সেতু আতংকে ৪০ গ্রামের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ

 

আল-আমিন কিবরিয়া ।
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলায় গোমতী নদীর উপর নির্মিত দেবিদ্বার-খলিলপুর সংযোগ সেতু। সেতুর মাঝে দুই পাশের ফুটপাতের রেলিং নেই। যে অংশে রেলিং আছে সেগুলোও জরাজীর্ণ। রেলিং না থাকায় চলাচলে দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয়রা। সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন নদী পার হন এপার ওপারের ৪০টি গ্রামের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০০৫ সালে সেতুটি নির্মিত হয়। দৈর্ঘ্য ১৩০ মিটার। নির্মাণকালে ত্রুটির কারণে সেতুটির মাঝের অংশ তখনই দেবে যায়। এ অবস্থায় নির্মাণকাজ শেষ দেখিয়ে বিল উত্তোলন করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। উদ্বোধনের দুই বছর পর থেকে ভাঙতে শুরু করে সেতুর ফুটপাতের রেলিং। যা ১৫ বছরেও সংস্কার করা হয়নি।
খলিলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক জানান, দু’টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি কিন্ডারগার্টেন, একটি হাইস্কুলসহ সাতটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত এ সেতু পারাপার হয়। সেতুতে রেলিং না থাকায় যেকোন সময় অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটতে পারে।
গোমতী নদীর বেড়িবাঁধ এলাকার বাসিন্দা ইলেকট্রিশিয়ান জাহাঙ্গীর আলম। তিনি জানান, রেলিং না থাকায় সেতুটি দিয়ে যাতায়াত করতে আমাদের আতংকে থাকতে হচ্ছে। ছেলেমেয়েরা স্কুলে যাতায়াত করতে ভয় পায়। এভাবে আর কতদিন চলবে? আমরা বহুবার সেতুটি সংস্কারের দাবি করেছি। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।
ফতেহাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান মাসুদ বলেন, উপজেলার দুইটি ইউনিয়নসহ আমাদের উপজেলার সাথে পার্শ্ববর্তী বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার কিছু এলাকার সাথে সড়ক যোগাযোগের মাধ্যম এ সেতু। বিশেষ করে বালিবাড়ি, হামলাবাড়ি, বারেরারচর, খলিলপুর, আশানপুর, জয়পুর, কামারচর, হেতিমপুর, নূরপুর, বড়কান্দা ও বুড়িরপাড়সহ প্রায় ২৫ গ্রামের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ ঝুঁকি নিয়ে এ সেতু পার হন। সেতুর রেলিং নির্মাণ ও সংস্কার অত্যন্ত জরুরি।
সেতুটির বিষয়ে দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চন্দ্র সরকার জানান, খলিলপুর সেতু সংস্কার বিষয়ক প্রস্তাবনা সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হয়েছে।