অজিতগুহকে স্বাধীনতা পদক ও কলেজকে জাতীয়করণের দাবি
মহিউদ্দিন মোল্লা ।।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কারাগারের সঙ্গী ভাষা সৈনিক অজিতগুহকে মূল্যায়নের দাবি উঠেছে। তার মধ্যে রয়েছে তাকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক প্রদান ও তার নামে প্রতিষ্ঠিত ভাষা সৈনিক অজিতগুহ কলেজকে জাতীয়করণ করা। কলেজের শিক্ষক,শিক্ষার্থী ও স্থানীয় সুধীজনরা এ দাবি জানান।
কলেজ সূত্র জানায়, কলেজটি ১৯৭০সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি বর্তমানে ভাষা সৈনিক অজিত কুমার গুহের কুমিল্লা শহরের সুপারিবাগানের বাড়িতে অবস্থিত। দেশের বিশিষ্টজনদের নামের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ হয়েছে। ৫৩বছরের প্রাচীন কলেজটি জাতীয়করণ হলে প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষার্থী উপকৃত হবে। এনিয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবর আবেদন জানানো হয়।
এনিয়ে সুপারিশ করেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত,প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান ও সংসদ সদস্য আ ক ম বাহউদ্দিন বাহার প্রমুখ।
কলেজের দ্বাদশ (বিজ্ঞান) শ্রেণীর ছাত্রী ঝুমুর আক্তার ও অনার্সের(ইংরেজি) ছাত্র জাহিদ হাছান জিতু বলেন,এখানে অনেক মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের শিক্ষার্থী পড়ে। বেসরকারি কলেজের বেতন দিয়ে পড়া অনেকের জন্য কঠিন হয়ে যায়। তাই কলেজটি জাতীয়করণের দাবি জানাই।
কলেজের শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক কামরুর রশিদ এবং তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাজমা আহমেদ বলেন, সমাজের পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য এই কলেজটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। অনেকে ভর্তি হয় কিন্তু বেতন দিয়ে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারে না। কিছু শিক্ষার্থী ঝরে যায়। এটি জাতীয়করণ হলে ওইসব শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে।
কলেজ অধ্যক্ষ মো. শরিফুল ইসলাম বলেন,অজিতকুমার গুহ ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করার জন্য একাধিকবার গ্রেফতার হন। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কারাগারের সঙ্গী ছিলেন। তা অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে বঙ্গবন্ধু উল্লেখ করেছেন। তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে স্বাধীনতা পদক প্রদানের দাবি জানাই। পাশাপাশি কলেজটি জাতীয়করণের দাবি জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য- অজিতকুমার গুহের রবীন্দ্র সাহিত্যে অগাধ পাণ্ডিত্য ছিলো। তিনি চিরকুমার ছিলেন। ১৯৬৯ সালের ১২নভেম্বর কুমিল্লার সুপারিবাগানের বাসায় তিনি পরলোক গমন করেন।