শুভ জন্মদিন শচীন কর্তা
শাহজাহান চৌধুরী
উপমহাদেশের জনপ্রিয় সঙ্গীতজ্ঞ শচীন দেববর্মণের জন্ম ১৯০৬ সালের ১ অক্টোবর কুমিল্লা পৌর এলাকার (বর্তমান সিটি কর্পোরেশন) নবাববাড়ি সংলগ্ন দক্ষিণ চর্থায়। শচীন দেব বর্মণের পিতা নবদ্বীপ কুমার বর্মণ ছিলেন তৎকালীন ত্রিপুরার মহারাজ বীরচন্দ্র মানিক্য বাহাদুরের সৎ ভাই। নবদ্বীপ বর্মণ ছিলেন শিক্ষাদীক্ষা-সংস্কৃতিতে চৌকস। তাই বীরচন্দ্র মানিক্য বাহাদুর তার পথের কাঁটা দূর করার জন্য নবদ্বীপ কুমার বর্মণকে নিগৃহীত করার চেষ্টা করে। তখন শচীন দেববর্মণের পিতা, রাজবাড়ির কর্মকর্তা শ্রী কৈলাস সিংহের পরামর্শে ১৮৭০ সালের মাঝামাঝি সময়ে সপরিবারে কুমিল্লায় চলেএসে বসতি স্থাপন করেন এবং সিংহাসনের দাবি ছেড়ে দেন। (কৈলাস সিংহ ত্রিপুরার রাজ্যের ইতিহাস গ্রন্থ রাজমালার রচয়িতা)। এ বাড়িতেই শচীন দেববর্মণের শিশুকাল, কৈশোরকাল ও যৌবনের কিয়দংশ অতিবাহিত হয়। ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় রাজটোলে তার শিক্ষা জীবন শুরু। ৫ম শ্রেণিতে এসে কুমিল্লা জিলা স্কুলে ভর্তি হয়ে এন্ট্রেস (এসএসসি) পাশ করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে ১৯২৪ সালে বিএ পাস করেন। ততদিনে তিনি হয়ে গেছেন সঙ্গীতানুরাগী। গানের নেশায় রাজ পরিবারের আদরের দুলাল শচীন চষে বেড়িয়েছেন গ্রাম থেকে গ্রামান্তর। ত্রিপুরার বাঁশি ছিল তার নিত্যদিনের সহযাত্রী। বাঁশি শুনে আর কাজনেই, সে যে ডাকাতিয়া বাঁশি’ গানের মূর্ছনা এখনও সঙ্গীতানুরাগীদের হৃদয়ে দোলার সৃষ্টি করে। সুরের তাগিদে তিনি নৌকার মাঝি-মাল্লাদেও সঙ্গে কত বিনিদ্র রাত কাটিয়েছেন তার হিসাব করা দুস্কর। শচীন দেববর্মণ এ মাটিতে জন্ম নেওয়া এ মাটিরই সন্তান, তার ডাক নাম ছিল ডালিম কুমার। শচীন কর্তা নামের আড়ালে ঢাকা পড়ে গেছে পারিবারিক আদরের নাম বাবা নবদ্বীপ চন্দ্র বর্মণের হাতে তার গানের হাতেখড়ি। তার ভাই বোনদের ভিতর লে. কর্ণেল কিরন কুমার ও মেজদি কুমারী তিলত্তমা সু গায়িকা ছিলেন। বাড়ির চাকর মধাব ও আনোয়ারের গান শুনে তিনি ঝুঁকে পড়েন বাংলার লোকসঙ্গীতের উপর। স্কুল কলেজ ফাঁকি দিয়ে নৌকার মাঝিদের সাথে ঘুরে ঘুরে মনে প্রাণে ধারণ করেন লোকসঙ্গীত।
কে যাসরে ভাটির গাঙ বাইয়া
আমার ভাই ধনরে কইও নাইওর নিত আইয়া……
তার বিখ্যাত গানগুলোর একটি, যা রচিত হয়েছিল গোমতি নদীকে কেন্দ্র করে। কুমিল্লায় বসবাসকালে এখানকার লোকালয়ের সঙ্গে শচীন কর্তার সামক্য পরিচয় ঘটেছিল। বিশালচন্দ্র দেবের অভিমত, শচীন দেববর্মণের সুরের মূল সম্পদ আহরিত হয়েছিল পূর্ববঙ্গের বাউল, ভাটিয়ালি, কীর্তন গানথেকে। কলকাতা শচীন দেববর্মণকে প্রতিষ্ঠা দিয়েছে। মুম্বাই দিয়েছে সুরের জগতে পৃথিবীব্যাপী খ্যাতি। শচীন কর্তার তার নিজ মুখেই বলেছেন, পূর্ব বঙ্গের এমন কোন অঞ্চল, পথনেই, এমন কোন নদী নেই যেখানে আমি না ঘুরেছি। ছুটি ও পড়াশোনার ফাঁকে আমি গান সংগ্রহ করতাম। যে সম্পদের জোরে আমি সূরের সেবা করে চলেছি, তার আদি হল আমার ওইসব দিনের সংগ্রহ।’
