কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩ কোটির টাকার বাজেট পাশ
আমোদ ডেস্ক।।
২০২০-২১ অর্থবছরে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ৫৩ কোটি ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকার বাজেট পাশ হয়েছে। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে উপাচার্য প্রফেসর ড. এমরান কবির চৌধুরীর সভাপতিত্বে ৭৬তম সিন্ডিকেট সভা ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাজেট উপস্থাপন করেন ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোঃ আসাদুজ্জামান। গত ২১ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ কমিটির (এফসি) ৪৫তম সভায় প্রস্তাবিত বাজেটের সুপারিশ করা হয়। ২০২০-২১ অর্থবছরে ৫৩ কোটি ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে মূল বরাদ্দ ছিল ৪২ কোটি ১৭ লাখ টাকা। পরে সংশোধিত আকারে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪৭ কোটি টাকা
এবারের বাজেটে আয়ের উৎস হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (বিমক) অনুদান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয়। এর মধ্যে প্রারম্ভিক স্থিতি ৩ কোটি ১৮ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, বিমক হতে বরাদ্দ পাওয়া যাবে ৪২ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব তহবিল থেকে যোগান দেয়া হবে ৭ কোটি ৩৬ লক্ষ টাকা।
চলতি অর্থবছরে ৩১ কোটি ৫০ লাখ টাকা শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতার জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এছাড়াও পণ্য ও সেবা বাবদ সহায়তা ১৩৭৪.৫০ লক্ষ টাকা, পেনশন ও অবসর সুবিধা বাবদ ০২.০০ লক্ষ টাকা, গবেষনা অনুদান ১২০.০০ লক্ষ টাকা, অন্যান্য অনুদান বাবদ ২.০০ লক্ষ টাকা ও মূলধন অনুদান ৬৬২.০০ লক্ষ টাকা রাজস্ব (আবর্তক ও মূলধন) বাজেট বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সূত্র জানায়, শিক্ষার্থীদের জন্য বেশ কিছু সুযোগ সুবিধা নিশ্চিতে শিক্ষার্থীদের জন্য পূর্ব হতে ১১টি বি.আর.টি.সি বাস ভাড়া নেয়া আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব সম্পদ হিসেবে মোট ৯ টি বাস, ৫টি মাইক্রোবাস, ২টি জিপ, ১টি কার, ১টি এ্যাম্বুলেন্স নিজস্ব পরিবহন হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান রয়েছে। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে নতুন প্রকল্পের অর্থায়নে ৩টি বাস, ১টি জিপ, ১টি এম্বুলেন্স ও ০৪টি মটর সাইকেল এবং রাজস্ব বাজেটের অর্থায়নে ০১ টি পিকআপ ক্রয় করা হয়েছে। চলতি অর্থ বছরে বিমকের অর্থায়নে ১টি মাইক্রোবাস, ১টি এসি মিনিবাস বাস এবং প্রকল্পের অর্থায়নে ২টি মাইক্রোবাস ক্রয় করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ গতিশীল রাখার জন্য ১৬৫৫ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার একটি মেগা উন্নয়ন প্রকল্প ২৩ অক্টোবর ২০১৮ সালে অনুমোদন লাভ করে। প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ার সকল জটিলতা শেষে ভূমি অধিগ্রহণ, ভূমি উন্নয়ন, ড্রয়িং, ডিজাইন, সুপারভিশনসহ ৪টি একাডেমিক ভবন নির্মাণ (দশতলা বিশিষ্ট), দ্বিতীয় প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ (ছয়তলা বিশিষ্ট), ২টি ছাত্র হল, ২টি ছাত্রী হল নির্মাণ (দশতলা বিশিষ্ট) এবং ৫টি ফটকের কাজ চলতি অর্থ বছরে অতি দ্রুত শুরু হবে।