বিএনপি নেতাদের পাশে পেয়ে ফুরফুরে কায়সার
প্রতিনিধি।।
দলে দলে বিএনপি নেতাকর্মীরা কুমিল্লা সিটি করপোরেশেনের উপনির্বাচনের মেয়র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সারের নির্বাচনী প্রচাণায় নেমে পড়েছেন। অনেকে জেলা ও উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আছেন আবার অনেকে সাবেক। প্রতিদিন যে ওয়ার্ডে যাচ্ছেন সে ওয়ার্ডেই তার গ্রুপে ভিড়ছেন নেতাকর্মীরা। এতে একরকম ফুরফুরে মেজাজেই প্রচারণা করছেন এই প্রার্থী।
জানা গেছে, কুমিল্লা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলে সাবেক আহবায়ক ও ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার তারুণ্যের প্রতীক ৷ তিনি বিএনপির ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের শ্যালক।
কায়সারের প্রচারণার সময় দেখা গেছে,প্রচারণার বহরে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের আধিক্য। যেদিন যে ওয়ার্ডে যান সেদিন সেই ওয়ার্ডেই নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। কিন্তু অন্য গ্রুপ থেকে যারা তার গ্রুপে ভিড়ছেন তাদের নিজেই মালা দিয়ে বরণ করে নিচ্ছেন তিনি। এ দৃশ্য এখন প্রতিদিনই দেখা যায়।
সবশেষ শুক্রবার (৩ মার্চ) যুবদলের সাবেক সিনিয় যুগ্ম সম্পাদক বদরুল হাসান রাব্বু দক্ষিণ চর্থা এলাকায় কয়েকশ’ নেতাকর্মী নিয়ে প্রচারণায় যোগ দেন। এসময় নিজাম উদ্দিন কায়সার তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন। মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপু অতীতে সাক্কু গ্রুপে থাকলেও তার কয়েক হাজার নেতাকর্মী নিয়ে এবার আটঘাট বেঁধে নেমেছেন কায়সারের পক্ষে। বিএনপি নেতা মহিউদ্দিন গত নির্বাচনে সাক্কু গ্রুপের নিবেদিত প্রাণ থাকলেও এই নির্বাচনে কায়সারের পক্ষে নেতাকর্মীদের নিয়ে কাজ করছেন। এমন শতশত নেতাকর্মী নাম প্রকাশ না করেই মাঠে আছেন।
শনিবার (৩ মার্চ) ২২ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগে বের হলে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও সদর দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব চৌধুরী, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মামুনুর রশিদ মজুমদার, ২২ নম্বর ওয়ার্ড সাবেক কমিশনার মো. আনোয়ার মেম্বার, ২২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক বাবুল মিয়াসহ বিএনপি অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ কায়সারের বহরে যুক্ত হন। তারা গত নির্বাচনে প্রকাশ্যে মাঠে নামেননি।
প্রচারণায় বের হয়ে নিজাম উদ্দিন কায়সার বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা মাঠে নেমেছে। তারা ভোটের ওপর আস্থা রাখতে চায়। বিএনপি নির্বাচন বিমুখ ছিল। এখন ঘোড়া প্রতীকের সমর্থনে তারা মাঠে এসেছেন ৷ আমি নির্বাচন কমিশনকে বলেছি যেন পূর্বের মামলা নিয়ে তাদের হয়রানি না করা হয়। এবারের ভোট যদি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয় তাহলে জনগণের আস্থা পুনরায় ফিরে পাওয়ার একটা চান্স থাকবে।
উল্লেখ্য, আগামী ৯ মার্চ কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন।