সবজি চাষে ভালো আয়, যাচ্ছেন আর না দুবাই!
মহিউদ্দিন মোল্লা।।
রাসেল হোসেন। কৃষক পরিবারের সন্তান। কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার হারং গ্রামে বাড়ি। দুবাইতে ছিলেন ১০বছর। ভালোই আয় করেছেন। ছুটিতে দেশে এসে বাবার সাথে কৃষি কাজে নেমে পড়েন। কৃষিতে লাভ দেখে আর দেশ ছেড়ে যাননি। সবজির চারা উৎপাদন,গ্রীষ্মকালীন টমেটো ও ফুলকপিসহ বিভিন্ন সবজি করে তিনি এখন ভালো আয় করছেন। গত বছর ৬০ হাজার টাকা পুঁজি লাগিয়ে সাড়ে ৪লাখ টাকার গ্রীষ্মকালীন ফুলকপি বিক্রি করেছেন। এবার দেড় একর জমিতে গ্রীষ্মকালীন ফুলকপি লাগিয়েছেন। খরচ ৯০হাজার টাকার মতো। এক লাখ টাকার ফুলকপি বিক্রি করেছেন। তার আশা তিনি আরো ৫লাখ টাকার ফুলকপি বিক্রি করতে পারবেন।
মাঠে গিয়ে দেখা যায়,তরুণ কৃষক রাসেল সহযোগীদের নিয়ে ফুলকপি তুলছেন। জমি থেকেই পাইকাররা কিনে নিচ্ছেন। কপি তুলে পাতা ছাড়িয়ে মেপে পাইকাররাকে বুঝিয়ে দিচ্ছেন। গুণে নিচ্ছেন নগদ টাকা। আজ বিক্রি করেছেন ৪০ কেজি। পরিশ্রমের কারণে তিনি ঘেমে যাচ্ছেন। তবে নগদ টাকা পেয়ে তার মুখে হাসি লেগেই আছে। প্রতি কেজি ১০০টাকা। পাইকাররা বাজারে তা ১২০টাকা থেকে ১৫০টাকা বিক্রি করবেন।
রাসেল হোসেন বলেন,দুবাইতে মামার সাথে কাজ করতাম। ভালো কাজ ভালো বেতন। ২০১৯ সালে দেশে চলে আসি। কিন্তু দেশে এসে কৃষি কাজ করে মনে হলো এখানে আয় আরো বেশি। তাই আর বিদেশ যাইনি। তিনি আরো বলেন, গত বছর ফুলকপি যখন লাগাই তখন এলাকার অনেক মানুষ হাসাহাসি করেছে। প্রথম দিকে ফসলের অবস্থা ভালো ছিলো না। উপ-সহাকরী কৃষি কর্মকর্তা গোলাম সারোয়ারের পরামর্শ নিয়ে উপকৃত হয়েছি। বাজাওে নেয়ার পর অনেকে বিশ^াস করছিলেন না এগুলো জমিতে হয়েছে। কেউ কেউ ফুলকপি ধরে দেখেন। অনেকে মনে করেছেন শো-পিস। যারা হাসাহাসি করেন ভালো ফলন হওয়ায় তারাও এখন চাষ করছেন।
স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো.গোলাম সারোয়ার বলেন.রাসেল হোসেন একজন উদ্যোমী কৃষক। তিনি সবজির চারা বিক্রি, গ্রীষ্মকালীন টমেটো ও ফুলকপি চাষ করে ভালো লাভবান হয়েছেন। তাকে দেখে অন্যরাও উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার মনিরুল হক রোমেল বলেন, চান্দিনা উপজেলার হারং গ্রামের রাসেল এলাকায় প্রথম গ্রীষ্মকালীন ফুলকপি চাষ করেন। তার থেকে চারা নিয়ে ছায়কোট,তুলাতলীসহ পাশের কয়েকটি গ্রামের ৫০-৬০জন কৃষক চাষ করেন। চান্দিনায় ৫হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন ফুলকপির চাষ হয়েছে।