‘করোনার মধ্যে এইচএসসি নয়’
আমোদ ডেস্ক।।
করোনাকালে মানুষের জীবন-জীবিকায় নানামূখী পরিবর্তন এসেছে। মার্চ থেকে শিক্ষাব্যবস্থায়ও বেশ পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কয়েক দফায় দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ায় আগামী ৩০ আগস্ট পর্যন্ত ছুটি চলমান রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতিষ্ঠানগুলো সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি বা শেষ দিকে খোলা সম্ভব হলে আগামী অক্টোবরে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা (এইচএসসি) অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে, বিষয়টির সাথে একমত নয় একদল শিক্ষার্থী। তারা করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পরীক্ষা না নিতে আহ্বান জানান।
‘যেদিন দেখবো করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা শুণ্য!! সেদিনই পরীক্ষা দিবো, তার আগে নয়। এভাবেই লিখে পোস্ট দিয়েছেন একাধিক শিক্ষার্থী।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার না নেয়ার দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। এজন্য তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘করোনার মধ্যে এইচএসসি নয়’ নামে একটি গ্রুপ ও পেইজ খুলেছে তারা। সেখানে তারা পরীক্ষা না নেয়ার পক্ষে তারে যুক্তি তুলে ধরে মতামত প্রকাশ করছেন।
তাদের ফেসবুক গ্রুপে লেখা হয়, আমাদের এই আন্দোলন সফল করতে আপনাদের সকলের সম্মিলিত সহযোগিতা রকার। তাই এই আন্দোলনকে বেগবান করতে আপনাদের ফ্রেন্ডলিস্টের সকল বন্ধুদের ইনভাইট দিয়ে গ্রুপে এ্যাড করে নিবেন। যাতে করে শিক্ষা মন্ত্রনালয় এবং ঊর্ধ্বতনদের নিকট আমাদের আন্দোলন দৃষ্টিগোচর হয়।
শিক্ষার্থীরা এতে বলেন, পরীক্ষার সময় করোনা ধরা পড়লে কি হবে? এতে যদি কেউ মারা যায় তবে যারা পরীক্ষা নেয়ার এতো প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা তো প্রাণ ফিরিয়ে দিতে পারবে না। আমরা বেঁচে গেলেও আমাদের থেকে যদি পরিবারের বয়স্করা করোনায় আক্রান্ত হয় তাহলে তো তাদের মৃত্যু ঝুঁকি আরো বেশি।।
ময়মনসিংহের পরীক্ষার্থী সামিহার অভিভাবক রুবি আক্তারের শঙ্কা যে, “বাংলাদেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতির আসল চিত্রটা কেমন, তা নিয়েই তো সন্দেহের শেষ নেই। দায়িত্বশীলরা বারবার কথা পাল্টেছেন। এরপর যখন বলবে যে পরিস্থিতি পরীক্ষা দেয়ার জন্য নিরাপদ, তখন সেটাই বা বিশ্বাস করবো কীভাবে?”
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘দেশের এই করোনা পরিস্থিতিতে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতি আপনারা সবাই অবহিত। প্রায় ১৪ লাখ এইচএসসি পরীক্ষার্থী। পরিবেশ অনুকূলে এলে ১৫ দিনের মধ্যেই এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুত ছিলাম, এখনো আছে। ১৪ লাখ পরীক্ষার্থীর সঙ্গে আরও কয়েক লাখ লোকবল জড়িত। এত সংখ্যক মানুষকে আমরা ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারি না।’