব্রাহীম বলেন, আমি ২০০০ সাল থেকে ঈদের জামাতের ইমাম পদে দায়িত্ব পালন করছি। পূর্বে আমার বাবা মাওলানা ইসহাক সাহেব ৪৪ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন। বাবার আগে দৌলুতপুরের হাফেজ সাহেব (নাম জানা যায়নি) প্রায় একযুগ দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও দুই-তিনজন বিভিন্ন ঈদে অনিয়মিত ঈদের ইমামতি করেছেন। যখন প্রধান ইমাম হজ্ব বা অন্য কারণে ছুটিতে ছিলেন। ধারণা করছি কুমিল্লা ঈদগাহের বয়স ৭০-৮০ বছর হবে।
কুমিল্লার সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু বলেন, এখন ঈদগাহের যে অবয়ব দেখছেন আপনারা। এটি ২০০৯ সালের পর ধারাবাহিক ভাবে করেছি। মিম্বর তৈরি, চারদিকে ওয়াল, তিনটি ফটক, নিচে পাকা করেছি সময়ে সময়ে। একবারে কাজ করা সম্ভব হয়নি, কারণ এটি কুমিল্লার মানুষের টাকা। সাধারণ মানুষের দানের টাকা ছাড়াও বড় অংশ ছিলো সিটি কর্পোরোশনের রাজস্ব। আমি প্রতি বাজেটে ঈদগাহের জন্য কয়েক লক্ষ টাকা বরাদ্দ করতাম। ইতিহাস জানতে হলে, দলিলপত্র দেখতে হবে।