মডেল মসজিদের বিদ্যুত বিলের বকেয়া ১৪লাখ!
কুমিল্লার মডেল মসজিদ
মহিউদ্দিন মোল্লা ।।
কুমিল্লার মডেল মসজিদ। বকেয়া বিদ্যুৎ বিল নিয়ে বেকায়দায় রয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এরকম চালু হওয়া আটটি মসজিদের বিল বকেয়া পড়েছে। দাউদকান্দিতে বকেয়া বিলের পরিমাণ ১৪লাখ ছাড়িয়েছে। বিল কমানো ও বিল পরিশোধে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন দায়িত্বশীলরা।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন কুমিল্লা কার্যালয়ের সূত্রমতে, জেলার ১৭টি উপজেলা রয়েছে। তার মধ্যে তিতাস ও মেঘনা উপজেলায় ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় এখনও মসজিদ নির্মাণ হয়নি। জেলা মডেল মসজিদসহ ১৬টির মধ্যে চালু হয়েছে জেলা মডেল মসজিদ। এখানে ১৩মাসে বকেয়া পড়েছে ১লক্ষ ৪৫হাজার টাকার বেশি। আদর্শ সদর উপজেলার মসজিদে একমাসে বকেয়া ১১হাজার টাকা। দাউদকান্দি উপজেলা মডেল মসজিদে ২৩মাসে বকেয়া ১৪লাখ টাকার বেশি। বুড়িচংয়ে ১৯মাসে বকেয়া সাত লক্ষ ২৪হাজারের বেশি। সদর দক্ষিণ উপজেলায় এখনও নামাজ শুরু হয়নি। নাঙ্গলকোটে ৯মাসে বকেয়া তিন লক্ষ ৩৭হাজার টাকার বেশি। চান্দিনায় ২৩মাসে বকেয়া ৬লক্ষ ৫৭হাজার টাকা। লালমাইতে এখনও নামাজ শুরু হয়নি। ব্রাহ্মণপাড়ায় ১৭মাসে বকেয়া পাঁচ লক্ষ ৬০হাজার টাকার বেশি। দেবিদ্বার উপজেলায় ৩মাসে বকেয়া ৮৬হাজার টাকার বেশি। বাকি গুলো নির্মাণাধীন রয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ইমাম ও মুয়াজ্জিন বলেন,মসজিদ গুলোর বিদ্যুত বিল দান থেকে দিতে বলা হয়েছে। এগুলো জনবহুল স্থানে নির্মাণ করা হয়নি। কিংবা একটির পাশে আরেকটি নির্মাণ করা হয়েছে। এতে তেমন মুসল্লি পাওয়া যায়না। কোথাও ফজরের নামাজওে সময় ইমাম ও মুয়াজ্জিন ছাড়া কাউকে পাওয়া যায় না। সঙ্গত কারণে দানের টাকা উঠে না। এছাড়া বেশি ওয়াটের সাব স্টেশন স্থাপন করায় বিদ্যুতের বিল বেশি উঠছে। এদিকে বিদ্যুত অফিস মসজিদ দেখে বকেয়ার জন্য লাইন কাটছে না। কিন্তু এভাবে কতদিন?
দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাঈমা ইসলাম বলেন, মহাসড়কের পাশে আমাদের মসজিদটি। তাই এখানে বেশি বিদ্যুত ব্যবহার হয়। আমরা বিদ্যুতের ওয়াট কমিয়ে খরচ কমাতে চেষ্টা করছি।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন কুমিল্লা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক এস এম আনিসুর রহমান বলেন,মডেল মসজিদের জেলা কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক মহোদয়। তিনি মসজিদের কাজের বিষয়ে আন্তরিক। তিনি ইউএনও মহোদয়দের সহযোগিতা নিয়ে বকেয়া পরিশোধের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়সার বলেন,মসজিদ আল্লাহর ঘর। মুসল্লি ও দানবীরদের সহায়তা কাজ এগিয়ে নিচ্ছি। আশা করছি দ্রুত সংকট কেটে যাবে।