‘নিশিতে যাইও ফুল বনে রে ভ্রমরা নিশিতে যাইও ফুল বনে’ অথবা ‘তুমি এসেছিলে পরশু কাল কেন আসনি, তবে কি তুমি আমায় বন্ধু কাল ভালবাসনি’। নিজের সুরা করা লোকজ সঙ্গীত ছিল তার প্রধান গান। তিনি লোকজ সঙ্গীত ও ভারতীয় মার্গ সঙ্গীতের সংমিশ্রণে নিজস্ব ঘরানার সৃষ্টি করেন। ভারত সরকার তাকে পদ্মশ্রী খেতাবে ভূষিত করে। এ পদক প্রদান করেন ভারতে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ড. জাকির হোসেন। ১৯২৪ সালে তিনি উচ্চ শিক্ষার্থে কলকাতা চলেযান এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্যে এমএ শ্রেণীতে ভর্তিহন। সঙ্গীতের টানে এক বছরের মাথায় তিনি লেখাপড়া ছেড়েদেন এবং সম্পূর্ণ নিজেকে সঙ্গীতে সমর্পণ করেন। কলকাতায় শাস্ত্রীর সঙ্গীতে উৎসাহী হয়ে সর্বপ্রথম অন্ধ সঙ্গীতজ্ঞ কৃষ্ণচন্দ্র দে’র শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন, পরে ভীম্মদেব চট্টোপাধ্যায় ও ওস্তাদ বদর খাঁর কাছে তালিম নেন। আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সঙ্গে কুমিল্লায় শচীন দেব বর্মণের বিশেষ সখ্য গড়ে উঠে, যা কলকাতায় আরও ঘনিষ্ঠ হয়। কবি নজরুল শচীন কর্তার সঙ্গে প্রায়শ মিলিত হতেন সৃজনশীল আড্ডায়।
কলকাতায় তার বাংলা গানের রেকর্ড বেরিয়েছিল ১৩১টি। তার মধ্যে নিজের সুরে ১১৪টি। গীতিকারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪১টি গান করেছেন বাল্যবন্ধু অজয় ভট্টাচার্যের। মাত্র ৩৮ বছরে অজয় ভট্টাচার্য মৃত্যুবরণ করেন। না হয় এ সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেত। শচীন দেবের প্রথম রেকর্ড বের হয় ১৯৩২ সালে হিন্দুস্থান মিউজিক প্রোডাক্টস থেকে। এইচএমভিতে রেকর্ড শুরু হয় ১৯৪৭ সালথেকে। চলচ্চিত্রে তিনি প্রথম সঙ্গীত পরিচালনা করেন ‘রাজনী’ ছবিতে। মোট ১৩টি বাংলা ছবিতে সঙ্গীত পরিচালনা করেন। হিন্দিছবি ‘শিকারি’ তে প্রথম সঙ্গীত পরিচালনা করেন। তিনি নজরুলের কথা ও সুরে ৪টি গান রেকর্ড করেন।
১৯৩৪ সালে এলাহাবাদে অল ইন্ডিয়া মিউজিক কনফারেন্সে অংশগ্রহণের মধ্যদিয়ে তার অবস্থান আরও সম্মানজনক পর্যায়ে পৌঁছে। ১৯৩০ সালে পিতার মৃত্যুও পর তিনি মানসিক আঘাতপান এবং অর্থনৈতিক দূরবস্থার মধ্যে পড়েন। তিনি কলকাতার নিবাস ‘ত্রিপুরা প্যালেস’ ছেড়ে দিয়ে কম ভাড়ার ছোট্ট বাসানিয়ে থাকতে শুরু করেন। ১৯৩৮ সালে হাইকোর্টের জর্জ কমল নাথ দাশ গুপ্তের দৌহিত্রী এবং তারই গানের ছাত্রী মীরাধর গুপ্তকে বিয়ে করেন। মীরাও ছিলেন সঙ্গীত শিল্পী ও গীতিকার। ১৯৩৯ সালে তাদেও সন্তান রাহুল দেববর্মণের জন্ম হয় (যিনি আরডি বর্মণ হিসেবে খ্যাত)। তার পুত্রবধূ আশা ভোঁসলে। ভারতীয় উপমহাদেশের সঙ্গীতের আরেক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তার স্ত্রী মীরা দেবীর একজন সুগায়িকা ছিলেন। ১৯৩৯-৪০ সালে দুই বছর তিনি বাম ধারার সংগঠন গণনাট্য সংঘের, সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি এ সংগঠনের লোক সঙ্গীত বিভাগের সভাপতি ছিলেন। এ সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলরাজ সাহানী, পন্ডিত রবিশষ্কর, সলিল চৌধুরী, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, সুচিত্রা মিত্র, বীনা রায়, দেবব্রত