হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় চার গ্রামের মানুষকে হয়রানির অভিযোগ
এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিলে মাছ ধরতে গিয়ে খুন হয় স্বপন মিয়া। ঘটনায় সম্পৃক্তায় সফিকুল ইসলাম হৃদয় গ্রেপ্তারের পর আদালতে প্রদান করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী। এর পরও হত্যা মামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে চারটি গ্রামের মানুষকে করা হচ্ছে হয়রানি। এসবের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভূক্তভোগী গ্রামবাসী।
বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গ্রামবাসীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) আবুল খায়ের।
লিখিত বক্তব্যে আবুল খায়ের মেম্বার জানান, চলতি বছরের ২৬ মে সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের হাবলাউচ্চ গ্রামের স্বপন মিয়া এলাকার বার আউলিয়া বিলে মাছ ধরতে গিয়ে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়। পরদিন পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটানায় ৮ জুন নিহতের স্ত্রী রোকেয়া বেগম স্থানীয় চার গ্রামের ২৭ জনকে সন্দেহভাজন আসামী উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করেন।মূলত ইউপি নির্বাচনে মহসিন মিয়ার পক্ষ না নেয়ায় নিরীহ গ্রামবাসীকে হয়রানি করতে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মামলাটি করানো হয়। পরে মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তরিত হলে সিআইডি পুলিশ সফিকুল ইসলাম হৃদয় নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে। তার দেয়া জবানবন্দীতে স্বপন মিয়া হত্যা ঘটনার রহস্য উদঘাটিত হয়। হত্যায় এলাকার মহসিন গং জড়িত থাকার বিষয়টি জবানবন্দীতে সফিকুল ইসলাম হৃদয় স্বীকার করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি, হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটিত হওয়ার পরও চারটি গ্রামের নিরীহ মানুষকে হয়রানির তীব্র নিন্দ ও প্রতিবাদ জানান। এছাড়াও স্বপন হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবী জানান। সংবাদ সম্মেলনে ভূক্তভোগী গ্রামবাসীর প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।