আসামি একজন, টাকা নিয়ে আত্মসমর্পণ করে অন্যজন!
আমোদ রিপোর্টার
আসামি আনোয়ার,টাকা নিয়ে আত্মসমর্পণ করে হানিফ! সোমবার নকল আসামি জামিন চাইতে হাজির হলে বিষয়টি জানাজানি হয়। এ নিয়ে আদালত পাড়ায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
সূত্র জানায়,কুমিল্লায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত আসামি আনোয়ার হোসেন। বাড়ি কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার গঙ্গানগর এলাকায়। বাবার নাম মৃত তৈয়ব আলী। তার বিরুদ্ধে ৮ টি মাদক মামলা রয়েছে। গত জুলাই মাসে কোতয়ালী থানার একটি মাদক মামলায় আত্মসমর্পণ করে । সোমবার আদালতে জামিনের জন্য প্রস্তুত হয়। এ সময় সরকার পক্ষের আইনজীবী জানতে পারেন আসামি আনোয়ার হোসেনের পরিবর্তে অন্য একজন আত্মসমর্পণ করেছে। বিষয়টি জানার আদালত মুলতুবি ঘোষণা করেন।
মামলার এজাহারে জানা যায়, ব্রাহ্মণপাড়া গঙ্গানগর এলাকার মৃত তৈয়ব আলীর ছেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত আসামি আনোয়ার হোসেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৮ টি মাদক মামলা রয়েছে। গত ২০১৯ সাল একটি মাদক মামলা ছিলো। সেই মামলার গত ৮ জুলাই আদালতে আত্মসমর্পণ করেন আসামি আনোয়ার হোসেন।
আজ(সোমবার) সেই মামলার জামিন চাইতে গেলে জানা যায়, টাকার বিনিময়ে আসামি আনোয়ার হোসেনের পরিবর্তে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন বরুড়ার আবু হানিফ।
বিষয়টি সরকার পক্ষের আইনজীবী পিপি জহিরুল ইসলাম সেলিম আদালতকে জানান।
আসামি আনোয়ার হোসেন টাকা দিয়ে বরুড়া উপজেলার বড় হাঙ্গিনীর মৃত মনু মিয়ার ছেলে হানিফকে আত্মসমর্পণ করায়।
এদিকে বিষয়টি জানার পর আসামি পক্ষের আইনজীবী মামলা পরিচালনা থেকে অব্যাহতি নেন।
সরকার পক্ষের আইনজীবী পিপি জহিরুল ইসলাম সেলিম বলেন, গত কিছু দিন আগে সদর কোর্টে আত্মসমর্পণ করেন আসামি আনোয়ার হোসেন। তখন আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়। আজ সোমবার জেলা ও সেশন জজ আদালতে জামিনের জন্য আবেদন করে। তখন আমি বিজ্ঞ আদালতকে বলি এ আসামি আনোয়ার হোসেন নয়। তার পরিবর্তে অন্য একজন। তখন আদালত মামলাটি আবারো সদর কোর্টে প্রেরণ করে।
মামলার বাদী এসআই নন্দন চন্দ্র সরকার বলেন, গত ২০১৯ সালের ১৩ জুলাই মাদক ব্যবসায়ী হেলাল ওরফে মুরগী হেলালকে ২ কেজি গাঁজাসহ আটক করি। পরে আটক আসামি হেলাল জানায়, তার সাথে আরেক মাদক ব্যবসায়ী আনোয়ার ছিলো। এ বিষয়ে তখন কোতয়ালী থানায় একটি মাদক মামলা দায়ের করি। ওই এই মামলায় পলাতক আসামি ছিলো আনোয়ার হোসেন।