বিশ্বাস সহ বহু গুণী শিল্পী। ১৯৪২ সালে মুম্বাইয়ের রঞ্জিত স্টুডিও’র মালিক চন্ডুলাল শা শচীন দেববর্মণকে সঙ্গীত পরিচালক পদে যোগ দিতে আহ্বান জানান। কিন্তু তিনি যাননি। বাংলা গানের প্রতি ও বাঙালি জীবন তাকে কলকাতায় টেনে রেখেছিলেন। ১৯৪৪ সালে আবার মুম্বাই থেকে ডাকএলে তিনি কলকাতা ছেড়ে মুম্বাই চলে যান। সেখানে তিনি ছবিতে সঙ্গীত পরিচালকের দায়িত্ব পেতে শুরুকরেন। ‘ট্যাক্সি ড্রাইভার’ ছবির জন্য ফিল্ম ফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন। পিয়াসা ছবিতে সুরারোপের জন্য এশিয়ান ফিল্ম সোসাইটি পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৬২ সালে তিনি হেলসিষ্কি, ফিনল্যান্ড আন্তর্জাতিক সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় অন্যতম বিচারক ছিলেন। তিনি লাভ করেন ‘সন্তহরিদাস’ পুরস্কারসহ আরও অনেক পুরস্কার। ১৯৭৫ সালে ৩১ অক্টোবর তিনি মুম্বাইতে মৃত্যুবরণ করেন। তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠান সেখানেই সম্পন্ন হয়।
সঙ্গীত ব্যক্তিত্ব কুমার শচীন দেববর্মণের সরব পদচারণা ছিল কুমিল্লার ক্রীড়াঙ্গনে। তিনি কুমিল্লা ইয়ংমেন্স ক্লাবের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। পরে ইউনিয়ন ক্লাবের সদস্য হন। ফুটবল খেলার রেফারির দায়িত্ব পালন করাছিল তাঁর শখ। তিনি ক্রিকেট খেলায়ও আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করতেন। ১৯১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত দি ত্রিপুরা ক্লাব যা বর্তমানে কুমিল্লা ক্লাব নামে পরিচিত তার টেনিস কোর্টে তিনি নিয়মিত যাতায়াত করতেন।
২০০৫-২০০৬ সালে শচীন দেববর্মণের জন্ম শতবর্ষ ত্রিপুরা ও পশ্চিম বাংলায় বিপুল সমারোহে উদ্যাপিত হয়। ‘আমি টাকডুম টাকডুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল/ সব ভুলে যাই তাও ভুলি না বাংলা মায়ের কোল…’ ৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে জন্ম নেয়া নতুন বাংলাদেশকে এভাবেই স্বাগত জানিয়েছিলেন শচীন কর্তা তার উৎসারিত মাতৃবন্দনায়।
২০০৬ সালে শচীন দেববর্মনের জন্মশতবর্ষ কলকাতায় ও আগরতলায় উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হওয়ার ফলে সবার দৃষ্টি পড়ে শচীন দেববর্মনের রেখে যাওয়া বাড়ির উপর ২০০৭/৮ স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী শচীন দেববর্মনের বাড়ীটি দেখতে এসে শচীন দেববর্মনের নামে একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র গড়ে তোলার কথা বলেন। তখন জেলা প্রশাসক ছিলেন মোঃ মঞ্জুরুর রহমান। তারপর কেটে যায় অনেকদিন ইতিমধ্যে কুমিল্লার সংস্কৃতি অঙ্গনের ব্যক্তিবর্গ বিষয়টি কুমিল্লার ৬ আসনের সংসদ আ ক ম বাহাউদ্দিন এর দৃষ্টি গোচর করেন। তিনি বাড়ীটি সরজমিনে দেখে এই বাড়ীটিকে কালচারাল কমপ্লেক্স হবে বলে ঘোষণা করেন এবং এই মর্মে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশনা প্রদান করেন। ৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৪ জেলা প্রশাসক তোফাজ্জল হোসেন মিয়া সরজমিনে বাড়ীটি