শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছেন তিনি

মোহাম্মদ শরীফ।।
কামরুল হাছান মাস্টার। জন্মেছিলেন কুমিল্লার বি-পাড়া উপজেলার পোমকাড়া গ্রামে। কুমিল্লার সন্তান হয়ে আলো ছড়াচ্ছেন সিলেটের শ্রীমঙ্গলে। দীর্ঘ ৩৫ বছর যাবৎ শিক্ষকতার মহান পেশায় নিজেকে জড়িয়েছেন। ২৩ বছর যাবৎ প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন শ্রীমঙ্গলের মোহাজেরাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ে। জাতি গড়ার এই কারিগর শিক্ষাক্ষেত্রে অবদানের জন্য পেয়েছেন অসংখ্য সম্মাননা ও পুরস্কার। জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-১৯ সিলেট বিভাগের শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক হিসেবে পুরস্কিত হয়েছেন। অংশগ্রহন করেছেন জাতীয় পর্যায়ে। তার দীর্ঘ জীবনে জাতীর প্রতি মহান অবদানের জন্য পেয়ে ২৫ টির অধিক পুরস্কার ও সম্মাননা। সিলেট মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা সম্মাননা, শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রশাসন সম্মাননা, পিকেএসএফ সম্মাননা, মৌলভীবাজার শিক্ষা অফিস সম্মাননা, নেলসন ম্যান্ডেলা এ্যাওয়ার্ড-২০, স্বাধীনতা দিবস সম্মাননা-২১, একুশে স্মৃতি এ্যাওয়ার্ড-২১, জাতীয় চার নেতা স্মৃতি সম্মাননা-২১, একুশে ভাষা শহীদ স্মৃতি সম্মাননা-২১, সাপ্তাহিক দেশের ডাক সম্মাননা-২০, সার্ক পিস এ্যাওয়ার্ড-২১, জ্ঞান তাপস ড. মো শহীদুল্লাহ্ স্মৃতি গোল্ডেন এ্যাওয়ার্ড-২০  সহ অসংখ্য জাতীয় ও স্থানীয় সংগঠন থেকে তিনি সম্মাননা পুরস্কার পেয়েছেন।
শিক্ষা জীবনে তিনি প্রথম শ্রেণী থেকে প্রতিটি বিভাগে প্রথম স্থান অর্জন করে সফল হয়েছেন। ১৯৭৪ সালের দূর্ভিক্ষের কারনে তার পড়াশোন  বন্ধ হয়ে যায়। স্থানীয় আবদুল লতিফ স্যারের সহায়তায় তিনি আবার পড়াশোনায় মনোনিবেশ করেন।
তাঁর সেই শৈশব কালের শিক্ষকদের প্রতি এখনো কৃতার্থ হোন। মহান এই শিক্ষকের প্রতি সম্মান জানিয়ে পোমকাড়া গ্রামের একটি বাড়ির নামকরণ করা হয়েছে তার নামে। যা কামরুল মাস্টারের বাড়ি হিসেবে এখন পরিচিত। ব্যক্তিগত তার জীবনে স্ত্রী ও চার মেয়ে রয়েছে। তিনি প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহন করেন- পোমকাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে, মাধ্যমিক- পোমকাড়া উচ্চ বিদ্যালয়। কলেজ জীবনের শুরু- দেবিদ্বার সুজাত আলী সরকারি কলেজ থেকে। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে করেন স্মাতক, বিএড- কুমিল্লা কোর্টবাড়ি, স্মাতককোত্তর করেন- এশিয়ান ইউনিভার্সিটি থেকে। এছাড়া তিনি মৌলভীবাজার প্রধান শিক্ষক পরিষদ যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা ও মানবিক সংগঠণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। জাতি গড়ার এই কারিগর কামরুল হাছান বলেন, ‘সমাজের অত্যাচারী, মিথ্যা, হিংসুটে ,এবং দূর্নীতি পরায়ন লোকের প্রতি প্রতিবাদমুখী মনোভাব এবং এদেরকে আমি ঘৃনা করি। আমি আমার এলাকার সকল মানুষকে মনে প্রাণে ভালবাসি। যতদিন বেঁচে থাকি ততদিন ভালবেসে যাব’।