কসবায় ব্যবসায়ী জনি ও অন্ধ ভিক্ষুক হত্যার আট খুনি গ্রেফতার

এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্যবসায়ী জনি এবং অন্ধ ভিক্ষুক মহিলা হত্যা মামলার প্রধান আসামীসহ আট খুনিকে গ্রেপ্তার করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থানা পুলিশ। তাদের থেকে মোটরসাইকেল, ছোড়া, বিক্রিত রৌপ্যালঙ্কার উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে গ্রেপ্তারকৃত আট খুনির বক্তব্য আদালতে রেকর্ড করা হয়েছে বলে কসবা থানায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সোমবার (১০ আগস্ট) সকালে কসবা থানায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সহকারি পুলিশ সুপার (কসবা সার্কেল) মিজানুর রহমান ভুইয়া। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের বুগীর গ্রামের আলমগীর সরকারের পুত্র তানভীর সরকার (২৭), আবদুল জলিলের পুত্র মহিউদ্দিন রানা, জাহিদুল হকেরর পুত্র রফিকুল ইসলাম (৪০),ইকবাল হোসেনের পুত্র ইয়ার হোসেন (৩০) শাজাহান মিয়ার পুত্র গোলাম ছামদানী (২৪), ইকবাল হোসেনের পুত্র সুমন মিয়া (২২), আবিদ মিয়ার পুত্র আরিফ মিয়া (২৫) এবং কুটি ইউনিয়নের মাইজখার গ্রামের জুয়েল মিয়া।
পুলিশ জানায়, উপজেলার কুটি চৌমূহনীতে মোটরসাইকেলের গ্যরেজের মালিক বুগির গ্রামের মোস্তফা কামালের পুত্র জনি গত ৮ জুলাই রাতে বাড়ি যাবার পথে খুন হয়। আদালতে স্বীকারোক্তির মাধ্যমে আসামীরা জানায় রাত ১০টায় মোটরসাইকেল যোগে জনি বাড়ি যাওয়ার পথে জনৈক মইনুলের ছাড়াবাড়ি বরাবর রশি দিয়ে দুই প্রান্ত থেকে টান দিয়ে সড়কে ফেলে নৃশংসভাবে খুন করে এবং তার মোটর সাইকেলটি নিয়ে যায়। পরে মোটরসাইকেলটি ৬০ হাজার টাকায় গণেশপুর গ্রামের রানা ও সোনারগাঁও গ্রামের আরিফের নিকট বিক্রি করে। এই ছিনতাই মিশনে নেতৃত্ব দেয় বুগীর গ্রামের তানভীর সরকার, রফিকুল ইসলাম, ইয়ার হোসেন, গোলাম ছামদানী,
সুমন মিয়া, মহিউদ্দিন রানা ও আরিফ মিয়া।পুলিশ ছিনতাই ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল, দুইটি ছোড়া উদ্ধার করে।
অপরদিকে কুটি ইউনিয়নের মাইজখার গ্রামের যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার অন্ধ বোন হোসনে আরা (৬০) হত্যার আসামী একই গ্রামের জুয়েলকে গত ৯ আগস্ট রাতে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ জানায়, বখাটে জুয়েল মুক্তিযোদ্ধার বোন হোসনে আরার অন্ধত্বের সুযোগ নিয়ে এক বছর পূর্বে তার বিশ হাজার টাকা চুরি করে। ফলে গ্রামে বিচার চেয়েও বিচার পায়নি। প্রতিনিয়তই জুয়েলকে অভিশাপ দিতো। এতে জুয়েল ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১৯ মে রাত তিনটায় হোসনে আরার ঘরে ঢুকে তাকে মাথায় কুড়ালের বাট দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে এবং তিন ভরি রূপা ও পাঁচ হাজার টাকা লুটে নেয়। পুলিশ চারগাছ বাজারে বিক্রিত তিন ভরি রূপা উদ্ধার করেছে। সংবাদ সম্মেলনে কসবা থানার ওসি মোহাম্মদ লোকমান হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।