পরিদর্শন করেন তখন তার সাথে ছিলেন জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার (যুগ্ম সচিব) ওমর ফারুক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আবদুল মতিন, এসিল্যান্ড, হাঁস-মুরগির খামারের দু’জন কর্মকর্তা সেখানে আমারও থাকার সৌভাগ্য হয়েছিল। ৪ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর শচীন দেববর্মনদের এই বাড়ীতে যারা ছিলেন তারা সবই ভারতে চলে যান এবং বাড়ীটি পরিত্যাক্ত হয়ে পড়ে এবং কিছুদিন পর মিলিটারী গোডাউন হিসাবে ব্যবহৃত হয়। ১৯৫৭ সালে এখানে সরকারি হাঁস-মুরগী খামার প্রতিষ্ঠা হয় এবং তখন থেকে এর চারদিকে দেয়াল তুলে হাঁস মুরগীর খামার কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করেন। কিন্তু পর্যালোচনায় বেরিয়ে আসে যে শচীন দেববর্মনের বাড়ীটি মোট ৬.৩০৭ একর ভ’মির উপর, যার কিয়দাংশ হাঁস-মুরগির খামারকে লীজ প্রদান করা হয়েছিল। সভায় আলোচনা ও সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে হতে ১০ ফেব্রুয়ারী ২০১৪ সচিব সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রনালয় বরাবর শচীন দেববর্মনের বাড়ীটি ও তৎসংলগ্ন ০.৭২৯৬ একর ভূমিতে একটি কালচারাল কমপ্লেক্স নির্মানের পক্ষে প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়।
২০১৫ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে ও জেলা প্রশাসন কুমিল্লার ব্যবস্থাপনায় আট দশক পর শচীন দেব বর্মণের ভিটায় প্রথম অনুষ্ঠিত হয় ‘‘ শচীন সঙ্গীত আসর” এরপর মন্ত্রনালয় বাড়িটিকে ঘিরে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র গড়ে তোলার কাজ শুরু করেন। ২০১৮ সাল হতে শচীন দেববর্মন এর সংস্কারকৃত ভবন সংলগ্ন মাঠে (বাড়ীর পেছন দিকে) জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শচীনমেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
গত ২৫ নভেম্বর ২০১৯ সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী কে এম খালিদ, এমপি সংলাপ কুমিল্লার ৩০ বছর পূর্তী উপলক্ষে ৬দিন ব্যাপী বৃহত্তর কুমিল্লা নাট্যেৎসব উদ্ভোধন করতে এসে ২৬ নভেম্বর শচীন দেববর্মন এর বাড়ী পরিদর্শন করেন এবং অচিরেই এখানে ব্যাপক কর্মকান্ড শুরু হবে বলে ঘোষণা দেন। এ সময় স্থানীয় সংস্কৃতি কর্মীরা শচীন দেববর্মন এর বাড়ীর সম্মুখ ভাগে ১৯৮৩ সালে নির্মীত ভবনটি অপসরন করে বাড়ীর পূর্বের প্রবেশ দ্বার উদ্ধারের অনুরোধ জানান। গত ৪ সেপ্টেম্বর সংস্কৃতি মন্ত্রনালয়ের প্রত্নতত্ব অধিদপ্তরের মহা পরিচালক অতিরিক্ত সচিব মোঃ হান্নান মিয়া বাড়ীটি পরিদর্শনে এসে বাড়ীটির প্রবেশদ্বার পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে মন্ত্রী মহোদয়ের আন্তরিক প্রচেষ্টার কথা ব্যাক্ত করেন। তিনি বাড়িটিকে দর্শনীয় স্থান করার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসককে পত্র প্রেরণ করেন।
তথ্যসূত্র : শচীন দেববর্মণ, ভাটির গাঙ বাইয়া, শ্যামল চক্রবর্তী। শতবর্ষে শচীন দেববর্মণ, শ্যামল চক্রবর্তী। শচীন কর্তার গানের ভ’বন, খগেস দেববর্মণ। ব্যক্তিগত উপস্থিতি।