বাঞ্ছারামপুরে স্পিডবোট-ট্রলার সংঘর্ষে দুইজন নিহত
এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে নদীপথের দ্রুতগামী বাহন স্পিডবোট ও ট্রলারের মধ্যে ঘটে মুখোমুখী সংঘর্ষ। এতে ফরিদ মিয়া ও জুয়েল মিয়া নামের দুইজন নিহতসহ আহত হয়েছেন অপর সাতজন।
শনিবার (৩০ অক্টোবর) রাতে উপজেলার মরিচাকান্দি এলাকায় মেঘনাবক্ষে ঘটে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনা। নিহতেরা হলেন বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সলিমাবাদ গ্রামের খুরশিদ মিয়ার পুত্র জুয়েল মিয়া (৩৫) এবং নরসিংদী জেলা সদরের সঙ্গীতা এলাকার জুলফু মিয়ার পুত্র ফরিদ মিয়া (৪৫)। তাছাড়া আহত সাতজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাতে নরসিংদী ঘাট থেকে ১০/১২ জন যাত্রী নিয়ে একটি স্পীডবোট বাঞ্ছারামপুরের মরিচাকান্দি নৌঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা করে। রাত সাড়ে আটটার সময় মেঘনাবক্ষের মরচিকান্দি এলাকায় পৌঁছার পর একটি ট্রলারের সঙ্গে স্পীডবোটটির মুখোমুখী সংঘর্ষে বোটটি উল্টে যায়। এতে বোটে থাকা যাত্রীরা সাঁতরে প্রাণে রক্ষা পেলেও সাতজন আহত হয়। পানিতে তলিয়ে যায় অপর দুইজন। খবর পেয়ে বাঞ্ছারামপুর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল পৌঁছে স্থানীয় জনতার সহায়তায় পানিতে তলিয়ে যাওয়া জুয়েল ও ফরিদ মিয়াকে উদ্ধার করে। উদ্ধারের পর মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকায় নেওয়া পথে জুয়েল মিয়া এবং নরসিংদী নেওয়ার পথে ফরিদ মিয়ার মৃত্যু ঘটে। এদিকে ঘটনার পরই বেপাত্তা হয় স্পীডবোটের চালক।
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) রাজু আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘ঘটনার পর থেকে স্পিডবোট চালককে খুঁজে পাওয়া যায়নি। বিষয়টির তদন্ত চলছে।’