শূন্যে থাকে, বাতাস খেয়ে বাঁচে এ গাছ !
মহিউদ্দিন মোল্লা
শিকড় আছে। তবে শূন্যে। মাটির সাথে কোন সংযোগ নেই। অনেকে চোখে দেখেও প্লাস্টিক গাছ বলে ভুল করবেন। তবে এর প্রাণ আছে। গাছ বাড়ে, নতুন নতুন সন্তানের জন্ম দেয়। যেখানে আলো বাতাসের চলাচল আছে, সেখানে বাড়ে।
তবে বৃষ্টি ও বেশি রোদে বাঁচে না। সৌখিন বাগানিরা এই উদ্ভিদ বারান্দায় ঝুলিয়ে চাষ করে। দামও বেশ। মাঝারি আকারের একটি এয়ার প্লান্টের দাম ১৫শ’ থেকে দুই হাজার টাকা। এর গ্রামের বাড়ি থাইল্যান্ডে। কুমিল্লায়ও এয়ার প্লান্টের কদর বাড়ছে। ঝুলছে বারান্দায় ও ঘরের দরজায়।
তৈয়বুর রহমান সোহেল নামের একজন বাগানী জানান,ঘর বা বারান্দার সৌন্দর্য বাড়াতে এয়ার প্লান্টের চাষ করা যেতে পারে। একটা পেঁচানো তারে ঝুলিয়ে দিতে হয়। সে আলো আর বাতাস থেকে নিজের খাবার খুঁজে নিবে।
কুমিল্লা গাডের্নার্স সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ডা.আবু নাইম তার বাসার বারান্দায় এয়ার প্লান্টের চাষ করছেন। তিনি জানান,এয়ার প্লান্টের চাষে তেমন ঝামেলা নেই। টব দরকার নেই। নেই মাটির প্রয়োজন। মাসে দুইবার গোসল দিলেই হয়। মাঝে মাঝে পানি স্প্রে করা যেতে পারে। আলো-বাতাস আছে এমন স্থানে ঝুলিয়ে দিলে বাড়তে থাকে। কোন গুলো দেখতে আনারস গাছের মতো। কোন গুলো দুর্বাঘাস কিংবা ক্যকটাসের মতো। কিছু কিছু এয়ার প্লান্টে ফুলও হয়। এগুলোর বিভিন্ন জাত রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য-টিলাননিসি ও স্কেডিয়ানা প্রভৃতি।
আধুনিক কৃষিমনার প্রতিষ্ঠাতা কৃষিবিদ মোসলেহ উদ্দিন বলেন, এয়ার প্লান্টের বাণিজ্যিক চাহিদা রয়েছে। ভালো দাম পাওয়া যায়। বাণিজ্যিক ভাবে চাষ করলে তরুণরা বেকারত্ব ঘুচাতে পারবে।