ভিক্টোরিয়ার ফুলের রাজ্যে দর্শনার্থীদের ভিড়
সজিব মিয়া।।
দুই পাশে হাসছে হলুদ, লাল, গোলাপি ও নীল রঙের ফুল। নেচে নেচে এক ফুল থেকে আরেক ফুলে যাচ্ছে মৌমাছির দল। চারদিকে ফুলের ম-ম গন্ধ। যেন বসন্ত আসার আগেই বাসন্তীর সাজে সেজেছে এই শিক্ষায়তন। এই মোহনীয়তা উপভোগ করতে সকাল সন্ধ্যায় শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি ভিড় করছেন বাইরের দর্শনার্থীরাও। এটি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ধর্মপুর শাখার চিত্র।
কলেজ প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, কলেজ ক্যাম্পাসকে নান্দনিক রূপ দিতে রোপণ করা হয়েছে নানান ধরনের ফুলের গাছ। তারমধ্যে নয়নতারা, মাধবীলতা, নীলমণি লতা, স্পার্কলিং সালভিয়া, গাঁদা, ক্যালেন্ডুলা, গোলাপ, ভাদ্রা, জবা, কনকচাঁপা, বকুলসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফুলগাছ। সেগুলো বসন্তের আগেই ফুটেছে নানান রংয়ের ফুল। শীতকালীন ফুলের পাশাপাশি আছে নানান জাতের স্থায়ী ফুলগাছ। প্রথম গেইট থেকে শুরু হয়ে কলা ভবন দিয়ে প্রশাসনিক ভবন, হৃদয় বঙ্গবন্ধু মুর্যাল পুরোটাজুড়ে রয়েছে তাদের বিস্তার।
দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী মরিয়ম আক্তার জানান, এতো সুন্দর ফুলে ভরা ক্যাম্পাস আগে দেখা যায়নি। মানসিকভাবে যেভাবে থাকিনা কেন ক্যাম্পাসে আসলে ফুলের ঘ্রাণে সকল ধরনের মানসিক চাপ দূর হয়ে যায়। ক্লাসের ফাঁকে আমরা যখন সময় পাই বন্ধুরা মিলে এখানে আড্ডা দেই। বিভিন্ন স্থান থেকে আমাদের ক্যাম্পাসের ফুলের বাগান দেখার জন্য মানুষ আসে।
দর্শনার্থী রবিউল আলম ছেলেমেয়েকে নিয়ে এসেছেন ঘুরতে। তিনি জানান, কুমিল্লায় বিভিন্ন স্থানে আমার বাচ্চাদেরকে ঘুরেছি। কিন্তু এমন পরিবেশ চোখে পড়েনি। বাচ্চারা এ স্থান খুব পছন্দ করে। আমি ফ্রি থাকলে ওদের নিয়ে ঘুরতে আসি। এ যেন ক্যাম্পাসে ফুলের রাজ্য।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আবু জাফর খান জানান, প্রাচীন এ প্রতিষ্ঠানের সৌন্দর্য বর্ধনে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এই কলেজ যেমন সারাদেশের মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে তেমনি ক্যাম্পাসের সৌন্দর্যেও মানুষের মনে স্থান করে নিতে চাই। আমরা চেষ্টা করছি কিভাবে আরও দৃষ্টিনন্দন করা যায়।